ফের ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ঘটনা ঘটেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএলে)। ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে তিন জুয়াড়িকে আটক করেছে আইপিএল কতৃপক্ষ। রমেশ নয়ন শাহ, বিকাশ চৌহান ও রমেশ কুমার নামের এই তিন জুয়াড়িকে সম্প্রতি ৪০ লাখ রুপিসহ আটক করে কানপুর পুলিশ।
কানপুরের একটি হোটেল থেকে আটকের পর এই তিন জুয়াড়ি যে তথ্য দিয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে পুলিশ এখন জিজ্ঞাসাবাদ করবে গুজরাট লায়নসের দুই খেলোয়াড়কে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা এই তিন ব্যক্তির কার্যকলাপের দিকে লক্ষ্য রাখছিল। বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার সহায়তায় উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ অপরাধ দমন বিভাগ এই তিন ব্যক্তির সম্ভাব্য ফিক্সিং-সংক্রান্ত ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিতে সক্ষম হয়। এই তিন জুয়াড়ি আটক হওয়ার আগেই নাকি একটি ম্যাচ নিয়ে বাজি ধরে ফেলেছিলেন। এই তিনজনকে এখন প্রয়োজনীয় আইনি বিধিবিধান অনুসরণ করে রিমান্ডে নেয়া হতে পারে।
তিন জুয়াড়ির একজন নয়ন শাহ পুলিশকে বলেছেন, স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য গুজরাট লায়নসের দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে তাদের কথাবার্তা হয়েছিল।
২০১৩ সালে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি প্রথম ঝড় তুলেছিল আইপিএলে। সে সময় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নিষিদ্ধ হন সাবেক ভারতীয় পেসার শান্তাকুমারন শ্রীশান্ত। ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার কারণে ২০১৬ ও ২০১৭ দুই আসর থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালস। গুজরাট লায়নস এই দুটি দলের জায়গাতেই সুযোগ পাওয়া অন্যতম ফ্র্যাঞ্চাইজি।
সূত্র: সিটিজেন
বিডি প্রতিদিন/ ১৩ মে ২০১৭/ ই জাহান