চট্টগ্রাম নগরের ৪১ ওয়ার্ডের অধিকাংশ খাল, নালা-নর্দমা ও ড্রেন এখন আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এসব খাল-নালার আবর্জনা থেকে ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ, উৎপাদন হচ্ছে এডিস মশা। দূষিত হয় বাতাস। নালা-খালে আবর্জনা ফেলায় বাধাগ্রস্ত হয় পানি প্রবাহ। বর্ষা মৌসুমে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা।
নগরের খাল ও নালা নর্দমার এমন বেহাল অবস্থায় গত ৮ ডিসেম্বর চসিক প্রশাসক নগরের জিইসি মোড়, প্রবর্ত্তক মোড়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা, মেহেদিবাগ, চকবাজার মোড়সহ বেশ কিছু স্থানে ঝটিকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রবর্ত্তক মোড়ের খালে ময়লা ফেলা দেখে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তা ছাড়া মেডিকেল, জিইসি মোড়, চকবাজার এলাকার দোকান-পাটের সামনে সড়কের ওপর যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা দেখেও ক্ষুব্ধ হন তিনি।
অভিযোগ আছে, চসিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নগরের নালা-নর্দমার আবর্জনা পরিষ্কার করার কথা থাকলেও তা নিয়মিত করেন না। দীর্ঘদিন ড্রেনে বর্জ্য পড়ে থাকলেও তা পরিষ্কার করা হয় না। ফলে নালা ড্রেনে ময়লা জমছে। আবর্জনা জমে থাকার ব্যাপারে চসিককে জানালেও তার প্রতিকার মিলে না।
চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, একাধিকবার অনুরোধ করার পরও নগরীতে কিছু মানুষ অবিবেচকের মতো যেখানে-সেখানে আবর্জনা ফেলছেন। চসিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নগরীর কোনো এলাকায় ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে আসলে, এক ঘণ্টা পর দেখা যায় সেখানে আবারও ময়লার স্তূপ। এটা কাম্য হতে পারে না। নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি না হলে শহরকে পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নগরে বর্তমানে খাল আছে ৫৭টি। এসব খালের দৈর্ঘ্য ১৬১ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ ৭ দশমিক ২৮ মিটার। পাকা নর্দমার মোট দৈর্ঘ্য ৭৩৮ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ ১ দশমিক ১০ মিটার। কাঁচা নর্দমার মোট দৈর্ঘ্য ২৭ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ ১ দশমিক ৪০ মিটার। ১৬৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১ দশমিক ৮০ মিটার গড় প্রস্থের ফুটপাথ আছে মোট ১৩৮টি।