শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০১৯

নরম্যান্ডি ল্যান্ডিং

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সেনা সমাবেশ

প্রিন্ট ভার্সন
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সেনা সমাবেশ
মানবেতিহাসের বৃহত্তম সামরিক অভিযানের নাম নরম্যান্ডি ল্যান্ডিং। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল এই অভিযান।
৭৫ বছর পূর্তিতে এই অভিযান নিয়ে লিখেছেন-  মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি

 

ইতিহাসের পাতায় নরম্যান্ডি

আজ থেকে ৭৫ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৪৪ সালের ৬ জুন, সকাল সাড়ে ৬টায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জার্মানি অধীকৃত ফ্রান্সে মিত্রবাহিনীর বিজয়গাথা শুরু হয় ‘অপারেশন ওভার লর্ড’-এর মাধ্যমে। এই দিনটি ‘ডি ডে’ হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে ইতিহাসের ক্যালেন্ডারে। সমুদ্র এবং আকাশপথে সৈন্য সমাবেশ ও যুদ্ধ পরিচালনার দিক থেকে পৃথিবীর এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ সামরিক অভিযানের সূত্রপাত হয় এই দিনে। ৭৫ বছর পূর্তিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ দেশ-বিদেশের বহু বরেণ্য নেতা ও সেনানায়ক শ্রদ্ধাভরে সেদিনের বীর সেনানীদের স্মরণ করেছেন, জানিয়েছেন বিনম্র শ্রদ্ধা ও অভিবাদন। সামরিক ইতিহাস এবং রণকৌশল শিক্ষার বহু উপাদান এসেছে এই অপারেশন থেকে। ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা নরম্যান্ডিতে একসঙ্গে সামুদ্রিক নৌযান থেকে হাজার হাজার সৈন্য অবতরণ করে আর জল ও স্থল, উভয় ক্ষেত্রে চলতে সক্ষম শত শত ট্যাংকের সমাবেশ ঘটানোর কারণে অনেকের কাছেই এ অভিযানটি ‘নরম্যান্ডি ল্যান্ডিং’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

 

নরম্যান্ডি যুদ্ধের প্রেক্ষাপট

১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়। তবে যুদ্ধ সমাপ্তির চূড়ান্ত রূপ দেখা যায় ১৯১৯ সালে ২৮ জুন যুদ্ধবাজ জার্মানি ও অবশিষ্ট দেশসমূহের বা মিত্রশক্তির মধ্যে ঐতিহাসিক ভার্সাইলস চুক্তি সম্পাদনের পর। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জার্মানি এই চুক্তি মেনে নিলেও তা মন থেকে গ্রহণ করেনি জার্মানরা। এরই মধ্যে ১৯৩৩ সালের ৩০ জুন জার্মানির চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন মানবেতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর এবং একগুঁয়ে স্বৈরশাসক এডলফ হিটলার। অপরাপর জার্মানদের মতো তিনিও তৎকালে বিশ্বের দুই মোড়ল ব্রিটেন ও ফ্রান্সের খবরদারি মেনে নিতে পারেননি। তদুপরি তিনি মনে করতেন, ইহুদিদের চক্রান্তে ধনতন্ত্র এবং কমিউনিজম দ্রুতই পৃথিবীকে গ্রাস করে নিচ্ছে। এর বিপরীতে হিটলার তুলে ধরেন সমাজতন্ত্র উগ্র জাতীয়বাদ তত্ত্ব; যার মূলকথা ‘জার্মানিই শ্রেষ্ঠ’। এরই ধারাবাহিকতায় হিটলার জার্মানি থেকে ইহুদি বিতাড়ন এবং ইউরোপজুড়ে জার্মানিদের প্রভাব বিস্তারের নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করেন, যা জার্মানি ভাষায় নিউ অর্ডনাঙ্গ অর্থাৎ নিউ অর্ডার নামে পরিচিতি পায়। হিটলার ইউরোপজুড়ে ইহুদি বসতির জন্য আরও ভূমি দাবি করে জার্মানিতে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। ১৯৩৩ সালে জার্মানি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে শুরুর ছয় বছরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠা এবং তার (হিটলার) ভাষায় জার্মানির ওপর অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেওয়া ক্ষতিপূরণের ধাক্কা সামলান। তারপর অগ্নিমূর্তি ধারণ করে তার কুখ্যাত ব্লিটজার বা বিদ্যুৎগতিতে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর পার্শ্ববর্তী দেশ পোল্যান্ড দখল করেন। এরই প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। জার্মানদের আক্রমণের মুখে পড়ে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া, হল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বহু দেশ এক্ষেত্রে সফল না হলেও ১৯৪০ সালের ২২ জুন আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ফ্রান্সের পতন ঘটে। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে নানা যুদ্ধ, চুক্তি স্বাক্ষর, চুক্তি ভঙ্গ ইত্যাদি ঘটলেও ফ্রান্স মূলত জার্মানদের দখলেই থেকে যায়। ১৯৪৩ সালের মাঝামাঝিতে রাশিয়ার একটি অংশও হিটলারের দখলে থাকে। প্রতি আক্রমণের মাধ্যমে রাশিয়া কিছু অংশ অবমুক্ত করলেও ফ্রান্সে জার্মানদের উপস্থিতি রাশিয়াসহ পুরো ইউরোপের জন্য বিপদের কারণ হয়ে ওঠে। এমনি এক প্রেক্ষাপটে সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিনের ক্রমাগত চাপ ও অনুরোধে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল জার্মানির দখল থেকে ফ্রান্স পুনরুদ্ধারের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেন, যার সূচনা হয় মিত্রবাহিনীর নরম্যান্ডি ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে।

 

মিত্রবাহিনীর পরিকল্পনা

জার্মানির দখল থেকে ফ্রান্সকে মুক্ত করার পদ্ধতি নিয়ে মিত্রবাহিনীর সেনানায়ক ও রাষ্ট্রনায়করা নানা রণকৌশলের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা করেন। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ‘অপারেশন ওভার লর্ড’ শিরোনামে সমুদ্র এবং আকাশপথে জার্মানদের আক্রমণ ও নরম্যান্ডি দখলের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করা হয় যে, নরম্যান্ডি উপকূলে প্রাথমিক দখল এবং নৌযান ভিড়ার মতো এলাকা তৈরির জন্য মিত্রবাহিনীর তিনটি ডিভিশন (প্রায় ৪০ হাজার সৈন্য) ব্যবহৃত হবে। আর আকাশ পাড়ি দিয়ে স্থলভাগে অবতরণ করবে দুটি ব্রিগেড (প্রায় ১০ হাজার) ছত্রীসেনা। প্রাথমিক এলাকা দখল করার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগ দিবে আরও ১১ ডিভিশন (লক্ষাধিক) সৈন্য। এই সেনাদের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে সরাসরি জাহাজযোগে আমেরিকার কয়েক লাখ সৈন্য নরম্যান্ডিতে অবতরণ করবে এবং প্যারিস হয়ে জার্মানির দিকে যাত্রা করবে। পুরো যুদ্ধ পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব দেওয়া হয় আমেরিকার ফাইভ স্টার জেনারেল ডিউইট ডেভিড আইসেন হাওয়ারকে, যিনি পরবর্তীতে আমেরিকার ৩৪তম রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। হিটলারের সেনাপতি রোমেলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মরু অঞ্চলে পাল্লা দিয়ে লড়েছিলেন ব্রিটিশ বাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল বারনার্ড ল’ মন্টোগোমারি। তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আইসেন হাওয়ারকে সার্বিক সহায়তা দেওয়ার জন্য এবং স্থলবাহিনী পরিচালনার জন্য। বিশাল বাহিনী পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ব্রিটিশ এয়ার চিফ মার্শাল আর্থার টিডার। অন্যদিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত নৌবাহিনী পরিচালনার জন্য আস্থা রাখা হয় ব্রিটিশ রয়াল নেভির এডমিরাল বারট্রাম রামসের ওপর। ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনে বসে নরম্যান্ডি দখলের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেন এই সেনানায়করা। পরিকল্পনা অনুসারে প্রতি ভিভিশনে ১০-১২ হাজার সৈন্যবিশিষ্ট দুটি আমেরিকান, দুটি ব্রিটিশ ও একটি কানাডিয়ান ডিভিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় জাহাজযোগে নরম্যান্ডি উপকূলের পাঁচটি স্থানে অবতরণ ও প্রাথমিক দখল নেওয়ার জন্য। এ পাঁচটি স্থানের ছদ্ম নাম দেওয়া হয় যথাক্রমে ওটাহ, ওমাহা, গোল্ড, জুনো এবং সোর্ড। সমুদ্র থেকে পাঁচটি ডিভিশন নামানোর পাশাপাশি দুটি আমেরিকান এবং একটি ব্রিটিশ এয়ারবর্ন ডিভিশনকে (প্রতি ডিভিশনে প্রায় ৭-৮ হাজার ছত্রীসেনা) দায়িত্ব দেওয়া প্যারাসুটের মাধ্যমে জার্মান বাহিনীর পেছনে অবতরণ করার জন্য এবং নরম্যান্ডিতে অবস্থানরত জার্মানদের অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য। যুদ্ধের জন্য অত্যাবশ্যকীয় লজিস্টিক সাপোর্টের দায়িত্বে থাকা আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল জন ক্লিফোর্ড হজেস লি দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে প্রথম তিন সপ্তাহের যুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রায় সাড়ে ছয় হাজার জাহাজ ও অন্যান্য নৌযান, বিভিন্ন ধরনের দুই লাখ ট্যাংক, গাড়ি ও যুদ্ধযান এবং ছয় লাখ টন খাবার ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং অস্ত্র, গোলাবারুদ, জ্বালানি ইত্যাদি প্রস্তুত করেন।

 

নরম্যান্ডির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

নরম্যান্ডি ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় একটি উপকূলীয় এলাকা, যার অবস্থান রাজধানী প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমে। সমুদ্রপথে নরম্যান্ডিতে অবতরণ ও সেনা সমাবেশ ঘটানো গেলে সড়কপথে দ্রুত প্যারিসে পৌঁছানো এবং প্যারিস পাড়ি দিয়ে জার্মানি সীমান্তে পৌঁছানো সহজ ছিল। বিষয়টি যথাযথ অনুধাবন করতেন হিটলার। তাই তার আস্থাভাজন ও সুদক্ষ সমরনায়ক ফিল্ড মার্শাল এরউইন রোমেলকে দায়িত্ব দেন নরম্যান্ডি প্রতিরক্ষার। মূলত জার্মানরা ১৯৪২ সাল থেকেই তিলে তিলে তথাকথিত ‘আটলান্টিক ওয়াল’ নামে পরিচিত দুর্গ গড়ে তোলে এই উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে। ঐতিহাসিকদের মতে, হিটলার ফ্রান্সের প্রায় ১০ লাখ শ্রমিককে বাধ্য করেছিলেন এসব দুর্গ গড়তে। এসব দুর্গে সমুদ্রের জাহাজ ধ্বংসকারী কামান, বিমান ও দূরবর্তী টার্গেট ধ্বংসকারী কামান, মর্টার, ট্যাংক এবং হাজার হাজার দুর্ধর্ষ জার্মান সৈন্যের সমাবেশ ঘটানো হয়েছিল। নরম্যান্ডি উপকূলের প্রায় ৮০ কিলোমিটারজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছিল এই প্রতিরক্ষা। উপকূলজুড়ে পোঁতা হয়েছিল পঞ্চাশ লাখেরও বেশি প্রাণঘাতী ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন।

 

মূল যুদ্ধ

রাতে অবতরণকারী আমেরিকার ছত্রীসেনাদের একটি অংশ ভুলে পানিতে নেমে পড়ে এবং ডুবে যায়। তারপরও বাকিরা যথাযথভাবে অবতরণ করে এবং লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ব্রিটিশ ছত্রীসেনারাও যথাযথভাবে অবতরণ করে এবং জার্মানদের পালানোর পথ বিশেষত ব্রিজগুলো দখল করে নেয়। ৬ জুন খুব ভোর থেকেই হাজার হাজার নৌযান ভিড়তে থাকে নরম্যান্ডি উপকূলে। মিত্রবাহিনীর পাঁচটি বৃহৎ দলের (ডিভিশন) চারটি জার্মান প্রতিরোধ সত্ত্বেও লক্ষ্যে পৌঁছে যায়, তবে ওমাহা বিচে আমেরিকার সেনাদলটি (ডিভিশন) জার্মানদের প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। প্রথম রাতেই ওমাহা বিচে প্রায় ২০০০ আমেরিকান সৈন্য প্রাণ হারায়। জার্মান সেনাপতি রোমেল এ সময় ছুটিতে ছিলেন। মূলত মিত্রবাহিনীর নানা ধোঁকাবাজির কারণে এই আক্রমণের সম্ভাব্য স্থান-সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছিল জার্মানদের মাঝে। তাই রোমেলের অবর্তমানে অন্যান্য সেনানায়ক পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বয়ং হিটলার ‘পাঞ্জার ডিভিশন’ নামে পরিচিত দুর্ধর্ষ ট্যাংক বাহিনী মোতায়েন করেন। পাঞ্জার ডিভিশন ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ব্রিটিশ ও কানাডিয়ান বাহিনীর মাঝ দিয়ে এগিয়ে যায় এবং সমুদ্রের তীরে পৌঁছে। এতে ৬ জুন দুপুরের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা জার্মানদের পক্ষে চলে যায়। তীব্র যুদ্ধের পর ব্রিটিশ ট্যাংক বিধ্বংসী কামানের মুখে পাঞ্জার বাহিনী পরাস্ত হয়। এরই মধ্যে সন্ধ্যা নেমে আসে। ৭ জুন সকালের মধ্যে উপকূলীয় বেশকিছু অঞ্চল মিত্রবাহিনীর অগ্রগামী দলের দখলে চলে আসে। এসব এলাকায় অন্যান্য যুদ্ধযান ও জাহাজ ভিড়তে থাকে এবং নিজস্ব এলাকার পরিধি বাড়াতে থাকে। তবে জার্মানরাও ছেড়ে কথা বলেনি। মিত্রবাহিনীর বেশকিছু বিচ্ছিন্ন দখল অভিযান রুখে দেয় জার্মানরা। জুন মাসের শেষ অবধি এই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ এবং জয়-পরাজয় ঘটতে থাকে। তবে এক্ষেত্রে জার্মানদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল বেশি।

 

শুরুতে বিমান বাহিনীর প্রাধান্য

মিত্রবাহিনী নরম্যান্ডি অভিযানের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই ১৩ হাজারেরও বেশি যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান ও সামরিক পরিবহন বিমান ব্যবহার করে। ১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৫ জুন, এই ৬৬ দিনে ১১ হাজার বিমান উড্ডয়ন পরিচালনা করে এবং প্রায় দুই লাখ টন বোমা নিক্ষেপ করে। এতে জার্মান বাহিনীর বিমান ঘাঁটি, রাডার স্টেশন, সামরিক স্থাপনা, উপকূলে মোতায়েন কামান, ব্রিজ ও রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়। এই বিমান অভিযানে মিত্রবাহিনী প্রায় দুই হাজার বিমান হারালেও নরম্যান্ডির জার্মান বাহিনী মূলত ফ্রান্স থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

 

ডি ডে

যুদ্ধ শুরুর দিনকে সামরিক ভাষায় ডি ডে বলা হয়। বিভিন্ন কারণে নরম্যান্ডি অভিযানের ডি ডে পরিবর্তিত হয়েছিল। সবশেষে মিত্রবাহিনী প্রধান ফাইভ স্টার জেনারেল আইসেন হাওয়ার ১৯৪৪ সালে দিনটিকে ‘ডি ডে’ ঘোষণা করেন। সেই হিসাবে নরম্যান্ডির বিপরীতে এবং ইংলিশ চ্যানেলের উত্তরে ব্রিটিশ নৌঘাঁটি ও স্থলভাগ থেকে বিভিন্ন জাহাজে সৈন্য, যুদ্ধযান, ট্যাংক, রশদ ও জ্বালানি তোলা শুরু হয়। কিছু কিছু জাহাজ বন্দর ত্যাগ করে ৫ জুন আঘাত হানার জন্য। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়া ও উত্তাল ইংলিশ চ্যানেলের কারণে অভিযানটি ২৪ ঘণ্টা দেরিতে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে সৈন্য বহনের ৩০০০ নৌযান, ২৫০০ অন্যান্য জাহাজ ও ৫০০ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বা রণতরী ইংল্যান্ডের উপকূল ত্যাগ করে। আকাশপথে ছত্রীসেনা ও গ্লাইডার সেনা পরিবহন এবং বোমা নিক্ষেপের জন্য মোতায়েন করা হয় ১৩০০০ যুদ্ধবিমান। প্রথম রাতেই ৮২২টি সৈন্য বহনকারী বিমান থেকে ছত্রীসেনা ও গ্লাইডার নরম্যান্ডি ও এর আশপাশের এলাকায় অবতরণ করে নতুন ডি ডে ৬ জুন ১৯৪৪ তারিখে।

 

জার্মান শিবিরে হতাশা  আত্মহত্যা ও পরাজয়

ক্রমাগত ক্ষয়ক্ষতি ও জীবনহানির কারণে জার্মান শিবিরে অচিরেই হতাশা নেমে আসে। ১৭ জুলাই ব্রিটিশ জঙ্গি বিমানের হামলায় জার্মান সেনাপতি রোমেলের গাড়ি উড়ে যায় এবং রোমেল মারাত্মকভাবে আহত হন। জার্মান সেভেনথ আর্মির কমান্ডার জেনারেল ফ্রেডরিক কার্ল আলবার্ট, ডলম্যান জার্মানিদের একটি বড় ও শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ঘাঁটি পতনের পর ২৮ জুন মারা যান। হার্ট অ্যাটাকের কথা বলা হলেও তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর রটে, যা জার্মানদের মনোবল ভেঙে দেয়। আরেক সেনাপতি ফিল্ড মার্শাল কার্ল রুডলফ গার্ভ ভন  হিটলারের কাছে নিজের পরাজয়ের কথা তুলে ধরে মিত্রবাহিনীর সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেন। যুদ্ধবাজ হিটলার জুলাই মাসের ২ তারিখে তাকে এবং আরও কয়েকজন সিনিয়র কমান্ডারকে বরখাস্ত করেন। ২০ জুলাই সিনিয়র সেনা অফিসাররা হিটলারকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করলেও তা ব্যর্থ হয়। ক্ষিপ্ত হিটলার এরপর নিজেই সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নিয়ে নেন এবং চক্রান্তকারীদের ওপর চরম প্রতিশোধ নেন। তার প্রধান সেনাপতি রোমেলসহ অনেকেই হিটলারের আদেশে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। ২৫ জুলাই থেকে ‘অপারেশন কোবরা’ নামে মিত্রবাহিনী জার্মানদের ওপর ব্যাপক বিমান হামলা চালায় এবং আরও সৈন্য সমাবেশ ঘটায়। এরই মাঝে হিটলার ৭ আগস্ট আবারও চেষ্টা চালান মিত্রবাহিনীর ওপর চড়াও হতে। কিন্তু মিত্রবাহিনীর ট্যাংক বিধ্বংসী কামানের সামনে টিকতে পারেনি হিটলার বাহিনী। ১৬ আগস্টের মধ্যে মিত্রবাহিনী জার্মানদের প্রায় চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে। এতে হিটলার বাধ্য হয়ে জার্মানদের নরম্যান্ডি ত্যাগের অনুমতি দেন। মিত্রবাহিনীর অবস্থানের মাঝখানের সামান্য স্থানগুলো ব্যবহার করে পালিয়ে যায় অবশিষ্ট জার্মানরা। ততক্ষণে প্রায় পঞ্চাশ হাজার জার্মান সেনার কবর রচিত হয় নরম্যান্ডিতে আর বন্দী হয় দুই লাখ জার্মান। এরপর মিত্রবাহিনীর ক্রমাগত চাপে জার্মানরা শেষ পর্যন্ত ফ্রান্স ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। তবে ফ্রান্সের নতুন জন্মের জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়েছিল মিত্রবাহিনীকে। নরম্যান্ডির যুদ্ধে প্রকৃতপক্ষে কতজন প্রাণ হারিয়েছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। তবে অধিকাংশ সামরিক গবেষকের মতে, এই যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর ২ লাখ সেনা মৃত্যুবরণ কিংবা আহত হয়েছিলেন। এক্ষেত্রে জার্মানদের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ। ফ্রান্সের ১২ হাজার বেসামরিক ব্যক্তিও এই যুদ্ধে জীবন বিসর্জন দেয়।

প্রতি বছর ইউরোপজুড়ে ডি ডে পালিত হয় ৬ জুন। এ বছর পালিত হলো ৫৭তম ডি ডে। নরম্যান্ডি এখন  একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান, যা সযত্নে লালন করছে ডি ডের স্মৃতিকথা।

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
দেশে দেশে কোরবানি
দেশে দেশে কোরবানি
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
সর্বশেষ খবর
ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮
ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ
বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ

২৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’
‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’

২৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন
শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী
বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী

৪২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ
আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ

৪৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

৫৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু
শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা
গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান
জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো
র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা
খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ
দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ

৭ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা
গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার
চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ
ঝিনাইদহে ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠা ‘রোলার কোস্টার যাত্রা’: প্রিন্সেস কেট
ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠা ‘রোলার কোস্টার যাত্রা’: প্রিন্সেস কেট

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে সেবাগ্রহীতাদের চরম ভোগান্তি
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে সেবাগ্রহীতাদের চরম ভোগান্তি

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কার কাছে হারল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার কাছে হারল বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এ বছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এ বছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেনীতে তিনজনের ডেঙ্গু শনাক্ত
ফেনীতে তিনজনের ডেঙ্গু শনাক্ত

১১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বড়াইগ্রামে গ্রামবাসীর অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার
বড়াইগ্রামে গ্রামবাসীর অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!
পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত
সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে
এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত
কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি
৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান
দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান

১৫ ঘণ্টা আগে | টক শো

ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান
ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া
রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী
ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড
আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার
নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন: অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান
তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন: অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?
ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা
জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের
আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব
ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ
শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন
রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন
মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ
সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ

১১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ
স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না
বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল
এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!

প্রথম পৃষ্ঠা

নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি
নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি

প্রথম পৃষ্ঠা

ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম
ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ

সম্পাদকীয়

৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা
৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর
রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ
রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ

রকমারি নগর পরিক্রমা

সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ
সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা
ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা
নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন হাসপাতাল!
এ কেমন হাসপাতাল!

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল
দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল

প্রথম পৃষ্ঠা

গুমের অন্ধকার অধ্যায়
গুমের অন্ধকার অধ্যায়

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি
আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’
তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’

শোবিজ

হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড
হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস
অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবি-জিনাত রেহানা
ভাবি-জিনাত রেহানা

শোবিজ

শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই
শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই

শোবিজ

মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে
মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!

পেছনের পৃষ্ঠা

বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে
বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে

নগর জীবন

এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার
এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার

নগর জীবন

এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি
এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি

নগর জীবন

ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার
ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার

দেশগ্রাম

আশুগঞ্জ মোকামে কমতে শুরু করেছে ধানের দাম
আশুগঞ্জ মোকামে কমতে শুরু করেছে ধানের দাম

দেশগ্রাম