বিশ্বকাপ জয়ীদের হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টির হাতছানি ছিল উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডদের সামনে। কিন্তু ইংরেজ পেসারের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৮ রানে গুটিয়ে গিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সপ্তম সর্বনিম্ম স্কোর করে লজ্জার ইনিংস রেকর্ড গড়ল আয়ারল্যান্ড। বিশ্বজয়ের মঞ্চে একমাত্র টেস্টে আইরিশদের ১৪৩ রানে হারিয়ে সম্মান অক্ষুন্ন রাখল সদ্য বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ড।
টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর দীর্ঘতম ফর্ম্যাটের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের সুযোগ তৈরি করেছিল আয়ারল্যান্ড। কিন্তু পাকিস্তানকে হারিয়ে অঘটন ঘটানো সম্ভব হয়নি আইরিশদের। এর পর আফগানিস্তানের কাছে হার হজম করলেও তৃতীয় টেস্টেই জয়ের হাতছানি পোর্টারফিল্ডদের সামনে। এর জন্য আইরিশ ব্যাটসম্যানদের করতে হয় ১৮২ রান। কিন্তু দুই ইংরেজ পেসার ক্রিস ওকস ও স্টুয়ার্ট ব্রডের গতি ও সুইংয়ের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে আয়ারল্যান্ড ইনিংস। ১৫.৪ ওভারে মাত্র ৩৮ রানে শেষ হয়ে যায় আইরিশ ইনিংস। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে যা সপ্তম সর্বনিম্ম স্কোর। গত ৬৪ বছরে টেস্ট ক্রিকেট কোনও দলের এটাই সর্বনিম্ম স্কোর।
এর আগ, ১৯৫৫ সালে অকল্যান্ড টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৬ রানে অল-আউট হয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। মাত্র তিনদিনেই শেষ হয়ে যায় লর্ডস টেস্ট। প্রথম দিনেই ইংল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে অল-আউট করে অবাক করে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড। শুধু তাই নয়, প্রথম ইনিংসে ২০৭ রান তুলেছিলেন আইরিশরা। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসে ১২২ রানের লিড ছিল আয়ারল্যান্ডের। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে জ্যাক লিচের লড়াকু ৯২ রানের ইনিংসে ভর করে ৩০৩ রান তোলে ইংল্যান্ড।
সদ্য বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাসের সাক্ষী থাকার জন্য আইরিশদের টার্গেট ছিল মাত্র ১৮২ রান। কিন্তু ওকস ও ব্রডের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে অসহায় আত্মসমপর্ণ করেন আইরিশ ব্যাটসম্যানরা। মাত্র একজন দু’ অংকের রানে পৌঁছন। আইরিশ ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোর জেমস ম্যাককুলামের ১১। ৭.৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচ করে ৬ উইকেট তুলে নেন ওকস। আর ৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন ব্রড। দু’জনেই টানা বোলিং করে আয়ারল্যান্ড ইংনিসকে শেষ করে দেন। ম্যাচের সেরা লিচ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক