শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০১৯

নরম্যান্ডি ল্যান্ডিং

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সেনা সমাবেশ

প্রিন্ট ভার্সন
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সেনা সমাবেশ
মানবেতিহাসের বৃহত্তম সামরিক অভিযানের নাম নরম্যান্ডি ল্যান্ডিং। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল এই অভিযান।
৭৫ বছর পূর্তিতে এই অভিযান নিয়ে লিখেছেন-  মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি

 

ইতিহাসের পাতায় নরম্যান্ডি

আজ থেকে ৭৫ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৪৪ সালের ৬ জুন, সকাল সাড়ে ৬টায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জার্মানি অধীকৃত ফ্রান্সে মিত্রবাহিনীর বিজয়গাথা শুরু হয় ‘অপারেশন ওভার লর্ড’-এর মাধ্যমে। এই দিনটি ‘ডি ডে’ হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে ইতিহাসের ক্যালেন্ডারে। সমুদ্র এবং আকাশপথে সৈন্য সমাবেশ ও যুদ্ধ পরিচালনার দিক থেকে পৃথিবীর এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ সামরিক অভিযানের সূত্রপাত হয় এই দিনে। ৭৫ বছর পূর্তিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ দেশ-বিদেশের বহু বরেণ্য নেতা ও সেনানায়ক শ্রদ্ধাভরে সেদিনের বীর সেনানীদের স্মরণ করেছেন, জানিয়েছেন বিনম্র শ্রদ্ধা ও অভিবাদন। সামরিক ইতিহাস এবং রণকৌশল শিক্ষার বহু উপাদান এসেছে এই অপারেশন থেকে। ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা নরম্যান্ডিতে একসঙ্গে সামুদ্রিক নৌযান থেকে হাজার হাজার সৈন্য অবতরণ করে আর জল ও স্থল, উভয় ক্ষেত্রে চলতে সক্ষম শত শত ট্যাংকের সমাবেশ ঘটানোর কারণে অনেকের কাছেই এ অভিযানটি ‘নরম্যান্ডি ল্যান্ডিং’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

 

নরম্যান্ডি যুদ্ধের প্রেক্ষাপট

১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়। তবে যুদ্ধ সমাপ্তির চূড়ান্ত রূপ দেখা যায় ১৯১৯ সালে ২৮ জুন যুদ্ধবাজ জার্মানি ও অবশিষ্ট দেশসমূহের বা মিত্রশক্তির মধ্যে ঐতিহাসিক ভার্সাইলস চুক্তি সম্পাদনের পর। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জার্মানি এই চুক্তি মেনে নিলেও তা মন থেকে গ্রহণ করেনি জার্মানরা। এরই মধ্যে ১৯৩৩ সালের ৩০ জুন জার্মানির চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন মানবেতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর এবং একগুঁয়ে স্বৈরশাসক এডলফ হিটলার। অপরাপর জার্মানদের মতো তিনিও তৎকালে বিশ্বের দুই মোড়ল ব্রিটেন ও ফ্রান্সের খবরদারি মেনে নিতে পারেননি। তদুপরি তিনি মনে করতেন, ইহুদিদের চক্রান্তে ধনতন্ত্র এবং কমিউনিজম দ্রুতই পৃথিবীকে গ্রাস করে নিচ্ছে। এর বিপরীতে হিটলার তুলে ধরেন সমাজতন্ত্র উগ্র জাতীয়বাদ তত্ত্ব; যার মূলকথা ‘জার্মানিই শ্রেষ্ঠ’। এরই ধারাবাহিকতায় হিটলার জার্মানি থেকে ইহুদি বিতাড়ন এবং ইউরোপজুড়ে জার্মানিদের প্রভাব বিস্তারের নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করেন, যা জার্মানি ভাষায় নিউ অর্ডনাঙ্গ অর্থাৎ নিউ অর্ডার নামে পরিচিতি পায়। হিটলার ইউরোপজুড়ে ইহুদি বসতির জন্য আরও ভূমি দাবি করে জার্মানিতে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। ১৯৩৩ সালে জার্মানি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে শুরুর ছয় বছরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠা এবং তার (হিটলার) ভাষায় জার্মানির ওপর অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেওয়া ক্ষতিপূরণের ধাক্কা সামলান। তারপর অগ্নিমূর্তি ধারণ করে তার কুখ্যাত ব্লিটজার বা বিদ্যুৎগতিতে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর পার্শ্ববর্তী দেশ পোল্যান্ড দখল করেন। এরই প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। জার্মানদের আক্রমণের মুখে পড়ে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া, হল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বহু দেশ এক্ষেত্রে সফল না হলেও ১৯৪০ সালের ২২ জুন আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ফ্রান্সের পতন ঘটে। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে নানা যুদ্ধ, চুক্তি স্বাক্ষর, চুক্তি ভঙ্গ ইত্যাদি ঘটলেও ফ্রান্স মূলত জার্মানদের দখলেই থেকে যায়। ১৯৪৩ সালের মাঝামাঝিতে রাশিয়ার একটি অংশও হিটলারের দখলে থাকে। প্রতি আক্রমণের মাধ্যমে রাশিয়া কিছু অংশ অবমুক্ত করলেও ফ্রান্সে জার্মানদের উপস্থিতি রাশিয়াসহ পুরো ইউরোপের জন্য বিপদের কারণ হয়ে ওঠে। এমনি এক প্রেক্ষাপটে সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিনের ক্রমাগত চাপ ও অনুরোধে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল জার্মানির দখল থেকে ফ্রান্স পুনরুদ্ধারের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেন, যার সূচনা হয় মিত্রবাহিনীর নরম্যান্ডি ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে।

 

মিত্রবাহিনীর পরিকল্পনা

জার্মানির দখল থেকে ফ্রান্সকে মুক্ত করার পদ্ধতি নিয়ে মিত্রবাহিনীর সেনানায়ক ও রাষ্ট্রনায়করা নানা রণকৌশলের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা করেন। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ‘অপারেশন ওভার লর্ড’ শিরোনামে সমুদ্র এবং আকাশপথে জার্মানদের আক্রমণ ও নরম্যান্ডি দখলের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করা হয় যে, নরম্যান্ডি উপকূলে প্রাথমিক দখল এবং নৌযান ভিড়ার মতো এলাকা তৈরির জন্য মিত্রবাহিনীর তিনটি ডিভিশন (প্রায় ৪০ হাজার সৈন্য) ব্যবহৃত হবে। আর আকাশ পাড়ি দিয়ে স্থলভাগে অবতরণ করবে দুটি ব্রিগেড (প্রায় ১০ হাজার) ছত্রীসেনা। প্রাথমিক এলাকা দখল করার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগ দিবে আরও ১১ ডিভিশন (লক্ষাধিক) সৈন্য। এই সেনাদের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে সরাসরি জাহাজযোগে আমেরিকার কয়েক লাখ সৈন্য নরম্যান্ডিতে অবতরণ করবে এবং প্যারিস হয়ে জার্মানির দিকে যাত্রা করবে। পুরো যুদ্ধ পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব দেওয়া হয় আমেরিকার ফাইভ স্টার জেনারেল ডিউইট ডেভিড আইসেন হাওয়ারকে, যিনি পরবর্তীতে আমেরিকার ৩৪তম রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। হিটলারের সেনাপতি রোমেলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মরু অঞ্চলে পাল্লা দিয়ে লড়েছিলেন ব্রিটিশ বাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল বারনার্ড ল’ মন্টোগোমারি। তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আইসেন হাওয়ারকে সার্বিক সহায়তা দেওয়ার জন্য এবং স্থলবাহিনী পরিচালনার জন্য। বিশাল বাহিনী পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ব্রিটিশ এয়ার চিফ মার্শাল আর্থার টিডার। অন্যদিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত নৌবাহিনী পরিচালনার জন্য আস্থা রাখা হয় ব্রিটিশ রয়াল নেভির এডমিরাল বারট্রাম রামসের ওপর। ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনে বসে নরম্যান্ডি দখলের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেন এই সেনানায়করা। পরিকল্পনা অনুসারে প্রতি ভিভিশনে ১০-১২ হাজার সৈন্যবিশিষ্ট দুটি আমেরিকান, দুটি ব্রিটিশ ও একটি কানাডিয়ান ডিভিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় জাহাজযোগে নরম্যান্ডি উপকূলের পাঁচটি স্থানে অবতরণ ও প্রাথমিক দখল নেওয়ার জন্য। এ পাঁচটি স্থানের ছদ্ম নাম দেওয়া হয় যথাক্রমে ওটাহ, ওমাহা, গোল্ড, জুনো এবং সোর্ড। সমুদ্র থেকে পাঁচটি ডিভিশন নামানোর পাশাপাশি দুটি আমেরিকান এবং একটি ব্রিটিশ এয়ারবর্ন ডিভিশনকে (প্রতি ডিভিশনে প্রায় ৭-৮ হাজার ছত্রীসেনা) দায়িত্ব দেওয়া প্যারাসুটের মাধ্যমে জার্মান বাহিনীর পেছনে অবতরণ করার জন্য এবং নরম্যান্ডিতে অবস্থানরত জার্মানদের অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য। যুদ্ধের জন্য অত্যাবশ্যকীয় লজিস্টিক সাপোর্টের দায়িত্বে থাকা আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল জন ক্লিফোর্ড হজেস লি দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে প্রথম তিন সপ্তাহের যুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রায় সাড়ে ছয় হাজার জাহাজ ও অন্যান্য নৌযান, বিভিন্ন ধরনের দুই লাখ ট্যাংক, গাড়ি ও যুদ্ধযান এবং ছয় লাখ টন খাবার ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং অস্ত্র, গোলাবারুদ, জ্বালানি ইত্যাদি প্রস্তুত করেন।

 

নরম্যান্ডির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

নরম্যান্ডি ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় একটি উপকূলীয় এলাকা, যার অবস্থান রাজধানী প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমে। সমুদ্রপথে নরম্যান্ডিতে অবতরণ ও সেনা সমাবেশ ঘটানো গেলে সড়কপথে দ্রুত প্যারিসে পৌঁছানো এবং প্যারিস পাড়ি দিয়ে জার্মানি সীমান্তে পৌঁছানো সহজ ছিল। বিষয়টি যথাযথ অনুধাবন করতেন হিটলার। তাই তার আস্থাভাজন ও সুদক্ষ সমরনায়ক ফিল্ড মার্শাল এরউইন রোমেলকে দায়িত্ব দেন নরম্যান্ডি প্রতিরক্ষার। মূলত জার্মানরা ১৯৪২ সাল থেকেই তিলে তিলে তথাকথিত ‘আটলান্টিক ওয়াল’ নামে পরিচিত দুর্গ গড়ে তোলে এই উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে। ঐতিহাসিকদের মতে, হিটলার ফ্রান্সের প্রায় ১০ লাখ শ্রমিককে বাধ্য করেছিলেন এসব দুর্গ গড়তে। এসব দুর্গে সমুদ্রের জাহাজ ধ্বংসকারী কামান, বিমান ও দূরবর্তী টার্গেট ধ্বংসকারী কামান, মর্টার, ট্যাংক এবং হাজার হাজার দুর্ধর্ষ জার্মান সৈন্যের সমাবেশ ঘটানো হয়েছিল। নরম্যান্ডি উপকূলের প্রায় ৮০ কিলোমিটারজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছিল এই প্রতিরক্ষা। উপকূলজুড়ে পোঁতা হয়েছিল পঞ্চাশ লাখেরও বেশি প্রাণঘাতী ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন।

 

মূল যুদ্ধ

রাতে অবতরণকারী আমেরিকার ছত্রীসেনাদের একটি অংশ ভুলে পানিতে নেমে পড়ে এবং ডুবে যায়। তারপরও বাকিরা যথাযথভাবে অবতরণ করে এবং লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ব্রিটিশ ছত্রীসেনারাও যথাযথভাবে অবতরণ করে এবং জার্মানদের পালানোর পথ বিশেষত ব্রিজগুলো দখল করে নেয়। ৬ জুন খুব ভোর থেকেই হাজার হাজার নৌযান ভিড়তে থাকে নরম্যান্ডি উপকূলে। মিত্রবাহিনীর পাঁচটি বৃহৎ দলের (ডিভিশন) চারটি জার্মান প্রতিরোধ সত্ত্বেও লক্ষ্যে পৌঁছে যায়, তবে ওমাহা বিচে আমেরিকার সেনাদলটি (ডিভিশন) জার্মানদের প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। প্রথম রাতেই ওমাহা বিচে প্রায় ২০০০ আমেরিকান সৈন্য প্রাণ হারায়। জার্মান সেনাপতি রোমেল এ সময় ছুটিতে ছিলেন। মূলত মিত্রবাহিনীর নানা ধোঁকাবাজির কারণে এই আক্রমণের সম্ভাব্য স্থান-সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছিল জার্মানদের মাঝে। তাই রোমেলের অবর্তমানে অন্যান্য সেনানায়ক পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বয়ং হিটলার ‘পাঞ্জার ডিভিশন’ নামে পরিচিত দুর্ধর্ষ ট্যাংক বাহিনী মোতায়েন করেন। পাঞ্জার ডিভিশন ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ব্রিটিশ ও কানাডিয়ান বাহিনীর মাঝ দিয়ে এগিয়ে যায় এবং সমুদ্রের তীরে পৌঁছে। এতে ৬ জুন দুপুরের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা জার্মানদের পক্ষে চলে যায়। তীব্র যুদ্ধের পর ব্রিটিশ ট্যাংক বিধ্বংসী কামানের মুখে পাঞ্জার বাহিনী পরাস্ত হয়। এরই মধ্যে সন্ধ্যা নেমে আসে। ৭ জুন সকালের মধ্যে উপকূলীয় বেশকিছু অঞ্চল মিত্রবাহিনীর অগ্রগামী দলের দখলে চলে আসে। এসব এলাকায় অন্যান্য যুদ্ধযান ও জাহাজ ভিড়তে থাকে এবং নিজস্ব এলাকার পরিধি বাড়াতে থাকে। তবে জার্মানরাও ছেড়ে কথা বলেনি। মিত্রবাহিনীর বেশকিছু বিচ্ছিন্ন দখল অভিযান রুখে দেয় জার্মানরা। জুন মাসের শেষ অবধি এই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ এবং জয়-পরাজয় ঘটতে থাকে। তবে এক্ষেত্রে জার্মানদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল বেশি।

 

শুরুতে বিমান বাহিনীর প্রাধান্য

মিত্রবাহিনী নরম্যান্ডি অভিযানের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই ১৩ হাজারেরও বেশি যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান ও সামরিক পরিবহন বিমান ব্যবহার করে। ১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৫ জুন, এই ৬৬ দিনে ১১ হাজার বিমান উড্ডয়ন পরিচালনা করে এবং প্রায় দুই লাখ টন বোমা নিক্ষেপ করে। এতে জার্মান বাহিনীর বিমান ঘাঁটি, রাডার স্টেশন, সামরিক স্থাপনা, উপকূলে মোতায়েন কামান, ব্রিজ ও রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়। এই বিমান অভিযানে মিত্রবাহিনী প্রায় দুই হাজার বিমান হারালেও নরম্যান্ডির জার্মান বাহিনী মূলত ফ্রান্স থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

 

ডি ডে

যুদ্ধ শুরুর দিনকে সামরিক ভাষায় ডি ডে বলা হয়। বিভিন্ন কারণে নরম্যান্ডি অভিযানের ডি ডে পরিবর্তিত হয়েছিল। সবশেষে মিত্রবাহিনী প্রধান ফাইভ স্টার জেনারেল আইসেন হাওয়ার ১৯৪৪ সালে দিনটিকে ‘ডি ডে’ ঘোষণা করেন। সেই হিসাবে নরম্যান্ডির বিপরীতে এবং ইংলিশ চ্যানেলের উত্তরে ব্রিটিশ নৌঘাঁটি ও স্থলভাগ থেকে বিভিন্ন জাহাজে সৈন্য, যুদ্ধযান, ট্যাংক, রশদ ও জ্বালানি তোলা শুরু হয়। কিছু কিছু জাহাজ বন্দর ত্যাগ করে ৫ জুন আঘাত হানার জন্য। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়া ও উত্তাল ইংলিশ চ্যানেলের কারণে অভিযানটি ২৪ ঘণ্টা দেরিতে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে সৈন্য বহনের ৩০০০ নৌযান, ২৫০০ অন্যান্য জাহাজ ও ৫০০ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বা রণতরী ইংল্যান্ডের উপকূল ত্যাগ করে। আকাশপথে ছত্রীসেনা ও গ্লাইডার সেনা পরিবহন এবং বোমা নিক্ষেপের জন্য মোতায়েন করা হয় ১৩০০০ যুদ্ধবিমান। প্রথম রাতেই ৮২২টি সৈন্য বহনকারী বিমান থেকে ছত্রীসেনা ও গ্লাইডার নরম্যান্ডি ও এর আশপাশের এলাকায় অবতরণ করে নতুন ডি ডে ৬ জুন ১৯৪৪ তারিখে।

 

জার্মান শিবিরে হতাশা  আত্মহত্যা ও পরাজয়

ক্রমাগত ক্ষয়ক্ষতি ও জীবনহানির কারণে জার্মান শিবিরে অচিরেই হতাশা নেমে আসে। ১৭ জুলাই ব্রিটিশ জঙ্গি বিমানের হামলায় জার্মান সেনাপতি রোমেলের গাড়ি উড়ে যায় এবং রোমেল মারাত্মকভাবে আহত হন। জার্মান সেভেনথ আর্মির কমান্ডার জেনারেল ফ্রেডরিক কার্ল আলবার্ট, ডলম্যান জার্মানিদের একটি বড় ও শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ঘাঁটি পতনের পর ২৮ জুন মারা যান। হার্ট অ্যাটাকের কথা বলা হলেও তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর রটে, যা জার্মানদের মনোবল ভেঙে দেয়। আরেক সেনাপতি ফিল্ড মার্শাল কার্ল রুডলফ গার্ভ ভন  হিটলারের কাছে নিজের পরাজয়ের কথা তুলে ধরে মিত্রবাহিনীর সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেন। যুদ্ধবাজ হিটলার জুলাই মাসের ২ তারিখে তাকে এবং আরও কয়েকজন সিনিয়র কমান্ডারকে বরখাস্ত করেন। ২০ জুলাই সিনিয়র সেনা অফিসাররা হিটলারকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করলেও তা ব্যর্থ হয়। ক্ষিপ্ত হিটলার এরপর নিজেই সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নিয়ে নেন এবং চক্রান্তকারীদের ওপর চরম প্রতিশোধ নেন। তার প্রধান সেনাপতি রোমেলসহ অনেকেই হিটলারের আদেশে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। ২৫ জুলাই থেকে ‘অপারেশন কোবরা’ নামে মিত্রবাহিনী জার্মানদের ওপর ব্যাপক বিমান হামলা চালায় এবং আরও সৈন্য সমাবেশ ঘটায়। এরই মাঝে হিটলার ৭ আগস্ট আবারও চেষ্টা চালান মিত্রবাহিনীর ওপর চড়াও হতে। কিন্তু মিত্রবাহিনীর ট্যাংক বিধ্বংসী কামানের সামনে টিকতে পারেনি হিটলার বাহিনী। ১৬ আগস্টের মধ্যে মিত্রবাহিনী জার্মানদের প্রায় চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে। এতে হিটলার বাধ্য হয়ে জার্মানদের নরম্যান্ডি ত্যাগের অনুমতি দেন। মিত্রবাহিনীর অবস্থানের মাঝখানের সামান্য স্থানগুলো ব্যবহার করে পালিয়ে যায় অবশিষ্ট জার্মানরা। ততক্ষণে প্রায় পঞ্চাশ হাজার জার্মান সেনার কবর রচিত হয় নরম্যান্ডিতে আর বন্দী হয় দুই লাখ জার্মান। এরপর মিত্রবাহিনীর ক্রমাগত চাপে জার্মানরা শেষ পর্যন্ত ফ্রান্স ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। তবে ফ্রান্সের নতুন জন্মের জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়েছিল মিত্রবাহিনীকে। নরম্যান্ডির যুদ্ধে প্রকৃতপক্ষে কতজন প্রাণ হারিয়েছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। তবে অধিকাংশ সামরিক গবেষকের মতে, এই যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর ২ লাখ সেনা মৃত্যুবরণ কিংবা আহত হয়েছিলেন। এক্ষেত্রে জার্মানদের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ। ফ্রান্সের ১২ হাজার বেসামরিক ব্যক্তিও এই যুদ্ধে জীবন বিসর্জন দেয়।

প্রতি বছর ইউরোপজুড়ে ডি ডে পালিত হয় ৬ জুন। এ বছর পালিত হলো ৫৭তম ডি ডে। নরম্যান্ডি এখন  একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান, যা সযত্নে লালন করছে ডি ডের স্মৃতিকথা।

এই বিভাগের আরও খবর
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
সর্বশেষ খবর
হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন ২২ নভেম্বর
হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন ২২ নভেম্বর

এই মাত্র | ক্যাম্পাস

বিসিসির উচ্চবিলাসী প্রকল্প বাতিলের দাবি গণসংহতির
বিসিসির উচ্চবিলাসী প্রকল্প বাতিলের দাবি গণসংহতির

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কঙ্গোতে নৌকা ডুবে ৭০ জন নিখোঁজ
কঙ্গোতে নৌকা ডুবে ৭০ জন নিখোঁজ

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল
মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফসল উৎপাদনে সারের স্মার্ট ব্যবস্থাপনা নিয়ে গাকৃবিতে কর্মশালা
ফসল উৎপাদনে সারের স্মার্ট ব্যবস্থাপনা নিয়ে গাকৃবিতে কর্মশালা

৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রাঙামাটিতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
রাঙামাটিতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

গুয়াহাটি টেস্টে নেই গিল, ভারতের অধিনায়কত্ব করবেন পন্ত
গুয়াহাটি টেস্টে নেই গিল, ভারতের অধিনায়কত্ব করবেন পন্ত

৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জমির ড্রেন খুঁড়তে গিয়ে মিলল পরিত্যক্ত গ্রেনেড
জমির ড্রেন খুঁড়তে গিয়ে মিলল পরিত্যক্ত গ্রেনেড

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমানের জন্মদিনে বগুড়ায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
তারেক রহমানের জন্মদিনে বগুড়ায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভালুকায় তারেক রহমানের জন্মদিনে রক্তদান ও চারা বিতরণ কর্মসূচি
ভালুকায় তারেক রহমানের জন্মদিনে রক্তদান ও চারা বিতরণ কর্মসূচি

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’
‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’

১৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

নারায়ণগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে মেডিকেল ক্যাম্প ও হুইল চেয়ার বিতরণ
নারায়ণগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে মেডিকেল ক্যাম্প ও হুইল চেয়ার বিতরণ

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পাবনার ঈশ্বরদীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
পাবনার ঈশ্বরদীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এক বছরে ৪৭৪ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন ইলন মাস্ক
এক বছরে ৪৭৪ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন ইলন মাস্ক

৩০ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

নারায়ণগঞ্জে মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জে মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নিখোঁজের একদিন পর দর্জির মরদেহ উদ্ধার
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নিখোঁজের একদিন পর দর্জির মরদেহ উদ্ধার

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজার আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী আসলে কি?
গাজার আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী আসলে কি?

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাস গড়ে অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জিততে চান স্টোকস
ইতিহাস গড়ে অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জিততে চান স্টোকস

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

উখিয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান
উখিয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে পল্লিচিকিৎসকের অতিরিক্ত ইনজেকশনে শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
নোয়াখালীতে পল্লিচিকিৎসকের অতিরিক্ত ইনজেকশনে শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নেপালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী অলির সমর্থকদের সঙ্গে জেন-জি’র সংঘর্ষ
নেপালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী অলির সমর্থকদের সঙ্গে জেন-জি’র সংঘর্ষ

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

বিশ্বে শীতকালীন পর্যটনে দ্বিতীয়তে দুবাই
বিশ্বে শীতকালীন পর্যটনে দ্বিতীয়তে দুবাই

৫০ মিনিট আগে | পর্যটন

আরব সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান
আরব সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিনাজপুরে উন্নত জাতের ভুট্টার গবেষণার প্রদর্শনী মাঠ উদ্বোধন
দিনাজপুরে উন্নত জাতের ভুট্টার গবেষণার প্রদর্শনী মাঠ উদ্বোধন

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূরুঙ্গামারীতে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা
ভূরুঙ্গামারীতে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মঙ্গলে রহস্যময় শিলা, ব্যাখা খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা
মঙ্গলে রহস্যময় শিলা, ব্যাখা খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা

৫৭ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন হবে তুরস্কে
পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন হবে তুরস্কে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!
আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা