শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯ আপডেট:

ডার্ক ওয়েব-ডিপ ওয়েব

ইন্টারনেটের যে জগৎ আমাদের অচেনা

রণক ইকরাম
প্রিন্ট ভার্সন
ইন্টারনেটের যে জগৎ আমাদের অচেনা

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের লাখো কোটি ওয়েবসাইট আমাদের সামনে থাকলেও এর পেছনেও রয়েছে আরও একটি জগৎ। সেই জগৎকে বলা হয় ডিপ ওয়েব। ডিপ ওয়েবের কোনো কিছুই সাধারণের জন্য অ্যাকসেসযোগ্য নয়। আর ডিপ ওয়েবেরও গভীরে আরও গোপনে থাকে রহস্যময় ডার্ক ওয়েব। ডার্ক ওয়েবকে বলা হয় অপরাধ ও অপরাধীদের স্বর্গ। প্রচলিত ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ডার্ক ওয়েবের কোনো অ্যাকসেস নেই। এর জন্য আলাদা ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য মানুষকে ডার্ক ওয়েব ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা নয়। কারণ ডার্ক ওয়েব ব্যবহার বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সচেতনতা এবং জানার পরিধি বাড়ানোর জন্যই আজ আমরা ইন্টারনেটের অচেনা জগৎ সম্পর্কে জানব।

 

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা WWW

ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট অ্যাড্রেসে আমরা WWW ব্যবহার করি। এর মানে হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব। এটি একটি তথ্যভাণ্ডার, যেখানে তথ্য বা নথিপত্র থাকে। আর এগুলো ইন্টারনেট দ্বারা অ্যাকসেস করা যায়। ১৯৮৯ সালে টিম বার্নার্স লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উদ্ভাবন করেন। এটি হলো ইন্টারনেট অ্যাকসেস করার প্রাথমিক সরঞ্জাম। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ওয়েবসাইটগুলোকে হাইপারটেক্সট লিঙ্কগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। হাইপার লিঙ্কগুলো ব্যবহারকারীদের একটি ডোমেইনের অধীনে, একাধিক ওয়েব পেজ ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের তিনটি স্তর। যথা :

এক. সারফেস ওয়েব বা ইন্টারনেটের দৃশ্যমান অংশ। দুই. ডিপ ওয়েব বা গভীর অংশ। আর তিন. ডার্ক ওয়েব বা ইন্টারনেটের অদৃশ্য বা লুকায়িত অংশ। ডার্ক ওয়েব দিয়ে ব্যবহারকারীদের এবং ওয়েবসাইট মালিকদের পরিচয় লুকিয়ে রাখা যায়।

 

সারফেস ওয়েব

সারফেস ওয়েব ইন্টারনেটের একমাত্র দৃশ্যমান অংশ। স্পষ্ট করে বললে আমরা সচরাচর ইন্টারনেটের যে অংশটিতে বিচরণ করে বেড়াই সেটিই সারফেস ওয়েব। সারফেস ওয়েবের সব ওয়েবসাইট  সাধারণ সার্চ ইঞ্জিনেই খুঁজে পাওয়া যাবে। সারফেস ওয়েব ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটি ছোট অংশ, যেটি জনসাধারণের জন্য একমাত্র অ্যাকসেসযোগ্য অংশ। বলা হয়ে থাকে সারফেস ওয়েব হচ্ছে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মাত্র ১০ শতাংশ।

গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদি ওয়েবসাইট সাধারণ সারফেস ওয়েবের অন্তর্ভুক্ত। সারফেস ওয়েবের সাইটগুলো সাধারণত .com, .org, .in, .ae   ইত্যাদি ডোইমেন ব্যবহার করে। এসব ওয়েবসাইটে অ্যাকসেস বা প্রবেশ করতে কোনো বিশেষ কনফিগারেশন প্রয়োজন পড়ে না। বলা হয়ে থাকে এই অংশের সাইজ ১৯ টেরাবাইট, যেখানে প্রায় ১০০ কোটি ওয়েবসাইট রয়েছে।

 

ডিপ ওয়েব

ডিপ ওয়েব ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটি লুকানো অংশ। এই অংশটি গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন থেকে লুকানো থাকে। সার্চ ইঞ্জিন বিভিন্ন ওয়েবসাইটগুলোকে ইনডেক্স করে রাখে। যেন খুঁজলে সেগুলো পাওয়া যায়। তবে কোনো ওয়েবসাইট যদি সার্চ ইঞ্জিনকে ইনডেক্স করার অনুমতি না দেয়, তাহলে সেগুলো সার্চ ইঞ্জিন খুঁজে পাবে না। আর এটাই ডিপ ওয়েব। একটি ওয়েবসাইটের ব্যাক এন্ডে যা যা থাকে সেগুলো ডিপ ওয়েবের অংশ। ডিপ ওয়েব সাধারণের জন্য অ্যাকসেসযোগ্য নয়। ডিপ ওয়েব সাধারণত ব্যাংকিং, ক্লাউড স্টোরেজ, সরকারি তথ্য, ওয়েবমেইল বা অন্যান্য পেমেন্ট পরিষেবা ইত্যাদির জন্য ব্যবহার করা হয়। ডিপ ওয়েবে প্রবেশ করতে আইপি ঠিকানা কিংবা সরাসরি ইউআরএল দরকার। অনেক ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ডসহ অন্যান্য সিকিউরিটি থাকে। ডিপ ওয়েবকে ডিপ নেট, দ্য ইনভিজিবল ওয়েব, হিডেন ওয়েব, আন্ডার নেট ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়।

 

ডার্ক ওয়েব

ডার্ক ওয়েব বা ডার্ক নেট হচ্ছে ডিপ ওয়েবেরও গভীরে আরও একটি লুকায়িত অংশ। ইন্টারনেটের এই অংশে নিজের ছদ্ম অবস্থা বজায় রেখে কাজ করতে পারেন। সাধারণ সাইটে কেউ ব্রাউজ করলে আইপি অ্যাড্রেসের মাধ্যমে তাকে ট্রেস করা সম্ভব। কিন্তু ডার্ক ওয়েবে সেটা সম্ভব নয়। ডার্ক ওয়েব ডিপ ওয়েবের তুলনায় অনেক ছোট। মূলত নিষিদ্ধ ও বেআইনি কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় ডার্ক ওয়েব। এই ওয়েব অ্যাকসেসের জন্য আলাদা কনফিগারেশনের সফটওয়্যার প্রয়োজন পড়ে। টর ব্রাউজার ডার্ক ওয়েব অ্যাকসেসের সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে ডার্ক ওয়েবের ওয়েবসাইট অ্যাকসেস করা যায়। ডার্ক  ওয়েবের ওয়েবসাইটগুলোর নাম যেমন অ™ভুত হয়, তেমনি এর ডোমেইন নামও অ™ভুত হয়ে থাকে। সারফেস ওয়েবের ডট কম ডট নেটের মতো ডার্ক ওয়েবের ডোমেইন নেমে থাকে ডট অনিয়ন। টর ব্রাউজার বা ডার্ক ওয়েবে সারফেস ওয়েবের সাইটগুলো ভিজিট করা গেলেও ডার্ক ওয়েবের সাইটগুলো সাধারণ ব্রাউজারে ওপেন হয় না। বেশির ভাগ হ্যাকারই ডিপ ওয়েব ও ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে থাকে।

ডার্ক ওয়েবে অবৈধ কার্যকলাপ, জুয়া, ড্রাগ, শিশু পর্নোগ্রাফি, অস্ত্র ইত্যাদির মতো খারাপ কার্যক্রম হয়ে থাকে। সেখানে প্রফেশনাল হ্যাকার থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধী ভাড়া করা যায়। ডার্ক ওয়েবে সাধারণ অনলাইন কারেন্সিতে লেনদেন হয় না। সেখানে বিট কয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা হয়। আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেট প্লেসের সবচেয়ে বড় অংশই ডার্ক ওয়েবে। অনলাইনে টাকা চুরি, ওয়েবসাইট হ্যাকিং, ব্যক্তিগত ইনফরমেশন চুরি, সরকারি গোপন নথি, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি, চোরাকারবার ইত্যাদি ডার্ক ওয়েবের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

 

কীভাবে সৃষ্টি হলো ডার্ক ওয়েব?

ব্যক্তিগত, গোপন তথ্যাদি এবং ব্যাক অ্যান্ড ডাটা সুরক্ষার জন্য অটোম্যাটিক্যালি সূত্রপাত হয়েছে ডিট ওয়েবের। কিন্তু ঠিক কীভাবে ডার্ক ওয়েবের জন্ম হলো এ নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারের শুরু থেকেই মানুষ বিভিন্নভাবে নিজের পরিচয় গোপন রাখার চেষ্টায় রত ছিল। মূলত এই ধারণা থেকেই প্রক্সি সার্ভার, ভুয়া আইপি ইত্যাদির প্রচলন ঘটে। এগুলোকেও অনেকে ক্ষেত্রে ডার্ক ওয়েবের আওতায় ধরা যায়। বহু আগে থেকেই বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ গোপনীয়তার সঙ্গে নিজেদের অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি প্রক্রিয়া শুরু করতে চাচ্ছিল। সামরিক বাহিনী, বিপ্লবী, ব্যবসায়ী, হ্যাকার, এমনকি অনেক দেশের প্রশাসনও এমন একটি ইন্টারনেট ব্যবস্থা তৈরি করতে চেয়েছে যার মাধ্যমে তারা গোপনে নিজেদের ভিতর তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে। মূলত সেই ধারণা থেকেই ডার্ক ওয়েবের উদ্ভব। সাধারণত অনলাইনে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ, ডাউনলোড-আপলোড পর্যবেক্ষণ করার অ্যাকসেস থাকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা যে কারও কাছেই তারা তথ্য সরবরাহ করতে পারে। এভাবে যেন সহজেই কেউ ট্রেস করতে না পারে সে উদ্দেশ্যে ডার্ক ওয়েবের সৃষ্টি এবং আস্তে আস্তে অপরাধীরা এসে এর ছায়াতলে ভিড় করে।

 

কী আছে এখানে?

ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে মানুষের আগ্রহের কোনো শেষ নেই। এই আগ্রহের বিষয়টি হচ্ছে ডার্ক ওয়েবের কনটেন্ট। অনেকের ধারণা ডার্ক ওয়েবে বুঝি কেবল খারাপ বা নেগেটিভ বিষয়ই চর্চা হয়। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ধরুন ডার্ক ওয়েব থেকে আপনি একজন হ্যাকার ভাড়া করলেন। সেই ইথিক্যাল হ্যাকার টাকার জন্য আপনি যা করতে বলবেন তাই করে দেবে। এখন বিষয় হচ্ছে আপনি কারও ক্ষতি করার জন্য হ্যাকারকে ব্যবহার করবেন নাকি নিজের কোনো কিছু উদ্ধার বা সুরক্ষার জন্য হ্যাকারকে ব্যবহার করবেন। তাই ব্যবহারের ওপরই আসলে ভালো-মন্দটা নির্ভর করে।

তবে এটা সত্য যে, ডার্ক ওয়েবে এমন সব জিনিস আছে, যা কেউ কখনো কল্পনাও করতে পারবে না। বিরল মাদক, অস্ত্র থেকে শুরু করে পেশাদার খুনিও ভাড়া পাওয়া যায় এখানে। বিশ্ব কাঁপিয়ে দেওয়া উইকিলিকসের শুরু হয়েছিল ডার্ক ওয়েবেই। শুধু তাই নয়, এখানে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ চাইল্ড পর্নোগ্রাফি কিংবা এর চেয়ে ভয়ঙ্কর সব বিষয় মিলবে সহজেই। পতিতা ভাড়া করা কিংবা সারফেস ওয়েবে নিষিদ্ধ যে কোনো কিছুরই সমাধান রয়েছে এখানে। আবার ধরুন কোনো বই নিষিদ্ধ কিংবা পাইরেটেড বই-মুভি সবকিছুরই সংগ্রহ রয়েছে ডার্ক ওয়েবে। বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টও পাওয়া যায় স্বল্প দামে। বিশ্বের যে কোনো দেশের অবৈধ পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা এরকম গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেট ডুপ্লিকেট কপি তৈরিতে ওস্তাদ ডার্ক ওয়েব। অবৈধ অস্ত্র, গোলা-বারুদ তৈরির উপায় জানা যাবে এখান থেকে। টর্চার, রেপ, বিকৃত রুচির মানুষের বিচরণ রয়েছে ডার্ক ওয়েবের নানা সাইটে। যারা টাকার বিনিময়ে লাইভে অন্য মানুষদের টর্চার হতে দেখে। বিভিন্ন মানুষকে জোর করে ধরে এনে নির্যাতন করা হয়। এবং তা লাইভে দেখানো হয় যা এতই ভয়াবহ যে, সাধারণ মানুষ তা সহ্য করতে পারবে না। এমনকি, মানুষের ওপর মেডিকেল গবেষণা করার জন্য জ্যান্ত মানুষও পাওয়া যায়। অর্থাৎ, বিভিন্ন ছিন্নমূল মানুষ যাদের মৃত্যু হলেও কেউ টের পাবে না, এদের ধরে এনে অমানবিক গবেষণা চালানো হয়। ডার্ক ওয়েবে বেশকিছু আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক তাদের কর্মকাণ্ড চালায় বলে তথ্য রয়েছে। আবার অনেক ভালো কিছু আছে এখানে। যেমন বিভিন্ন ধরনের রিসার্চ পেপার। সাধারণ ওয়েব বা সারফেস ওয়েবে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ রিসার্চ পেপার খুঁজে পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ডার্ক ওয়েব।

 

ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ বেআইনি

ডার্ক ওয়েবে প্রবেশের জন্য টর [TOR] নামের একটি বিশেষ ব্রাউজার ব্যবহার করা হয়। যে কেউ চাইলে তার কম্পিউটারে মজিলা কিংবা গুগল ক্রোমের মতো এই ব্রাউজারটি ইনস্টল করে ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু খুব জরুরি এবং এ ধরনের বিষয়ে অভিজ্ঞ কেউ না হলে নিছক কৌতূহলবশত ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ না করাটাই উত্তম। এর অনেক কারণ রয়েছে, প্রথমত. ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ সম্পূর্ণ বেআইনি। আবার আপনি যদি নেহাত কৌতূহলবশত ডার্ক নেটে প্রবেশ করেন তাহলে আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস অ্যাটাক হতে পারে। সেই সঙ্গে এরা এমন সব সফটওয়্যার ইনস্টল করতে বলে, যা কম্পিউটারের জন্য খুবই ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, অনির্দিষ্ট সার্ভারে কপি হয়ে যেতে পারে আপনার সব ব্যক্তিগত তথ্য। ডার্ক নেটের সাইটগুলোর নামও থাকে খুব উদ্ভট ধরনের। মনে হয় কেউ বুঝি ভুলে উল্টা-পাল্টা টিপাটিপি করেছে। সারফেস ওয়েবে যেমন কোনো অনিরাপদ সাইটে প্রবেশ করতে চাইলে ব্রাউজার বাধা দেয়, সতর্ক করে। কিন্তু ডার্ক ওয়েবে এরকম কোনো ব্যবস্থা নেই। ডার্ক ওয়েবে আপনাকে ব্রাউজ করতে হবে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে। অনেক ক্ষেত্রে অচেনা-অজানা ব্যবহারকারী ও প্রফেশনাল হ্যাকাররা ওঁৎ পেতে থাকে। তাই, নিছক কৌতূহল থেকে ডার্ক ওয়েব নিয়ে না ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ।

 

ডার্ক ওয়েব কি সত্যি অস্পৃশ্য

কেউ যদি মনে করেন যে, ডার্ক ওয়েব ব্যবহারকারীদের খুঁজে পাওয়া অসম্ভব, তাহলে সেটি কিন্তু ভুল। ২০১১ সালে খোদ টর ব্রাউজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে যে, এটি আসলে একটি গোয়েন্দা সংস্থার নিজস্ব প্রোডাক্ট। মূলত অপরাধীদের শনাক্ত করতেই এটিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। ডার্ক নেটে প্রবেশ করতে হয় অনিয়ন নেটওয়ার্কের টর ব্রাউজারের মাধ্যমে। টর ব্রাউজারের ডিফল্ট সেটিং ব্যবহারকারীর পরিচয় লুকিয়ে রাখে। যখন কেউ এটি দিয়ে কোনো সাইটে ঢুকতে যাবে, তখন টর এই অনুরোধটি জটিল এনক্রিপশনের মধ্য দিয়ে অনিয়ন প্রক্সিতে পাঠাবে। অনিয়ন প্রক্সি এই ডাটা নিয়ে আবার সাধারণ রাউটারে যাবে। সেখানে যাওয়ার আগে অনিয়ন নেটওয়ার্কের প্রবেশপথে এই ডাটা আবার এনক্রিপশনের ভিতর দিয়ে যায় এবং অনিয়নের একাধিক রাউটার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সেটি আবারও এনক্রিপ্টেড হয়। ফলে এখানে ডাটা চুরি করে এর প্রেরক এবং প্রাপক চিহ্নিত করা অনেক কঠিন। তবে একেবারে অসম্ভব নয়। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ ‘সিল্ক রোড’। মাদকদ্রব্য বেচাকেনার সবচেয়ে বিখ্যাত অনলাইন ব্ল্যাক মার্কেট সিল্ক রোড ২০১১ সালে ডার্ক ওয়েবে যাত্রা শুরু করে। ২০১৩ সালে এফবিআই ওয়েবসাইটটিকে বন্ধ করে দেয় এবং এর প্রতিষ্ঠাতা রস উইলিয়াম উলব্রিচকে গ্রেফতার করে। ফলে ডার্ক ওয়েবকে একেবারে অস্পৃশ্য ভাবার কোনো কারণ নেই।

 

ডার্ক নেটের মুদ্রা বিটকয়েন

১ বিটকয়েন =

৩১৮, ৯৭১.১৫ টাকা

ডার্ক ওয়েবে লেনদেনের জন্য বিটকয়েন নামক মুদ্রা ব্যবহার করা হয়। ইন্টারনেট অবলম্বনে ১ বিটকয়েন = ৩১৮, ৯৭১.১৫ বাংলাদেশি টাকা বলে জানা গেছে। কেবল ডার্কনেট নয়, অনলাইনে ডলার-পাউন্ড-ইউরোর পাশাপাশি কেনাকাটা করা যায় বিটকয়েনে।

বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি। তবে এটিই একমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সি নয়। ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে বিটকয়েন অন্যতম জনপ্রিয়। বিটকয়েনের সাফল্যের পর এরকম হাজারখানেক ভার্চুয়াল মুদ্রা চালু করা হয়। তবে এই মুদ্রাগুলো খুব একটা জনপ্রিয় হয়নি। অধিকাংশ মুদ্রাই বিফল হয়েছে। তবে এ থেকে ভার্চুয়াল মুদ্রানির্ভর আর্থিক ব্যবস্থার ধারণা আরও প্রকট হয়।

তবে অন্যান্য মুদ্রাব্যবস্থায় যেমন সে দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক জড়িত থাকে, বিটকয়েনের ক্ষেত্রে তা নয়। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামের কেউ কিংবা একদল সফটওয়্যার ডেভেলপার নতুন ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রার প্রচলন করে। এ ধরনের মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি নামে পরিচিতি পায়। নাকামোতোর উদ্ভাবিত সে ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম দেওয়া হয় বিটকয়েন। বিটকয়েন লেনদেনে কোনো ব্যাংকিং ব্যবস্থা নেই। ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অনলাইনে দুজন ব্যবহারকারীর মধ্যে সরাসরি (পিয়ার-টু-পিয়ার) আদান-প্রদান হয়। লেনদেনের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হয় ক্রিপ্টোগ্রাফি নামের পদ্ধতি।

এখনো অনেক দেশে মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি না পেলেও দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বিটকয়েন। ফলে অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিটকয়েনের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রচলিত পদ্ধতিতে ২ কোটি ১০ লাখ বিটকয়েনের প্রচলন সম্ভব। অর্থাৎ সরবরাহ সীমিত। সে জন্যই বিটকয়েনকে সোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়। খনি থেকে উত্তোলনের একপর্যায়ে গিয়ে যেমন সোনার সরবরাহ শেষ হয়ে যাবে। এরপর উত্তোলিত  সোনার বিকিকিনি হতে পারে। তবে নতুন করে উত্তোলনের সুযোগ থাকবে না। বিটকয়েনের ধারণাও তা-ই। অ্যালগরিদমের সমাধানের মাধ্যমে বিটকয়েন ‘উত্তোলন’ করতে হয়, যা বিটকয়েন মাইনিং হিসেবে পরিচিত। আর বর্তমান হারে চলতে থাকলে ২ কোটি ১০ লাখ বিটকয়েন মাইনিং করতে ২১৪০ সাল লেগে যাবে।

বিটকয়েনের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় এর ভগ্নাংশ সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে। অর্থাৎ বিটকয়েনের ভগ্নাংশ কেনাও সম্ভব। উদ্ভাবকের নামের সঙ্গে মিল রেখে বিটকয়েনের ভগ্নাংশ সাতোশি নামে পরিচিত। এক বিটকয়েনের ১০ কোটি ভাগের এক ভাগ হলো এক সাতোশি।

 

নিরাপত্তার খাতিরেই ডার্ক ওয়েবের ধারণা

সাধারণ ব্যবহারকারীদের অনেকেই প্রক্সি/ভিপিএন শব্দগুলোর সঙ্গে পরিচিত। বিশেষ করে আমাদের দেশে যখন ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখন এগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এগুলোর কাজ আসলে কী? এগুলো ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের আইপি [ক্লায়েন্ট আইপি] এবং যে সার্ভারে তথ্য পাঠানো হচ্ছে সেই সার্ভারের আইপির মাঝে একটা মধ্যবর্তী আইপি হিসেবে কাজ করে। ফলে সার্ভার সাইড আইপি থেকে মনে হয় যেন মধ্যবর্তী আইপি থেকেই রিকোয়েস্ট আসছে। ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপনের জন্য মধ্যবর্তী একটা ধাপ ব্যবহার করে। ভিপিএন বা প্রক্সি অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইট অ্যাকটিভ থাকলে ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট কানেকশনের প্রকৃত আইপি অ্যাড্রেসকে লুকিয়ে রাখছে। আর এই ধারণারই উন্নততর জটিল এবং এনক্রিপ্টেড সিস্টেম অনুসরণ করা হয় টর ব্রাউজারে। যেটি আগেই বলা হয়েছে। অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন ডার্ক ওয়েবে এত অপরাধ সংঘটিত হলে এর প্রয়োজনটা আসলে কী? প্রয়োজন একেবারে ফেলনা নয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে নিরাপত্তার খাতিরেই ডার্ক ওয়েব ধারণাটির জন্ম হয়েছে। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় এমন অনেক গোপন বিষয় থাকে যেগুলো সাধারণের কাছে লুকিয়ে রাখা জরুরি। যেমন : গোয়েন্দারা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মী বা সাধারণ মানুষও নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে চায় গোপনীয়তার সঙ্গে। এর বাইরে মানবাধিকার কর্মী, হুইসেলব্লোয়ার (যারা বিভিন্ন সেনসেটিভ ব্যাপারে তথ্য ফাঁস করে), সমাজকর্মী, কোনো রাজনৈতিক বা অন্য উদ্দেশ্যে গড়া দল যারা নিজেদের সংগঠনকে প্রকাশ্যে না নিয়ে এসে গোপনে কার্যক্রম চালাতে চায়। এমন আরও অনেক কমিউনিটি আছে যারা নিজেদের গোপন রাখতে চায়। এগুলো অবশ্য ভালো কাজের নানাদিক। মূলত এই তথ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ধারণা থেকেই ডার্ক নেটের জন্ম। আর যেহেতু যে কোনো ভালো উদ্যোগকেই অপরাধী বা ক্রিমিনালরা খারাপভাবে ব্যবহার করতে পারে, এখানেও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। গোপনীয়তা এবং ক্রিপ্টাকারেন্সি মুদ্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে লেনদেনের সুবিধা থাকায় অপরাধীরা বেছে নিচ্ছে ডার্ক ওয়েবকে।

 

একঝলকে ইন্টারনেট

এই বিভাগের আরও খবর
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
সর্বশেষ খবর
নেত্রকোনায় ট্রাকের সাথে সিএনজির সংঘর্ষ, নিহত দুই
নেত্রকোনায় ট্রাকের সাথে সিএনজির সংঘর্ষ, নিহত দুই

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাকরির শেষ কর্মদিবসে বিদ্যালয়েই মারা গেলেন প্রধান শিক্ষক
চাকরির শেষ কর্মদিবসে বিদ্যালয়েই মারা গেলেন প্রধান শিক্ষক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গুম-খুনের অভিযোগ : সিআইডির এডিশনাল এসপি মশিউর কারাগারে
গুম-খুনের অভিযোগ : সিআইডির এডিশনাল এসপি মশিউর কারাগারে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল
জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সরানো হলো ডিএসসিসির প্রশাসক ও ঢাকা ওয়াসার এমডিকে
সরানো হলো ডিএসসিসির প্রশাসক ও ঢাকা ওয়াসার এমডিকে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ষড়যন্ত্র আরও গভীর হচ্ছে: জাকের পার্টি
ষড়যন্ত্র আরও গভীর হচ্ছে: জাকের পার্টি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিসিফাসের পাথর ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
সিসিফাসের পাথর ও রাজনৈতিক বাস্তবতা

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

রান তাড়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফাইনালে ভারত
রান তাড়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফাইনালে ভারত

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জকসু নির্বাচন সামনে রেখে ২৬ দফা আচরণবিধি প্রকাশ
জকসু নির্বাচন সামনে রেখে ২৬ দফা আচরণবিধি প্রকাশ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পিরোজপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক: ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচার
পিরোজপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক: ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তফসিলের পর প্রশাসন-পুলিশে রদবদলের উদ্যোগ নেবে ইসি
তফসিলের পর প্রশাসন-পুলিশে রদবদলের উদ্যোগ নেবে ইসি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডোপ টেস্ট পজিটিভ হলে জকসুর প্রার্থিতা বাতিল
ডোপ টেস্ট পজিটিভ হলে জকসুর প্রার্থিতা বাতিল

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাড্ডায় মেট্রো লাইন স্থানান্তর শুরু, বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ
বাড্ডায় মেট্রো লাইন স্থানান্তর শুরু, বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোনারগাঁয়ে কাভার্ডভ্যানের চাপায় অটোরিকশায় থাকা তরুণ নিহত
সোনারগাঁয়ে কাভার্ডভ্যানের চাপায় অটোরিকশায় থাকা তরুণ নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাভারে হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি অবস্থায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার
সাভারে হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি অবস্থায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে তালাবদ্ধ গোডাউনে মিলল কাঠমিস্ত্রির মরদেহ, নিখোঁজ দুই সহযোগী
মেহেরপুরে তালাবদ্ধ গোডাউনে মিলল কাঠমিস্ত্রির মরদেহ, নিখোঁজ দুই সহযোগী

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবের উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস চবি উপাচার্যের
হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবের উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস চবি উপাচার্যের

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি
কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের ২৯ দিনে প্রবাসী আয় ২৪৩ কোটি ডলার
অক্টোবরের ২৯ দিনে প্রবাসী আয় ২৪৩ কোটি ডলার

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দেশের পুষ্টি-অর্থনীতিতে গ্রামীণ নারীদের অবদান অপরিসীম: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
দেশের পুষ্টি-অর্থনীতিতে গ্রামীণ নারীদের অবদান অপরিসীম: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চলতি বছর ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন ১০ লাখের বেশি করদাতা
চলতি বছর ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন ১০ লাখের বেশি করদাতা

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বরিশালে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে থ্রি-হুইলারের যাত্রী নিহত
বরিশালে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে থ্রি-হুইলারের যাত্রী নিহত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাকশাল বিলুপ্ত করে হাসিনা তার পিতার সঙ্গে বেঈমানি করেছেন : তৃপ্তি
বাকশাল বিলুপ্ত করে হাসিনা তার পিতার সঙ্গে বেঈমানি করেছেন : তৃপ্তি

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় গরু ও বিপুল মাদকদ্রব্য জব্দ
লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় গরু ও বিপুল মাদকদ্রব্য জব্দ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘শাপলা যদি দিতেই চান একটু ফুটাইয়া দিলে ক্ষতি কী?’
‘শাপলা যদি দিতেই চান একটু ফুটাইয়া দিলে ক্ষতি কী?’

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নতুন অধ্যাদেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অনুমোদন
নতুন অধ্যাদেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অনুমোদন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাপ ও প্রতিশোধের ভয়ংকর গল্প ‘কিতাব সিজ্জিন দান ইল্লিয়িন’ আসছে স্টার সিনেপ্লেক্সে
পাপ ও প্রতিশোধের ভয়ংকর গল্প ‘কিতাব সিজ্জিন দান ইল্লিয়িন’ আসছে স্টার সিনেপ্লেক্সে

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘এসআইআর’ আতঙ্কে প্রাণ গেল আরও এক ব্যক্তির, মেয়ের বাসা থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত লাশ
‘এসআইআর’ আতঙ্কে প্রাণ গেল আরও এক ব্যক্তির, মেয়ের বাসা থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত লাশ

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামালপুরে অপহরণের ৯ ঘণ্টা পর নারীকে উদ্ধার করল পুলিশ
জামালপুরে অপহরণের ৯ ঘণ্টা পর নারীকে উদ্ধার করল পুলিশ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
নির্বাচনি প্রতীকের তালিকায় যুক্ত হলো শাপলা কলি
নির্বাচনি প্রতীকের তালিকায় যুক্ত হলো শাপলা কলি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেলে চাকরি পাচ্ছেন আজাদের স্ত্রী পিয়া
মেট্রোরেলে চাকরি পাচ্ছেন আজাদের স্ত্রী পিয়া

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অচিরেই শুরু হচ্ছে পরমাণু যুদ্ধ?
অচিরেই শুরু হচ্ছে পরমাণু যুদ্ধ?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৫৬ হাজার, সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকার প্রস্তাব
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৫৬ হাজার, সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকার প্রস্তাব

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৬ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ হবে অবৈধ মোবাইল ফোন, যেভাবে জানবেন বৈধ কি না
১৬ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ হবে অবৈধ মোবাইল ফোন, যেভাবে জানবেন বৈধ কি না

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কেন রিজার্ভে হাজার-হাজার টন স্বর্ণ রাখে?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কেন রিজার্ভে হাজার-হাজার টন স্বর্ণ রাখে?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেসবুকে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ পোস্টের প্রতিযোগিতা
ফেসবুকে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ পোস্টের প্রতিযোগিতা

১৮ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

বিশ্বব্যাপী কাল মুক্তি পাচ্ছে ‘বাহুবলী : দ্য এপিক’
বিশ্বব্যাপী কাল মুক্তি পাচ্ছে ‘বাহুবলী : দ্য এপিক’

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্যসংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশের দেড় কোটি মানুষ
ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্যসংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশের দেড় কোটি মানুষ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রয়োজন হলে আবারও প্রতীকের তালিকা সংশোধন করা হবে : ইসি সচিব
প্রয়োজন হলে আবারও প্রতীকের তালিকা সংশোধন করা হবে : ইসি সচিব

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির স্বাক্ষরিত পাতা বদল করে ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে: রিজভী
বিএনপির স্বাক্ষরিত পাতা বদল করে ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে: রিজভী

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেন ফিলিস্তিনিদের জলপাই গাছ ধ্বংস করছে ইসরায়েলিরা?
কেন ফিলিস্তিনিদের জলপাই গাছ ধ্বংস করছে ইসরায়েলিরা?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্রুতই গণভোটের সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আইন উপদেষ্টা
দ্রুতই গণভোটের সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আইন উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াতসহ আট দল
নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াতসহ আট দল

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
রাজধানীতে ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘শাপলা যদি দিতেই চান একটু ফুটাইয়া দিলে ক্ষতি কী?’
‘শাপলা যদি দিতেই চান একটু ফুটাইয়া দিলে ক্ষতি কী?’

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ব্রাজিলে লাশের স্তুপ, আসলে কি ঘটছে?
ব্রাজিলে লাশের স্তুপ, আসলে কি ঘটছে?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সুপারিশ একপেশে : মির্জা ফখরুল
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সুপারিশ একপেশে : মির্জা ফখরুল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পেন্টাগনকে পুনরায় পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুরুর নির্দেশ ট্রাম্পের
পেন্টাগনকে পুনরায় পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুরুর নির্দেশ ট্রাম্পের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি তৈরি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি নিয়ে তারেক রহমানের বার্তা
ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি তৈরি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি নিয়ে তারেক রহমানের বার্তা

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নিজেদের সেনাদের মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে রুশ কমান্ডাররা
নিজেদের সেনাদের মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে রুশ কমান্ডাররা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে সরকার
কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে সরকার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনের দিন ছাড়া গণভোটের সিদ্ধান্ত মানবে না বিএনপি: মির্জা ফখরুল
নির্বাচনের দিন ছাড়া গণভোটের সিদ্ধান্ত মানবে না বিএনপি: মির্জা ফখরুল

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ব্রাজিলে মাদকচক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান, নিহত ১৩২
ব্রাজিলে মাদকচক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান, নিহত ১৩২

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাড্ডায় মেট্রো লাইন স্থানান্তর শুরু, বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ
বাড্ডায় মেট্রো লাইন স্থানান্তর শুরু, বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইরানের চাবাহার বন্দর নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ছাড় পেল ভারত
ইরানের চাবাহার বন্দর নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ছাড় পেল ভারত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ‘না’ ভোটে গেলে গণভোট অর্থহীন হবে: দুদু
বিএনপি ‘না’ ভোটে গেলে গণভোট অর্থহীন হবে: দুদু

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি ও আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি ও আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
হাসিনা পালানোর খবর শুনেও এলোপাতাড়ি গুলি করে পুলিশ
হাসিনা পালানোর খবর শুনেও এলোপাতাড়ি গুলি করে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভাঙছে সঞ্চয়পত্র কমছে কেনা
ভাঙছে সঞ্চয়পত্র কমছে কেনা

পেছনের পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা কিংস-কুয়েত এসসি মুখোমুখি আজ
বসুন্ধরা কিংস-কুয়েত এসসি মুখোমুখি আজ

মাঠে ময়দানে

বিএনপিসহ তিন দলের একক প্রার্থী মাঠে সব পক্ষের সরব উপস্থিতি
বিএনপিসহ তিন দলের একক প্রার্থী মাঠে সব পক্ষের সরব উপস্থিতি

নগর জীবন

নব্বইয়ের দশকের রোমান্টিক জুটি নাঈম-শাবনাজ
নব্বইয়ের দশকের রোমান্টিক জুটি নাঈম-শাবনাজ

শোবিজ

তমালের সত্য ঘটনায় আরশ-উর্বী
তমালের সত্য ঘটনায় আরশ-উর্বী

শোবিজ

চ্যালেঞ্জটা নিতে পারলেন না লিটনরা!
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারলেন না লিটনরা!

মাঠে ময়দানে

এক বছরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
এক বছরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের ‘রেডিমেড’ প্রতিপক্ষ নেপাল
বাংলাদেশের ‘রেডিমেড’ প্রতিপক্ষ নেপাল

মাঠে ময়দানে

বদলে যাওয়া বাঁধন
বদলে যাওয়া বাঁধন

শোবিজ

মুক্তিযুদ্ধ আর বিরোধীদের একসঙ্গে মেলানো যাবে না
মুক্তিযুদ্ধ আর বিরোধীদের একসঙ্গে মেলানো যাবে না

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আদালতের সেরেস্তাদার রিমান্ডে
আদালতের সেরেস্তাদার রিমান্ডে

নগর জীবন

বিএনপি ‘না’ ভোটে গেলে গণভোট অর্থহীন হবে
বিএনপি ‘না’ ভোটে গেলে গণভোট অর্থহীন হবে

নগর জীবন

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোট দরকার
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোট দরকার

নগর জীবন

প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের ক্ষতি ২০ টাকা
প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের ক্ষতি ২০ টাকা

নগর জীবন

এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ

মাঠে ময়দানে

সিলেটে অনলাইন জুয়া খেলার সময় ১৫ জন গ্রেপ্তার
সিলেটে অনলাইন জুয়া খেলার সময় ১৫ জন গ্রেপ্তার

নগর জীবন

মোজাম্মেল হক ও খোকন দম্পতির আয়কর নথি জব্দের আদেশ
মোজাম্মেল হক ও খোকন দম্পতির আয়কর নথি জব্দের আদেশ

নগর জীবন

বেরোবির ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তোড়জোড় শুরু
বেরোবির ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তোড়জোড় শুরু

নগর জীবন

সেতুকাহিনি
সেতুকাহিনি

ডাংগুলি

ক্ষমা চাইলেন নিজের আচরণের জন্য
ক্ষমা চাইলেন নিজের আচরণের জন্য

মাঠে ময়দানে

হেমন্তে গাঁয়ের রূপ
হেমন্তে গাঁয়ের রূপ

ডাংগুলি

নজরুল ইসলাম মজুমদারকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক
নজরুল ইসলাম মজুমদারকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক

নগর জীবন

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

নারী হকিতে কোটি টাকার টুর্নামেন্ট
নারী হকিতে কোটি টাকার টুর্নামেন্ট

মাঠে ময়দানে

চাকরি ছাড়ায় হুমকির অভিযোগ
চাকরি ছাড়ায় হুমকির অভিযোগ

দেশগ্রাম

টিভিতে
টিভিতে

মাঠে ময়দানে

হেমন্তের গান
হেমন্তের গান

ডাংগুলি

আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার
আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার

নগর জীবন