ভারতীয় ক্রিকেটের আগামী দিনের অন্যতম সেরা তারকা বলে মনে করা হয় তাকে। আর সেই পৃথ্বী শ কিনা নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার জন্য আট মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। তাকে সাসপেন্ড করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ট (বিসিসিআই)। আর সাসপেন্ড হওয়ার পর নিজের ভাগ্যকেই দুষছেন পৃথ্বী। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণ ক্রিকেটারদের কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে তারপর তা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খবর দ্য ওয়াল এর।
এ নিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পৃথ্বী লিখেছেন, আমি জানতে পেরেছি নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে মুম্বাইয়ের হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি খেলার সময় ঠাণ্ডা লাগায় আমি যে কাফ সিরাপ খেয়েছিলাম, তাতে নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। আমি তখন চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার চেষ্টা করছিলাম। তবে হ্যাঁ, ওষুধ খাওয়ার সময় যতটা সতর্ক হওয়ার দরকার ছিল, তা আমি হইনি। আমি আমার ভাগ্যকে স্বীকার করে নিয়েছি। আমি সত্যিই জানতাম না, ওই ওষুধে ঐরকম কিছু ছিল। কিন্তু আমি তরুণ ক্রিকেটারদের অনুরোধ করব, সামান্য কোনও ওষুধ খেলেও ভালো করে দেখে তারপর খেতে। আশা করি আমি এই সময়ের মধ্যে চোট পুরো সারিয়ে ফিরতে পারব।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পৃথ্বীকে আট মাসের জন্য সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করে বিসিসিআই। জানিয়ে দেওয়া হয় মার্চের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হচ্ছে পৃথ্বীকে। বিসিসিআই নিজেদের বিবৃতিতে জানায়, ২২ ফেব্রুয়ারি ম্যাচের পর বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী যে ইউরিন টেস্ট করা হয়, তাতে দেখা গিয়েছে পৃথ্বীর নমুনাতে টারবিউট্যালিন নামের এক বিশেষ পদার্থ রয়েছে। এই টারবিউট্যালিন বিসিসিআই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অনেক আগেই। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, গত ১৬ জুলাই ২০১৯ তারিখে পৃথ্বীকে বোর্ডের অ্যান্টি ডোপিং নিয়ম অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। পৃথ্বী নিজের দোষ স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, না জেনেই এই ওষুধ ও নিয়েছিল। বোর্ডও তদন্ত করে দেখেছে, ডাক্তারের নির্দেশেই এই কাফ সিরাপ খেয়েছিল ও। তাই আট মাসের জন্য পৃথ্বীকে সাসপেন্ড করা হলো। আশা করা হচ্ছে, আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা আর হবে না।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক