নিয়মিত ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার : ঋতু যাই হোক- ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অপরিহার্য। শুষ্ক বা তৈলাক্ত, সব ধরনের ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। এ সময় জেল বা ক্রিম বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো। জেল ময়েশ্চারাইজার সব ধরনের স্কিনের সঙ্গে মানিয়ে যায়। ক্লেনজার দিয়ে মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। জেল ময়েশ্চারাইজার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে।
সানস্ক্রিনের ব্যবহার : অনেকেই এ সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে চান না। কিন্তু সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। ত্বকের সুরক্ষায় ঘর থেকে বের হওয়ার ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
পায়ের যত্ন : এ সময় ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। এ সময়ের প্যাকগুলো হওয়া উচিত এমন ইনগ্রেডিয়েন্টযুক্ত যেগুলো ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখবে এবং কোমল করে তুলবে। এমনি একটি প্যাক- মধু-গোলাপ জলের প্যাক। এক টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখ, গলা ও ঘাড়ে ব্যবহার করুন। ১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা দূর করে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্ক্র্যাব : চিনি, লেবুর রস এবং অলিভ অয়েল ও চালের গুঁড়া দিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। এবার কিছুক্ষণ এই মিশ্রণ দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন।
গোলাপজল : তৈলাক্ত ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে একটা এয়ারটাইট বোতলে ১০০ মিলি গোলাপজলের সঙ্গে এক চামচ শুদ্ধ গ্লিসারিন মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। যখনই ত্বকে শুষ্কতাজনিত টান অনুভব করবেন, এই মিশ্রণ তুলোয় করে লাগাবেন।
শসার ব্যবহার : একটা শসা কুড়িয়ে, সেটা থেকে রসটা বের করে এক চামচ চিনি ভালো করে মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। ত্বকে মেখে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। শসার রস ত্বককে হাইড্রেট করে, ফলে ত্বকের পোড়া ভাব দূর করে, ত্বক হয় মসৃণ ও উজ্জ্বল।
ভিতর থেকে যত্ন : ত্বকের যত্ন শুধু বাইরে থেকে নিলেই চলবে না, যত্ন নিতে হবে ভিতর থেকেও। মাঝে মাঝে হালকা এক্সারসাইজ করুন, সকালে বা বিকালে হাঁটতে বেরোন। এক্সারসাইজ করলে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং কোষ সজীব থাকবে। প্রচুর পরিমাণে তাজা শাকসবজি এবং কলা, আপেল, পাকা পেঁপে এবং কমলালেবু ইত্যাদি ফল খান। তেল-মসলা এবং বাইরের খাবার যত দূর সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত যত্নে ত্বকের সজীবতা বজায় থাকবে। এক দিন বা হঠাৎ এক দিন ত্বকের পরিচর্চা করে তেমন কিছু হবে না। ত্বকের পরিচর্চা করা উচিত নিয়মিত। তবে ঘরের পরিচর্যায় যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
লিখেছেন- তাহমিনা আক্তার