মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
গাজীপুর সিটি করপোরেশন

বিআরটি ভোগান্তির শেষ কবে?

আফজাল, টঙ্গী

বিআরটি ভোগান্তির শেষ কবে?
প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টঙ্গী বাজার, কামারপাড়া-টঙ্গী সংযোগ সড়কের টঙ্গী অংশে, স্টেশন রোড, মিলগেট, চেরাগ আলী, কলেজ গেটের বিভিন্ন স্থানে চলছে বিআরটি প্রকল্পের কাজ। খোঁড়াখুঁড়ি চলছে সড়কের বিভিন্ন অংশে। ২০১২ সালে বিআরটি প্রকল্পের কাজ পাস হওয়ার পর ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০১৬ সালে কাজ শেষ করতে না পারায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২২ সালে জুন মাসে প্রকল্পের কাজ হস্তান্তর করার কথা ছিল।  কিন্তু ২০২২ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় ফের প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে আগামী ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে বলে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন

গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলমান বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ শেষ কবে? এমন প্রশ্ন এখন জনমনে। বছরের বছরের পর ধরে চলছে উন্নয়ন কাজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজে গতি না থাকায় মানুষের ভোগান্তি কমছে না। টঙ্গী মিলগেট থেকে আবদুল্লাহপুর পার হতে সময় লাগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বাসে বসে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয় প্রতিনিয়ত।

এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে গত ১৫ এপ্রিল ক্রেন উল্টে পড়ে তিনজন পথচারী আহত হন। হযরত শাহজালাল  বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত এক যুগেও শেষ হয়নি এই প্রকল্পের কাজ। পর পর দুবার কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করেও প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি।

সরেজমিন প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টঙ্গী বাজার, কামারপাড়া-টঙ্গী সংযোগ সড়কের টঙ্গী অংশে, স্টেশন রোড, মিলগেট, চেরাগ আলী, কলেজ গেটের বিভিন্ন স্থানে চলছে বিআরটি প্রকল্পের কাজ। খোঁড়াখুঁড়ি চলছে সড়কের বিভিন্ন অংশে। ২০১২ সালে বিআরটি প্রকল্পের কাজ পাস হওয়ার পর ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০১৬ সালে কাজ শেষ করতে না পারায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু ২০২২ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় ফের প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে আগামী ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে বলে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এদিকে ঢাকা ও গাজীপুর জেলার সংযোগ সেতু টঙ্গী ব্রিজ। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গসহ ২৩ জেলার মানুষের প্রতিনিয়ত ঢল নামে এই পথে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বেরিকেড দিয়ে বিআরটি প্রকল্পের কাজ করায় মহাসড়ক সরু রাস্তায় পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ) চৌধুরী মোহাম্মদ তানভীর বলেন, মহাসড়কে যাতে কোনো যানজটের সৃষ্টি না হয় সেদিকে কড়া নজরদারি রাখা হবে। 

বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের পরিচালক মাহিরুল ইসলাম খান বলেন, গত ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্প পাস হলেও বিভিন্ন কারণে সময় মতো প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে ঠিকাদারদের ম্যাপসহ আনুষঙ্গিক কাজ বুঝিয়ে দিতে প্রায় দুই-আড়াই বছর সময় লেগেছে। এ ছাড়াও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশ দিয়ে ডেসকো, ওয়াসা, তিতাস ও বিটিসিএল-এর লাইন জালের মতো ছড়িয়ে থাকায় এবং এর কোনো সুনির্দিষ্ট ম্যাপ না থাকায় বারবার কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পের কাজ দেরি হওয়ার এটাও একটা বড় কারণ। তার পরও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করার। প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে।

 

 

 

সর্বশেষ খবর