কুমিল্লা নগরীর জাঙ্গালিয়া টার্মিনালের বাস রাখা হচ্ছে পাশের মহাসড়কে। এতে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। যত্রতত্র বাস পার্কিং করায় বোঝার উপায় নেই কোনটা টার্মিনাল আর কোনটা মহাসড়ক। পরিবহন মালিকরা বলছেন, টার্মিনালের জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে মহাসড়কের পাশে বাস রাখতে হচ্ছে। এদিকে সিটি করপোরেশন বলছে, টার্মিনালে এখনো অনেক জায়গা খালি আছে।
কুমিল্লা টমছম ব্রিজ এলাকা যানজটমুক্ত করতে ২০১১ সালে নগরীর জাঙ্গালিয়ায় নির্মাণ করা হয় আন্তজেলা বাস টার্মিনাল। তবে যানজট পিছু ছাড়ছে না। টমছম ব্রিজের যানজট এখানেও নগরবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অধিকাংশ বাস নগরীর জাঙ্গালিয়া থেকে শুরু করে কচুয়া চৌমুহনী পর্যন্ত সড়কের ওপর রেখে যাত্রী ওঠানামা করছে। এ ছাড়া মহাসড়কের পাশে বাস পার্কিং করা হচ্ছে। এতে সড়ক সরু হয়ে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি করে। এদিকে নগরীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে বাস-মিনিবাস সড়ক বন্ধ করে ঘুরানো হয়। এতে টমছম ব্রিজ থেকে শুরু করে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট।
২৫টি ট্রান্সপোর্টের ৭০০-৮০০ বাস-মিনিবাস টার্মিনাল ব্যবহার করে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপকূল, বোগদাদ, যমুনা, মদিনা, রয়েল, এশিয়া এয়ারকন, এশিয়া ট্রান্সপোর্ট, প্রিন্স, কুমিল্লা সুপার, দোয়েল, বলাকা, সোহাগ, শাহআলী সুপার, নাঙ্গলকোট সুপার, লাকসাম সুপারসহ বিভিন্ন পরিবহন রয়েছে। এর মধ্যে কিছু পরিবহন টার্মিনালের বাইরে গিয়ে যাত্রী তুলছে। সড়কের পাশে পার্কিং এবং স্ট্যান্ড করায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
কুমিল্লা জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ কবীর আহাম্মদ জানান, জাঙ্গালিয়া আন্তজেলা বাস টার্মিনালের অধীনে যে পরিমাণ বাস আছে, সেই পরিমাণ জায়গা নেই। অধিগ্রহণ করে বাস টার্মিনালের সীমানা বাড়ানো প্রয়োজন। অন্তত ৩/৪ একর আয়তন বাড়ানো না হলে সব ট্রান্সপোর্টের বাস এ টার্মিনালে রাখা সম্ভব হবে না। পরিবহনের মালিকরা বাধ্য হয়ে সড়কে বাস রাখছে। টার্মিনালে বাস পার্কিং এবং যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা হলে সবাই ব্যক্তিগত স্ট্যান্ড ছেড়ে চলে আসবে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সিইও ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, নগরীর জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনালে এখনো অনেক জায়গা খালি রয়েছে। টার্মিনালের বাইরে বাস মহাড়কে না রাখতে পরিবহন মালিকদের চিঠি দেওয়া হবে। টার্মিনালের জন্য জায়গা অধিগ্রহণের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।