বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রূপচর্চায় তেলের ভূমিকা

রূপচর্চায় তেলের ভূমিকা

► ছবি : মঞ্জু আলম

আগের দিনে গোসলের আগে গায়ে এবং মাথায় তেল মালিশ করা ছিল নিয়মিত রীতি। এখন সেসব অতীত। তবে রূপের ভান্ডারে যে তেলের ভূমিকা অপরিসীম তা মানতে বাধ্য আজ-কালকার বিউটিশিয়ানরা। কারণ, কেমিক্যালস, ধুলা, দূষণ ইত্যাদির কারণে সৃষ্ট নির্জীব ত্বক ও রুক্ষ চুল সারাতে তেল হলো অব্যর্থ দাওয়াই।

 

ত্বক বুঝে তেল বাছুন

সব ধরনের ত্বকে সব তেল মানায় না। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ- কোনো তেল ভারি, কোনোটা আবার হালকা, কোনো তেল চটচটে, তো কোনোটা আবার চোখের নিমেষে ত্বকে মিশে যায়। অর্থাৎ একেক ধরনের ত্বকের পক্ষে একেক তেল বেশি কার্যকর। তাই নিজের ত্বকের ধরন বুঝে তেল বাছুন। তবে যে তেলই হোক, মুখের জন্য ৩-৪ ফোঁটাই যথেষ্ট। এসেনশিয়াল অয়েলের ক্ষেত্রে আরও কম। কিছু সময় লাগিয়ে ভেজা কটন প্যাড দিয়ে মুখ মুছে নেবেন।

 

তৈলাক্ত ত্বক

একে তো তেলতেলে, তার ওপর তেল মালিশ! মোটেও ঠিক নয়। এমন ত্বকের পক্ষে হালকা কোনো তেল বা অ্যান্টি ইনফেকশন ক্ষমতাযুক্ত তেল ভালো। সেক্ষেত্রে লেমন, টি-ট্রি, জোজোবা, নারিকেল এবং ল্যাভেন্ডার অয়েল অত্যন্ত কার্যকরী।

 

শুষ্ক ত্বক

ভাবছেন শুষ্ক ত্বকে নিশ্চয়ই সব ধরনের তেল কার্যকরী! মোটেও এমনটা নয়। শুষ্ক ত্বকের জন্য স্যান্ডালউড, আমন্ড, রোজ, ক্যামোমাইল ইত্যাদি তেল আদর্শ। এ ছাড়াও অলিভ, আমন্ড, ক্যাস্টর, সেসমি অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।

 

স্বাভাবিক ত্বক

এই ত্বকের জন্য তেল বাছাই খুব একটা জটিল নয়। তবে সবচেয়ে ভালো হলো- জেসমিন, আমন্ড, ল্যাভেন্ডার, টি-ট্রি অয়েল।

 

মিশ্র ত্বক

মিশ্র ত্বকে খুব ভালো হয়, যদি দুই ধরনের তেল ব্যবহার করতে পারেন। অর্থাৎ শুষ্ক অংশে এবং তৈলাক্ত অংশে আলাদা তেল ব্যবহার করতে পারেন। তবে এত ঝামেলায় যেতে না চাইলে এই ত্বকের আদর্শ  হলো ল্যাভেন্ডার অয়েল। টি-জোন অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে টি-ট্রি অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।

 

লেখা : উম্মে হানি

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর