শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০১৯

নরম্যান্ডি ল্যান্ডিং

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সেনা সমাবেশ

প্রিন্ট ভার্সন
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সেনা সমাবেশ
মানবেতিহাসের বৃহত্তম সামরিক অভিযানের নাম নরম্যান্ডি ল্যান্ডিং। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল এই অভিযান।
৭৫ বছর পূর্তিতে এই অভিযান নিয়ে লিখেছেন-  মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি

 

ইতিহাসের পাতায় নরম্যান্ডি

আজ থেকে ৭৫ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৪৪ সালের ৬ জুন, সকাল সাড়ে ৬টায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জার্মানি অধীকৃত ফ্রান্সে মিত্রবাহিনীর বিজয়গাথা শুরু হয় ‘অপারেশন ওভার লর্ড’-এর মাধ্যমে। এই দিনটি ‘ডি ডে’ হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে ইতিহাসের ক্যালেন্ডারে। সমুদ্র এবং আকাশপথে সৈন্য সমাবেশ ও যুদ্ধ পরিচালনার দিক থেকে পৃথিবীর এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ সামরিক অভিযানের সূত্রপাত হয় এই দিনে। ৭৫ বছর পূর্তিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ দেশ-বিদেশের বহু বরেণ্য নেতা ও সেনানায়ক শ্রদ্ধাভরে সেদিনের বীর সেনানীদের স্মরণ করেছেন, জানিয়েছেন বিনম্র শ্রদ্ধা ও অভিবাদন। সামরিক ইতিহাস এবং রণকৌশল শিক্ষার বহু উপাদান এসেছে এই অপারেশন থেকে। ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা নরম্যান্ডিতে একসঙ্গে সামুদ্রিক নৌযান থেকে হাজার হাজার সৈন্য অবতরণ করে আর জল ও স্থল, উভয় ক্ষেত্রে চলতে সক্ষম শত শত ট্যাংকের সমাবেশ ঘটানোর কারণে অনেকের কাছেই এ অভিযানটি ‘নরম্যান্ডি ল্যান্ডিং’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

 

নরম্যান্ডি যুদ্ধের প্রেক্ষাপট

১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়। তবে যুদ্ধ সমাপ্তির চূড়ান্ত রূপ দেখা যায় ১৯১৯ সালে ২৮ জুন যুদ্ধবাজ জার্মানি ও অবশিষ্ট দেশসমূহের বা মিত্রশক্তির মধ্যে ঐতিহাসিক ভার্সাইলস চুক্তি সম্পাদনের পর। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জার্মানি এই চুক্তি মেনে নিলেও তা মন থেকে গ্রহণ করেনি জার্মানরা। এরই মধ্যে ১৯৩৩ সালের ৩০ জুন জার্মানির চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন মানবেতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর এবং একগুঁয়ে স্বৈরশাসক এডলফ হিটলার। অপরাপর জার্মানদের মতো তিনিও তৎকালে বিশ্বের দুই মোড়ল ব্রিটেন ও ফ্রান্সের খবরদারি মেনে নিতে পারেননি। তদুপরি তিনি মনে করতেন, ইহুদিদের চক্রান্তে ধনতন্ত্র এবং কমিউনিজম দ্রুতই পৃথিবীকে গ্রাস করে নিচ্ছে। এর বিপরীতে হিটলার তুলে ধরেন সমাজতন্ত্র উগ্র জাতীয়বাদ তত্ত্ব; যার মূলকথা ‘জার্মানিই শ্রেষ্ঠ’। এরই ধারাবাহিকতায় হিটলার জার্মানি থেকে ইহুদি বিতাড়ন এবং ইউরোপজুড়ে জার্মানিদের প্রভাব বিস্তারের নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করেন, যা জার্মানি ভাষায় নিউ অর্ডনাঙ্গ অর্থাৎ নিউ অর্ডার নামে পরিচিতি পায়। হিটলার ইউরোপজুড়ে ইহুদি বসতির জন্য আরও ভূমি দাবি করে জার্মানিতে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। ১৯৩৩ সালে জার্মানি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে শুরুর ছয় বছরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠা এবং তার (হিটলার) ভাষায় জার্মানির ওপর অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেওয়া ক্ষতিপূরণের ধাক্কা সামলান। তারপর অগ্নিমূর্তি ধারণ করে তার কুখ্যাত ব্লিটজার বা বিদ্যুৎগতিতে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর পার্শ্ববর্তী দেশ পোল্যান্ড দখল করেন। এরই প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। জার্মানদের আক্রমণের মুখে পড়ে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া, হল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বহু দেশ এক্ষেত্রে সফল না হলেও ১৯৪০ সালের ২২ জুন আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ফ্রান্সের পতন ঘটে। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে নানা যুদ্ধ, চুক্তি স্বাক্ষর, চুক্তি ভঙ্গ ইত্যাদি ঘটলেও ফ্রান্স মূলত জার্মানদের দখলেই থেকে যায়। ১৯৪৩ সালের মাঝামাঝিতে রাশিয়ার একটি অংশও হিটলারের দখলে থাকে। প্রতি আক্রমণের মাধ্যমে রাশিয়া কিছু অংশ অবমুক্ত করলেও ফ্রান্সে জার্মানদের উপস্থিতি রাশিয়াসহ পুরো ইউরোপের জন্য বিপদের কারণ হয়ে ওঠে। এমনি এক প্রেক্ষাপটে সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিনের ক্রমাগত চাপ ও অনুরোধে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল জার্মানির দখল থেকে ফ্রান্স পুনরুদ্ধারের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেন, যার সূচনা হয় মিত্রবাহিনীর নরম্যান্ডি ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে।

 

মিত্রবাহিনীর পরিকল্পনা

জার্মানির দখল থেকে ফ্রান্সকে মুক্ত করার পদ্ধতি নিয়ে মিত্রবাহিনীর সেনানায়ক ও রাষ্ট্রনায়করা নানা রণকৌশলের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা করেন। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ‘অপারেশন ওভার লর্ড’ শিরোনামে সমুদ্র এবং আকাশপথে জার্মানদের আক্রমণ ও নরম্যান্ডি দখলের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করা হয় যে, নরম্যান্ডি উপকূলে প্রাথমিক দখল এবং নৌযান ভিড়ার মতো এলাকা তৈরির জন্য মিত্রবাহিনীর তিনটি ডিভিশন (প্রায় ৪০ হাজার সৈন্য) ব্যবহৃত হবে। আর আকাশ পাড়ি দিয়ে স্থলভাগে অবতরণ করবে দুটি ব্রিগেড (প্রায় ১০ হাজার) ছত্রীসেনা। প্রাথমিক এলাকা দখল করার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগ দিবে আরও ১১ ডিভিশন (লক্ষাধিক) সৈন্য। এই সেনাদের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে সরাসরি জাহাজযোগে আমেরিকার কয়েক লাখ সৈন্য নরম্যান্ডিতে অবতরণ করবে এবং প্যারিস হয়ে জার্মানির দিকে যাত্রা করবে। পুরো যুদ্ধ পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব দেওয়া হয় আমেরিকার ফাইভ স্টার জেনারেল ডিউইট ডেভিড আইসেন হাওয়ারকে, যিনি পরবর্তীতে আমেরিকার ৩৪তম রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। হিটলারের সেনাপতি রোমেলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মরু অঞ্চলে পাল্লা দিয়ে লড়েছিলেন ব্রিটিশ বাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল বারনার্ড ল’ মন্টোগোমারি। তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আইসেন হাওয়ারকে সার্বিক সহায়তা দেওয়ার জন্য এবং স্থলবাহিনী পরিচালনার জন্য। বিশাল বাহিনী পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ব্রিটিশ এয়ার চিফ মার্শাল আর্থার টিডার। অন্যদিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত নৌবাহিনী পরিচালনার জন্য আস্থা রাখা হয় ব্রিটিশ রয়াল নেভির এডমিরাল বারট্রাম রামসের ওপর। ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনে বসে নরম্যান্ডি দখলের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেন এই সেনানায়করা। পরিকল্পনা অনুসারে প্রতি ভিভিশনে ১০-১২ হাজার সৈন্যবিশিষ্ট দুটি আমেরিকান, দুটি ব্রিটিশ ও একটি কানাডিয়ান ডিভিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় জাহাজযোগে নরম্যান্ডি উপকূলের পাঁচটি স্থানে অবতরণ ও প্রাথমিক দখল নেওয়ার জন্য। এ পাঁচটি স্থানের ছদ্ম নাম দেওয়া হয় যথাক্রমে ওটাহ, ওমাহা, গোল্ড, জুনো এবং সোর্ড। সমুদ্র থেকে পাঁচটি ডিভিশন নামানোর পাশাপাশি দুটি আমেরিকান এবং একটি ব্রিটিশ এয়ারবর্ন ডিভিশনকে (প্রতি ডিভিশনে প্রায় ৭-৮ হাজার ছত্রীসেনা) দায়িত্ব দেওয়া প্যারাসুটের মাধ্যমে জার্মান বাহিনীর পেছনে অবতরণ করার জন্য এবং নরম্যান্ডিতে অবস্থানরত জার্মানদের অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য। যুদ্ধের জন্য অত্যাবশ্যকীয় লজিস্টিক সাপোর্টের দায়িত্বে থাকা আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল জন ক্লিফোর্ড হজেস লি দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে প্রথম তিন সপ্তাহের যুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রায় সাড়ে ছয় হাজার জাহাজ ও অন্যান্য নৌযান, বিভিন্ন ধরনের দুই লাখ ট্যাংক, গাড়ি ও যুদ্ধযান এবং ছয় লাখ টন খাবার ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং অস্ত্র, গোলাবারুদ, জ্বালানি ইত্যাদি প্রস্তুত করেন।

 

নরম্যান্ডির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

নরম্যান্ডি ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় একটি উপকূলীয় এলাকা, যার অবস্থান রাজধানী প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমে। সমুদ্রপথে নরম্যান্ডিতে অবতরণ ও সেনা সমাবেশ ঘটানো গেলে সড়কপথে দ্রুত প্যারিসে পৌঁছানো এবং প্যারিস পাড়ি দিয়ে জার্মানি সীমান্তে পৌঁছানো সহজ ছিল। বিষয়টি যথাযথ অনুধাবন করতেন হিটলার। তাই তার আস্থাভাজন ও সুদক্ষ সমরনায়ক ফিল্ড মার্শাল এরউইন রোমেলকে দায়িত্ব দেন নরম্যান্ডি প্রতিরক্ষার। মূলত জার্মানরা ১৯৪২ সাল থেকেই তিলে তিলে তথাকথিত ‘আটলান্টিক ওয়াল’ নামে পরিচিত দুর্গ গড়ে তোলে এই উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে। ঐতিহাসিকদের মতে, হিটলার ফ্রান্সের প্রায় ১০ লাখ শ্রমিককে বাধ্য করেছিলেন এসব দুর্গ গড়তে। এসব দুর্গে সমুদ্রের জাহাজ ধ্বংসকারী কামান, বিমান ও দূরবর্তী টার্গেট ধ্বংসকারী কামান, মর্টার, ট্যাংক এবং হাজার হাজার দুর্ধর্ষ জার্মান সৈন্যের সমাবেশ ঘটানো হয়েছিল। নরম্যান্ডি উপকূলের প্রায় ৮০ কিলোমিটারজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছিল এই প্রতিরক্ষা। উপকূলজুড়ে পোঁতা হয়েছিল পঞ্চাশ লাখেরও বেশি প্রাণঘাতী ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন।

 

মূল যুদ্ধ

রাতে অবতরণকারী আমেরিকার ছত্রীসেনাদের একটি অংশ ভুলে পানিতে নেমে পড়ে এবং ডুবে যায়। তারপরও বাকিরা যথাযথভাবে অবতরণ করে এবং লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ব্রিটিশ ছত্রীসেনারাও যথাযথভাবে অবতরণ করে এবং জার্মানদের পালানোর পথ বিশেষত ব্রিজগুলো দখল করে নেয়। ৬ জুন খুব ভোর থেকেই হাজার হাজার নৌযান ভিড়তে থাকে নরম্যান্ডি উপকূলে। মিত্রবাহিনীর পাঁচটি বৃহৎ দলের (ডিভিশন) চারটি জার্মান প্রতিরোধ সত্ত্বেও লক্ষ্যে পৌঁছে যায়, তবে ওমাহা বিচে আমেরিকার সেনাদলটি (ডিভিশন) জার্মানদের প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। প্রথম রাতেই ওমাহা বিচে প্রায় ২০০০ আমেরিকান সৈন্য প্রাণ হারায়। জার্মান সেনাপতি রোমেল এ সময় ছুটিতে ছিলেন। মূলত মিত্রবাহিনীর নানা ধোঁকাবাজির কারণে এই আক্রমণের সম্ভাব্য স্থান-সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছিল জার্মানদের মাঝে। তাই রোমেলের অবর্তমানে অন্যান্য সেনানায়ক পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বয়ং হিটলার ‘পাঞ্জার ডিভিশন’ নামে পরিচিত দুর্ধর্ষ ট্যাংক বাহিনী মোতায়েন করেন। পাঞ্জার ডিভিশন ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ব্রিটিশ ও কানাডিয়ান বাহিনীর মাঝ দিয়ে এগিয়ে যায় এবং সমুদ্রের তীরে পৌঁছে। এতে ৬ জুন দুপুরের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা জার্মানদের পক্ষে চলে যায়। তীব্র যুদ্ধের পর ব্রিটিশ ট্যাংক বিধ্বংসী কামানের মুখে পাঞ্জার বাহিনী পরাস্ত হয়। এরই মধ্যে সন্ধ্যা নেমে আসে। ৭ জুন সকালের মধ্যে উপকূলীয় বেশকিছু অঞ্চল মিত্রবাহিনীর অগ্রগামী দলের দখলে চলে আসে। এসব এলাকায় অন্যান্য যুদ্ধযান ও জাহাজ ভিড়তে থাকে এবং নিজস্ব এলাকার পরিধি বাড়াতে থাকে। তবে জার্মানরাও ছেড়ে কথা বলেনি। মিত্রবাহিনীর বেশকিছু বিচ্ছিন্ন দখল অভিযান রুখে দেয় জার্মানরা। জুন মাসের শেষ অবধি এই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ এবং জয়-পরাজয় ঘটতে থাকে। তবে এক্ষেত্রে জার্মানদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল বেশি।

 

শুরুতে বিমান বাহিনীর প্রাধান্য

মিত্রবাহিনী নরম্যান্ডি অভিযানের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই ১৩ হাজারেরও বেশি যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান ও সামরিক পরিবহন বিমান ব্যবহার করে। ১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৫ জুন, এই ৬৬ দিনে ১১ হাজার বিমান উড্ডয়ন পরিচালনা করে এবং প্রায় দুই লাখ টন বোমা নিক্ষেপ করে। এতে জার্মান বাহিনীর বিমান ঘাঁটি, রাডার স্টেশন, সামরিক স্থাপনা, উপকূলে মোতায়েন কামান, ব্রিজ ও রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়। এই বিমান অভিযানে মিত্রবাহিনী প্রায় দুই হাজার বিমান হারালেও নরম্যান্ডির জার্মান বাহিনী মূলত ফ্রান্স থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

 

ডি ডে

যুদ্ধ শুরুর দিনকে সামরিক ভাষায় ডি ডে বলা হয়। বিভিন্ন কারণে নরম্যান্ডি অভিযানের ডি ডে পরিবর্তিত হয়েছিল। সবশেষে মিত্রবাহিনী প্রধান ফাইভ স্টার জেনারেল আইসেন হাওয়ার ১৯৪৪ সালে দিনটিকে ‘ডি ডে’ ঘোষণা করেন। সেই হিসাবে নরম্যান্ডির বিপরীতে এবং ইংলিশ চ্যানেলের উত্তরে ব্রিটিশ নৌঘাঁটি ও স্থলভাগ থেকে বিভিন্ন জাহাজে সৈন্য, যুদ্ধযান, ট্যাংক, রশদ ও জ্বালানি তোলা শুরু হয়। কিছু কিছু জাহাজ বন্দর ত্যাগ করে ৫ জুন আঘাত হানার জন্য। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়া ও উত্তাল ইংলিশ চ্যানেলের কারণে অভিযানটি ২৪ ঘণ্টা দেরিতে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে সৈন্য বহনের ৩০০০ নৌযান, ২৫০০ অন্যান্য জাহাজ ও ৫০০ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বা রণতরী ইংল্যান্ডের উপকূল ত্যাগ করে। আকাশপথে ছত্রীসেনা ও গ্লাইডার সেনা পরিবহন এবং বোমা নিক্ষেপের জন্য মোতায়েন করা হয় ১৩০০০ যুদ্ধবিমান। প্রথম রাতেই ৮২২টি সৈন্য বহনকারী বিমান থেকে ছত্রীসেনা ও গ্লাইডার নরম্যান্ডি ও এর আশপাশের এলাকায় অবতরণ করে নতুন ডি ডে ৬ জুন ১৯৪৪ তারিখে।

 

জার্মান শিবিরে হতাশা  আত্মহত্যা ও পরাজয়

ক্রমাগত ক্ষয়ক্ষতি ও জীবনহানির কারণে জার্মান শিবিরে অচিরেই হতাশা নেমে আসে। ১৭ জুলাই ব্রিটিশ জঙ্গি বিমানের হামলায় জার্মান সেনাপতি রোমেলের গাড়ি উড়ে যায় এবং রোমেল মারাত্মকভাবে আহত হন। জার্মান সেভেনথ আর্মির কমান্ডার জেনারেল ফ্রেডরিক কার্ল আলবার্ট, ডলম্যান জার্মানিদের একটি বড় ও শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ঘাঁটি পতনের পর ২৮ জুন মারা যান। হার্ট অ্যাটাকের কথা বলা হলেও তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর রটে, যা জার্মানদের মনোবল ভেঙে দেয়। আরেক সেনাপতি ফিল্ড মার্শাল কার্ল রুডলফ গার্ভ ভন  হিটলারের কাছে নিজের পরাজয়ের কথা তুলে ধরে মিত্রবাহিনীর সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেন। যুদ্ধবাজ হিটলার জুলাই মাসের ২ তারিখে তাকে এবং আরও কয়েকজন সিনিয়র কমান্ডারকে বরখাস্ত করেন। ২০ জুলাই সিনিয়র সেনা অফিসাররা হিটলারকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করলেও তা ব্যর্থ হয়। ক্ষিপ্ত হিটলার এরপর নিজেই সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নিয়ে নেন এবং চক্রান্তকারীদের ওপর চরম প্রতিশোধ নেন। তার প্রধান সেনাপতি রোমেলসহ অনেকেই হিটলারের আদেশে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। ২৫ জুলাই থেকে ‘অপারেশন কোবরা’ নামে মিত্রবাহিনী জার্মানদের ওপর ব্যাপক বিমান হামলা চালায় এবং আরও সৈন্য সমাবেশ ঘটায়। এরই মাঝে হিটলার ৭ আগস্ট আবারও চেষ্টা চালান মিত্রবাহিনীর ওপর চড়াও হতে। কিন্তু মিত্রবাহিনীর ট্যাংক বিধ্বংসী কামানের সামনে টিকতে পারেনি হিটলার বাহিনী। ১৬ আগস্টের মধ্যে মিত্রবাহিনী জার্মানদের প্রায় চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে। এতে হিটলার বাধ্য হয়ে জার্মানদের নরম্যান্ডি ত্যাগের অনুমতি দেন। মিত্রবাহিনীর অবস্থানের মাঝখানের সামান্য স্থানগুলো ব্যবহার করে পালিয়ে যায় অবশিষ্ট জার্মানরা। ততক্ষণে প্রায় পঞ্চাশ হাজার জার্মান সেনার কবর রচিত হয় নরম্যান্ডিতে আর বন্দী হয় দুই লাখ জার্মান। এরপর মিত্রবাহিনীর ক্রমাগত চাপে জার্মানরা শেষ পর্যন্ত ফ্রান্স ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। তবে ফ্রান্সের নতুন জন্মের জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়েছিল মিত্রবাহিনীকে। নরম্যান্ডির যুদ্ধে প্রকৃতপক্ষে কতজন প্রাণ হারিয়েছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। তবে অধিকাংশ সামরিক গবেষকের মতে, এই যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর ২ লাখ সেনা মৃত্যুবরণ কিংবা আহত হয়েছিলেন। এক্ষেত্রে জার্মানদের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ। ফ্রান্সের ১২ হাজার বেসামরিক ব্যক্তিও এই যুদ্ধে জীবন বিসর্জন দেয়।

প্রতি বছর ইউরোপজুড়ে ডি ডে পালিত হয় ৬ জুন। এ বছর পালিত হলো ৫৭তম ডি ডে। নরম্যান্ডি এখন  একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান, যা সযত্নে লালন করছে ডি ডের স্মৃতিকথা।

এই বিভাগের আরও খবর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
ভাওয়াল রাজার দিঘি
ভাওয়াল রাজার দিঘি
সর্বশেষ খবর
খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ একজন আটক
খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ একজন আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট
তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির
র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?
টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক
বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প
চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত
ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি
নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং
শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড
গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার
ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম
চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই
রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ
আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম
বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প
আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি
বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ
পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩
বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের
ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার
আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮
নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

১৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ
ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে
অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে

১৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার
পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার
হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের
মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’
‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেপালে নতুন তিন মন্ত্রীর শপথ
নেপালে নতুন তিন মন্ত্রীর শপথ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম

আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে
আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে
ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে

নগর জীবন

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার
পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার

নগর জীবন

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন