বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিজয়ের পোশাক

বিজয়ের পোশাক

♦ মডেল : কণিকা, রোমানা ও পূর্ণিমা ♦ পোশাক : ত্রিনয়নী ♦ স্টাইল : বিডি মিজু ♦ মেকাপ : অনুপমা বিউটি বক্স ♦ ছবি : এস এ শিহাব

আসছে বিজয় দিবস। এই দিনে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা বুকে ধারণ করাটা যে কোনো বাঙালির জন্য গৌরবের। এই দিনে পোশাক ভাবনা নিয়ে তরুণ সমাজের চিন্তার যেন অন্ত নেই।  দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোও পোশাকে রেখেছে লাল-সবুজের সমাহার...

 

চলছে বিজয়ের মাস। এবারের বিজয় দিবস অন্য সব সময়ের চেয়ে বেশি স্পেশাল। স্বাধীন বাংলাদেশ ৫০তম   বছর পূর্ণ হলো। বাঙালির জন্য দিনটি অত্যন্ত গৌরবের। অতীতের সব দুঃখ, কষ্ট ও নিপীড়ন ভুলে বিজয়োল্লাসে মেতে উঠবে বীর বাঙালি জাতি। তাইতো বিজয় দিবস উপলক্ষে আমাদের মাঝে চলে উৎসবের আমেজ। বাঙালি সমাজে দেখা যায় বিশেষ সাজ পোশাকের আয়োজন। তাছাড়া জাতীয় চেতনাকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে দিবসভিত্তিক পোশাক পরিধান এখন অন্যতম একটি মাধ্যম। বিগত কয়েক বছর ধরে এ কাজটি খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে করে যাচ্ছে আমাদের ফ্যাশন হাউসগুলো।

আজকালের তরুণীরা সাজসজ্জায় অনেক এগিয়ে। সাজ পোশাকের ভিতর দিয়ে বিজয় দিবসে নিজেদের সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবিকেই তুলে ধরার চেষ্টা করে তারা। বিজয় দিবস আমাদের কাছে নিঃসন্দেহে গর্বের আর অহংকারের। এদিনে বাঙালির পোশাকে উঠে আসে জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ রং। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টি-শার্ট, ফতুয়াতে ইতিহাস-ঐতিহ্য, দেশীয় চেতনার ছোঁয়ায় নিজেদের রাঙিয়ে তোলেন তরুণ-তরুণী, বয়োবৃদ্ধ থেকে শিশু পর্যন্ত।

 

বাঙালিয়ানা মানেই তো শাড়ি। তাই শাড়িতে সেজে উঠতে চান আমাদের নারীরা। সঙ্গী হয় নানা রকম সুতির শাড়ি। বিশেষ করে তাঁতের শাড়ি, টাঙ্গাইল ও জামদানি শাড়িগুলো বেশি প্রাধান্য পায়। আমাদের বাঙালির অস্তিত্বের সঙ্গে এ ধরনের শাড়ি মানিয়েও যায় বেশ। দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোর তৈরি লাল কিংবা সবুজ অথবা এ দুটো রঙের মিশ্রণে তৈরি শাড়ি এ দিবসের জন্য বেছে নেন সবাই। শাড়িতে নকশা হিসেবে প্রাধান্য পায় ব্লক ও প্রিন্ট। এ ধরনের শাড়িও সব বয়সী নারীর বেশ ভালো মানিয়ে যায়। যারা আরেকটু গর্জিয়াস শাড়ি পরতে চান, তাদের জন্য কাপড়ে বৈচিত্র্য আনতে ব্লক ও প্রিন্টের শাড়িতে কাঁথা, চুমকি ও গ্লাসের কাজ করা হয়। শাড়ি কিংবা তসর সিল্ক এই কাতারে জায়গা পেয়ে যায়। এ ধরনের শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজেও থাকে বাহারি রঙের ছোঁয়া। তার সঙ্গে যোগ হয় নতুন ডিজাইন।

 

যেহেতু শীতকাল চলছে, ফ্যাশনে কিছুটা বৈচিত্র্য থাকবেই। চাইলে শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে পরতে পারেন লম্বা হাতার ব্লাউজ। অথবা যে কোনো একটি রঙের শাড়িতে নিজেকে সাজিয়ে নিতে সঙ্গী হতে পারে পছন্দের লাল-সবুজ শাল। যারা শাড়ি পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না তারা সালোয়ার-কামিজ অথবা পছন্দের ডিজাইনের লম্বা ধরনের কুর্তা পরে নিতে পারেন। কামিজ বা কুর্তার সঙ্গেও পছন্দসই একটি শাল। শাড়ির পাশাপাশি দিবসটিতে সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়ার ফ্যাশনও কম যায় না। যারা শাড়ি পরতে চান না, তারা সালোয়ার-কামিজ, সিঙ্গেল কামিজ, টপস এবং টপসের সঙ্গে লাল-সবুজ সিঙ্গেল ওড়না, ফতুয়া জিন্স পরতে পারেন।

 

বাঙালি নারীর সাজ গয়না ছাড়া যেন অপূর্ণ। শাড়ির সঙ্গে লাল-সবুজ হাত ভরা রেশমি কাচের চুড়ি অথবা বিভিন্ন মেটালের চুড়ি পরা যেতে পারে। গলা, কানে গয়না হিসেবে বিডস, পার্ল, মেটালের গয়না দিবসভিত্তিক সাজপোশাকে বেশ মানিয়ে যায়। মাটির গয়না, পাথরের সেট, পুটি, বিডস ইত্যাদি থাকে এ ধরনের গয়নায়। এবার আসা যাক মেকআপ আর চুলের সাজসজ্জায়। শাড়ির সঙ্গে ভারী সাজ ভালোই লাগবে। কুর্তি, টপসের সঙ্গে  হালকা সাজই সুন্দর। এ ছাড়া খোলা চুলে ওয়েভ কার্ল, স্পাইরাল করে নিতে পারেন। যারা চুল আটকে রাখতে চান তারা চুলে বেণি করতে পারেন, পনিটেল, ফ্রেঞ্চ বেণি করে নিলেও ভালো লাগবে।

 

লেখা : ফেরদৌস আরা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর