১১ মে, ২০১৭ ১০:১৮

'গত দেড় বছরে মেসির চেয়ে এগিয়ে রোনালদো'

অনলাইন ডেস্ক

'গত দেড় বছরে মেসির চেয়ে এগিয়ে রোনালদো'

ফাইল ছবি

এবার মেসি-রোনালদোর লড়াইয়ে যোগ দিলেন জার্মান কিংবদন্তি ফুটবলার লোথার মাথাউজ। বলেে দিলেন গত দেড় বছরের বিচারে ক্রিশ্চিয়ানো বিশ্বের সেরা ফুটবলার। মাথাউজের মতে লিওনেল মেসির চেয়েও এই ১৮ মাসে এগিয়ে রোনালদো!

নিজের মতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘রোনালদো’কে থামানো সত্যিই কঠিন। পায়ে বল নিয়ে রোনালদোর মতো বিপজ্জনক স্ট্রাইকার নেই বললেই চলে।’’ মাথাউজের বিশ্লেষণে রোনালদোর সেরা হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে উঠে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়কের সামগ্রিক দক্ষতা। 

মাথাউজ বলেছেন, ‘‘দু’পায়ে নিখুঁত শট মারার দক্ষতা, দুরন্ত হেডিং দক্ষতা এবং প্রচণ্ড গতি— এই তিন গুণের ধারাবাহিক প্রয়োগ রোনালদোর মতো কাউকে করতে দেখিনি। ফুটবল ইতিহাসে অনেক গ্রেট স্ট্রাইকার এসেছে, কিন্তু রোনালদো ব্যাতিক্রম।’’

মাথাউজ উদাহরণ দিয়েছেন আরও এক কিংবদন্তি জার্মান স্ট্রাইকার, গার্ড মুলারের। বলেছেন, ‘‘আমরা মুলারের অবিশ্বাস্য গোলদক্ষতার কথা প্রায়ই বলি। কিন্তু এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রোনালদোর গোল করা দেখে বলছি, ও মাঠের যে কোনও জায়গা থেকে গোল করে দিতে পারে। গার্ড মুলার’কে গোল করার জন্য বল বক্সে বাড়াতে হতো। বক্সের বাইরে মুলার নিস্প্রভই থাকতেন।’’ 

মাথাউজের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে লিওনেল মেসির নামও। জার্মান ডিফেন্ডার দাবি করেছেন, ‘‘মেসি দারুণ, কিন্তু রোনালদোর মতো ও পারে না মাঠে যে কোনও জায়গা থেকে গোল করে দিতে। বায়ার্ন মিউনিখ ম্যাচটার কথা ভাবুন, ওরকম চোখ ধাঁধানো গোল রোনালদোর পক্ষেই করা সম্ভব। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখনও পর্যন্ত তিন ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো গোল করেছে আটটা! স্বপ্নের পরিসংখ্যান।’’

একইসঙ্গে মাথাউজ প্রশংসা করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ ম্যানেজার জিনেদিন জিদানেরও। বলেছেন, ‘‘১৮ মাস আগে রিয়াল ওকে ম্যানেজার হিসাবে নিয়ে আসার সময় ফুটবলবিশ্বে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, কোচ হিসাবেও জিজু সফল হবে। রিজার্ভ বেঞ্চে জিজু’র বসা দলের গ্রেট ফুটবলারদের কাছেও প্রেরণা হয়েছে। কারণ ফুটবলার হিসাবে জিদান নিজেও ছিল গ্রেট।’’ মাথাউজের ভাষায়, জিদান শুধু রোনালদো বা গ্যারেথ বেল’দের জন্য নয়, মার্কোস অ্যালোন্সোর মতো তরুণ প্রজন্মের ফুটবলারদের কাছেও অনুপ্রেরণা। মাথাউজ বলেছেন, ‘‘সিনিয়রদের সঙ্গে জিদান তরুণ ফুটবলারদেরও খেলিয়ে ভারসাম্য এনেছে।’’

১৯৯০-এ বিশ্বকাপ জয়ই তাঁর ফুটবলজীবনের সেরা স্মৃতি। মাথাউজ জানিয়েছেন, বিশ্বকাপটা ইতালিতে হলেও ইতালির সমর্থকদের সমর্থন মাথাউজ জীবনেও ভুলবেন না।

বিডি প্রতিদিন/ ১১ মে ২০১৭/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর