শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০১৯

নরম্যান্ডি ল্যান্ডিং

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সেনা সমাবেশ

প্রিন্ট ভার্সন
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সেনা সমাবেশ
মানবেতিহাসের বৃহত্তম সামরিক অভিযানের নাম নরম্যান্ডি ল্যান্ডিং। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল এই অভিযান।
৭৫ বছর পূর্তিতে এই অভিযান নিয়ে লিখেছেন-  মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি

 

ইতিহাসের পাতায় নরম্যান্ডি

আজ থেকে ৭৫ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৪৪ সালের ৬ জুন, সকাল সাড়ে ৬টায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জার্মানি অধীকৃত ফ্রান্সে মিত্রবাহিনীর বিজয়গাথা শুরু হয় ‘অপারেশন ওভার লর্ড’-এর মাধ্যমে। এই দিনটি ‘ডি ডে’ হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে ইতিহাসের ক্যালেন্ডারে। সমুদ্র এবং আকাশপথে সৈন্য সমাবেশ ও যুদ্ধ পরিচালনার দিক থেকে পৃথিবীর এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ সামরিক অভিযানের সূত্রপাত হয় এই দিনে। ৭৫ বছর পূর্তিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ দেশ-বিদেশের বহু বরেণ্য নেতা ও সেনানায়ক শ্রদ্ধাভরে সেদিনের বীর সেনানীদের স্মরণ করেছেন, জানিয়েছেন বিনম্র শ্রদ্ধা ও অভিবাদন। সামরিক ইতিহাস এবং রণকৌশল শিক্ষার বহু উপাদান এসেছে এই অপারেশন থেকে। ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা নরম্যান্ডিতে একসঙ্গে সামুদ্রিক নৌযান থেকে হাজার হাজার সৈন্য অবতরণ করে আর জল ও স্থল, উভয় ক্ষেত্রে চলতে সক্ষম শত শত ট্যাংকের সমাবেশ ঘটানোর কারণে অনেকের কাছেই এ অভিযানটি ‘নরম্যান্ডি ল্যান্ডিং’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

 

নরম্যান্ডি যুদ্ধের প্রেক্ষাপট

১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়। তবে যুদ্ধ সমাপ্তির চূড়ান্ত রূপ দেখা যায় ১৯১৯ সালে ২৮ জুন যুদ্ধবাজ জার্মানি ও অবশিষ্ট দেশসমূহের বা মিত্রশক্তির মধ্যে ঐতিহাসিক ভার্সাইলস চুক্তি সম্পাদনের পর। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জার্মানি এই চুক্তি মেনে নিলেও তা মন থেকে গ্রহণ করেনি জার্মানরা। এরই মধ্যে ১৯৩৩ সালের ৩০ জুন জার্মানির চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন মানবেতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর এবং একগুঁয়ে স্বৈরশাসক এডলফ হিটলার। অপরাপর জার্মানদের মতো তিনিও তৎকালে বিশ্বের দুই মোড়ল ব্রিটেন ও ফ্রান্সের খবরদারি মেনে নিতে পারেননি। তদুপরি তিনি মনে করতেন, ইহুদিদের চক্রান্তে ধনতন্ত্র এবং কমিউনিজম দ্রুতই পৃথিবীকে গ্রাস করে নিচ্ছে। এর বিপরীতে হিটলার তুলে ধরেন সমাজতন্ত্র উগ্র জাতীয়বাদ তত্ত্ব; যার মূলকথা ‘জার্মানিই শ্রেষ্ঠ’। এরই ধারাবাহিকতায় হিটলার জার্মানি থেকে ইহুদি বিতাড়ন এবং ইউরোপজুড়ে জার্মানিদের প্রভাব বিস্তারের নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করেন, যা জার্মানি ভাষায় নিউ অর্ডনাঙ্গ অর্থাৎ নিউ অর্ডার নামে পরিচিতি পায়। হিটলার ইউরোপজুড়ে ইহুদি বসতির জন্য আরও ভূমি দাবি করে জার্মানিতে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। ১৯৩৩ সালে জার্মানি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে শুরুর ছয় বছরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠা এবং তার (হিটলার) ভাষায় জার্মানির ওপর অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেওয়া ক্ষতিপূরণের ধাক্কা সামলান। তারপর অগ্নিমূর্তি ধারণ করে তার কুখ্যাত ব্লিটজার বা বিদ্যুৎগতিতে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর পার্শ্ববর্তী দেশ পোল্যান্ড দখল করেন। এরই প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। জার্মানদের আক্রমণের মুখে পড়ে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া, হল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বহু দেশ এক্ষেত্রে সফল না হলেও ১৯৪০ সালের ২২ জুন আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ফ্রান্সের পতন ঘটে। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে নানা যুদ্ধ, চুক্তি স্বাক্ষর, চুক্তি ভঙ্গ ইত্যাদি ঘটলেও ফ্রান্স মূলত জার্মানদের দখলেই থেকে যায়। ১৯৪৩ সালের মাঝামাঝিতে রাশিয়ার একটি অংশও হিটলারের দখলে থাকে। প্রতি আক্রমণের মাধ্যমে রাশিয়া কিছু অংশ অবমুক্ত করলেও ফ্রান্সে জার্মানদের উপস্থিতি রাশিয়াসহ পুরো ইউরোপের জন্য বিপদের কারণ হয়ে ওঠে। এমনি এক প্রেক্ষাপটে সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিনের ক্রমাগত চাপ ও অনুরোধে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল জার্মানির দখল থেকে ফ্রান্স পুনরুদ্ধারের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেন, যার সূচনা হয় মিত্রবাহিনীর নরম্যান্ডি ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে।

 

মিত্রবাহিনীর পরিকল্পনা

জার্মানির দখল থেকে ফ্রান্সকে মুক্ত করার পদ্ধতি নিয়ে মিত্রবাহিনীর সেনানায়ক ও রাষ্ট্রনায়করা নানা রণকৌশলের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা করেন। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ‘অপারেশন ওভার লর্ড’ শিরোনামে সমুদ্র এবং আকাশপথে জার্মানদের আক্রমণ ও নরম্যান্ডি দখলের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করা হয় যে, নরম্যান্ডি উপকূলে প্রাথমিক দখল এবং নৌযান ভিড়ার মতো এলাকা তৈরির জন্য মিত্রবাহিনীর তিনটি ডিভিশন (প্রায় ৪০ হাজার সৈন্য) ব্যবহৃত হবে। আর আকাশ পাড়ি দিয়ে স্থলভাগে অবতরণ করবে দুটি ব্রিগেড (প্রায় ১০ হাজার) ছত্রীসেনা। প্রাথমিক এলাকা দখল করার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগ দিবে আরও ১১ ডিভিশন (লক্ষাধিক) সৈন্য। এই সেনাদের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে সরাসরি জাহাজযোগে আমেরিকার কয়েক লাখ সৈন্য নরম্যান্ডিতে অবতরণ করবে এবং প্যারিস হয়ে জার্মানির দিকে যাত্রা করবে। পুরো যুদ্ধ পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব দেওয়া হয় আমেরিকার ফাইভ স্টার জেনারেল ডিউইট ডেভিড আইসেন হাওয়ারকে, যিনি পরবর্তীতে আমেরিকার ৩৪তম রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। হিটলারের সেনাপতি রোমেলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মরু অঞ্চলে পাল্লা দিয়ে লড়েছিলেন ব্রিটিশ বাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল বারনার্ড ল’ মন্টোগোমারি। তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আইসেন হাওয়ারকে সার্বিক সহায়তা দেওয়ার জন্য এবং স্থলবাহিনী পরিচালনার জন্য। বিশাল বাহিনী পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ব্রিটিশ এয়ার চিফ মার্শাল আর্থার টিডার। অন্যদিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত নৌবাহিনী পরিচালনার জন্য আস্থা রাখা হয় ব্রিটিশ রয়াল নেভির এডমিরাল বারট্রাম রামসের ওপর। ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনে বসে নরম্যান্ডি দখলের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেন এই সেনানায়করা। পরিকল্পনা অনুসারে প্রতি ভিভিশনে ১০-১২ হাজার সৈন্যবিশিষ্ট দুটি আমেরিকান, দুটি ব্রিটিশ ও একটি কানাডিয়ান ডিভিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় জাহাজযোগে নরম্যান্ডি উপকূলের পাঁচটি স্থানে অবতরণ ও প্রাথমিক দখল নেওয়ার জন্য। এ পাঁচটি স্থানের ছদ্ম নাম দেওয়া হয় যথাক্রমে ওটাহ, ওমাহা, গোল্ড, জুনো এবং সোর্ড। সমুদ্র থেকে পাঁচটি ডিভিশন নামানোর পাশাপাশি দুটি আমেরিকান এবং একটি ব্রিটিশ এয়ারবর্ন ডিভিশনকে (প্রতি ডিভিশনে প্রায় ৭-৮ হাজার ছত্রীসেনা) দায়িত্ব দেওয়া প্যারাসুটের মাধ্যমে জার্মান বাহিনীর পেছনে অবতরণ করার জন্য এবং নরম্যান্ডিতে অবস্থানরত জার্মানদের অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য। যুদ্ধের জন্য অত্যাবশ্যকীয় লজিস্টিক সাপোর্টের দায়িত্বে থাকা আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল জন ক্লিফোর্ড হজেস লি দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে প্রথম তিন সপ্তাহের যুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রায় সাড়ে ছয় হাজার জাহাজ ও অন্যান্য নৌযান, বিভিন্ন ধরনের দুই লাখ ট্যাংক, গাড়ি ও যুদ্ধযান এবং ছয় লাখ টন খাবার ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং অস্ত্র, গোলাবারুদ, জ্বালানি ইত্যাদি প্রস্তুত করেন।

 

নরম্যান্ডির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

নরম্যান্ডি ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় একটি উপকূলীয় এলাকা, যার অবস্থান রাজধানী প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমে। সমুদ্রপথে নরম্যান্ডিতে অবতরণ ও সেনা সমাবেশ ঘটানো গেলে সড়কপথে দ্রুত প্যারিসে পৌঁছানো এবং প্যারিস পাড়ি দিয়ে জার্মানি সীমান্তে পৌঁছানো সহজ ছিল। বিষয়টি যথাযথ অনুধাবন করতেন হিটলার। তাই তার আস্থাভাজন ও সুদক্ষ সমরনায়ক ফিল্ড মার্শাল এরউইন রোমেলকে দায়িত্ব দেন নরম্যান্ডি প্রতিরক্ষার। মূলত জার্মানরা ১৯৪২ সাল থেকেই তিলে তিলে তথাকথিত ‘আটলান্টিক ওয়াল’ নামে পরিচিত দুর্গ গড়ে তোলে এই উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে। ঐতিহাসিকদের মতে, হিটলার ফ্রান্সের প্রায় ১০ লাখ শ্রমিককে বাধ্য করেছিলেন এসব দুর্গ গড়তে। এসব দুর্গে সমুদ্রের জাহাজ ধ্বংসকারী কামান, বিমান ও দূরবর্তী টার্গেট ধ্বংসকারী কামান, মর্টার, ট্যাংক এবং হাজার হাজার দুর্ধর্ষ জার্মান সৈন্যের সমাবেশ ঘটানো হয়েছিল। নরম্যান্ডি উপকূলের প্রায় ৮০ কিলোমিটারজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছিল এই প্রতিরক্ষা। উপকূলজুড়ে পোঁতা হয়েছিল পঞ্চাশ লাখেরও বেশি প্রাণঘাতী ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন।

 

মূল যুদ্ধ

রাতে অবতরণকারী আমেরিকার ছত্রীসেনাদের একটি অংশ ভুলে পানিতে নেমে পড়ে এবং ডুবে যায়। তারপরও বাকিরা যথাযথভাবে অবতরণ করে এবং লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ব্রিটিশ ছত্রীসেনারাও যথাযথভাবে অবতরণ করে এবং জার্মানদের পালানোর পথ বিশেষত ব্রিজগুলো দখল করে নেয়। ৬ জুন খুব ভোর থেকেই হাজার হাজার নৌযান ভিড়তে থাকে নরম্যান্ডি উপকূলে। মিত্রবাহিনীর পাঁচটি বৃহৎ দলের (ডিভিশন) চারটি জার্মান প্রতিরোধ সত্ত্বেও লক্ষ্যে পৌঁছে যায়, তবে ওমাহা বিচে আমেরিকার সেনাদলটি (ডিভিশন) জার্মানদের প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। প্রথম রাতেই ওমাহা বিচে প্রায় ২০০০ আমেরিকান সৈন্য প্রাণ হারায়। জার্মান সেনাপতি রোমেল এ সময় ছুটিতে ছিলেন। মূলত মিত্রবাহিনীর নানা ধোঁকাবাজির কারণে এই আক্রমণের সম্ভাব্য স্থান-সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছিল জার্মানদের মাঝে। তাই রোমেলের অবর্তমানে অন্যান্য সেনানায়ক পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বয়ং হিটলার ‘পাঞ্জার ডিভিশন’ নামে পরিচিত দুর্ধর্ষ ট্যাংক বাহিনী মোতায়েন করেন। পাঞ্জার ডিভিশন ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ব্রিটিশ ও কানাডিয়ান বাহিনীর মাঝ দিয়ে এগিয়ে যায় এবং সমুদ্রের তীরে পৌঁছে। এতে ৬ জুন দুপুরের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা জার্মানদের পক্ষে চলে যায়। তীব্র যুদ্ধের পর ব্রিটিশ ট্যাংক বিধ্বংসী কামানের মুখে পাঞ্জার বাহিনী পরাস্ত হয়। এরই মধ্যে সন্ধ্যা নেমে আসে। ৭ জুন সকালের মধ্যে উপকূলীয় বেশকিছু অঞ্চল মিত্রবাহিনীর অগ্রগামী দলের দখলে চলে আসে। এসব এলাকায় অন্যান্য যুদ্ধযান ও জাহাজ ভিড়তে থাকে এবং নিজস্ব এলাকার পরিধি বাড়াতে থাকে। তবে জার্মানরাও ছেড়ে কথা বলেনি। মিত্রবাহিনীর বেশকিছু বিচ্ছিন্ন দখল অভিযান রুখে দেয় জার্মানরা। জুন মাসের শেষ অবধি এই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ এবং জয়-পরাজয় ঘটতে থাকে। তবে এক্ষেত্রে জার্মানদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল বেশি।

 

শুরুতে বিমান বাহিনীর প্রাধান্য

মিত্রবাহিনী নরম্যান্ডি অভিযানের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই ১৩ হাজারেরও বেশি যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান ও সামরিক পরিবহন বিমান ব্যবহার করে। ১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৫ জুন, এই ৬৬ দিনে ১১ হাজার বিমান উড্ডয়ন পরিচালনা করে এবং প্রায় দুই লাখ টন বোমা নিক্ষেপ করে। এতে জার্মান বাহিনীর বিমান ঘাঁটি, রাডার স্টেশন, সামরিক স্থাপনা, উপকূলে মোতায়েন কামান, ব্রিজ ও রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়। এই বিমান অভিযানে মিত্রবাহিনী প্রায় দুই হাজার বিমান হারালেও নরম্যান্ডির জার্মান বাহিনী মূলত ফ্রান্স থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

 

ডি ডে

যুদ্ধ শুরুর দিনকে সামরিক ভাষায় ডি ডে বলা হয়। বিভিন্ন কারণে নরম্যান্ডি অভিযানের ডি ডে পরিবর্তিত হয়েছিল। সবশেষে মিত্রবাহিনী প্রধান ফাইভ স্টার জেনারেল আইসেন হাওয়ার ১৯৪৪ সালে দিনটিকে ‘ডি ডে’ ঘোষণা করেন। সেই হিসাবে নরম্যান্ডির বিপরীতে এবং ইংলিশ চ্যানেলের উত্তরে ব্রিটিশ নৌঘাঁটি ও স্থলভাগ থেকে বিভিন্ন জাহাজে সৈন্য, যুদ্ধযান, ট্যাংক, রশদ ও জ্বালানি তোলা শুরু হয়। কিছু কিছু জাহাজ বন্দর ত্যাগ করে ৫ জুন আঘাত হানার জন্য। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়া ও উত্তাল ইংলিশ চ্যানেলের কারণে অভিযানটি ২৪ ঘণ্টা দেরিতে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে সৈন্য বহনের ৩০০০ নৌযান, ২৫০০ অন্যান্য জাহাজ ও ৫০০ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বা রণতরী ইংল্যান্ডের উপকূল ত্যাগ করে। আকাশপথে ছত্রীসেনা ও গ্লাইডার সেনা পরিবহন এবং বোমা নিক্ষেপের জন্য মোতায়েন করা হয় ১৩০০০ যুদ্ধবিমান। প্রথম রাতেই ৮২২টি সৈন্য বহনকারী বিমান থেকে ছত্রীসেনা ও গ্লাইডার নরম্যান্ডি ও এর আশপাশের এলাকায় অবতরণ করে নতুন ডি ডে ৬ জুন ১৯৪৪ তারিখে।

 

জার্মান শিবিরে হতাশা  আত্মহত্যা ও পরাজয়

ক্রমাগত ক্ষয়ক্ষতি ও জীবনহানির কারণে জার্মান শিবিরে অচিরেই হতাশা নেমে আসে। ১৭ জুলাই ব্রিটিশ জঙ্গি বিমানের হামলায় জার্মান সেনাপতি রোমেলের গাড়ি উড়ে যায় এবং রোমেল মারাত্মকভাবে আহত হন। জার্মান সেভেনথ আর্মির কমান্ডার জেনারেল ফ্রেডরিক কার্ল আলবার্ট, ডলম্যান জার্মানিদের একটি বড় ও শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ঘাঁটি পতনের পর ২৮ জুন মারা যান। হার্ট অ্যাটাকের কথা বলা হলেও তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর রটে, যা জার্মানদের মনোবল ভেঙে দেয়। আরেক সেনাপতি ফিল্ড মার্শাল কার্ল রুডলফ গার্ভ ভন  হিটলারের কাছে নিজের পরাজয়ের কথা তুলে ধরে মিত্রবাহিনীর সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেন। যুদ্ধবাজ হিটলার জুলাই মাসের ২ তারিখে তাকে এবং আরও কয়েকজন সিনিয়র কমান্ডারকে বরখাস্ত করেন। ২০ জুলাই সিনিয়র সেনা অফিসাররা হিটলারকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করলেও তা ব্যর্থ হয়। ক্ষিপ্ত হিটলার এরপর নিজেই সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নিয়ে নেন এবং চক্রান্তকারীদের ওপর চরম প্রতিশোধ নেন। তার প্রধান সেনাপতি রোমেলসহ অনেকেই হিটলারের আদেশে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। ২৫ জুলাই থেকে ‘অপারেশন কোবরা’ নামে মিত্রবাহিনী জার্মানদের ওপর ব্যাপক বিমান হামলা চালায় এবং আরও সৈন্য সমাবেশ ঘটায়। এরই মাঝে হিটলার ৭ আগস্ট আবারও চেষ্টা চালান মিত্রবাহিনীর ওপর চড়াও হতে। কিন্তু মিত্রবাহিনীর ট্যাংক বিধ্বংসী কামানের সামনে টিকতে পারেনি হিটলার বাহিনী। ১৬ আগস্টের মধ্যে মিত্রবাহিনী জার্মানদের প্রায় চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে। এতে হিটলার বাধ্য হয়ে জার্মানদের নরম্যান্ডি ত্যাগের অনুমতি দেন। মিত্রবাহিনীর অবস্থানের মাঝখানের সামান্য স্থানগুলো ব্যবহার করে পালিয়ে যায় অবশিষ্ট জার্মানরা। ততক্ষণে প্রায় পঞ্চাশ হাজার জার্মান সেনার কবর রচিত হয় নরম্যান্ডিতে আর বন্দী হয় দুই লাখ জার্মান। এরপর মিত্রবাহিনীর ক্রমাগত চাপে জার্মানরা শেষ পর্যন্ত ফ্রান্স ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। তবে ফ্রান্সের নতুন জন্মের জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়েছিল মিত্রবাহিনীকে। নরম্যান্ডির যুদ্ধে প্রকৃতপক্ষে কতজন প্রাণ হারিয়েছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। তবে অধিকাংশ সামরিক গবেষকের মতে, এই যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর ২ লাখ সেনা মৃত্যুবরণ কিংবা আহত হয়েছিলেন। এক্ষেত্রে জার্মানদের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ। ফ্রান্সের ১২ হাজার বেসামরিক ব্যক্তিও এই যুদ্ধে জীবন বিসর্জন দেয়।

প্রতি বছর ইউরোপজুড়ে ডি ডে পালিত হয় ৬ জুন। এ বছর পালিত হলো ৫৭তম ডি ডে। নরম্যান্ডি এখন  একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান, যা সযত্নে লালন করছে ডি ডের স্মৃতিকথা।

এই বিভাগের আরও খবর
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিরে গিয়ে সিলভা আর যোগাযোগ রাখেননি
ফিরে গিয়ে সিলভা আর যোগাযোগ রাখেননি
বিয়ে করতে সিলেটে উড়ে এলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী
বিয়ে করতে সিলেটে উড়ে এলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী
হোগল-রহিমার অবাক প্রেমে মুগ্ধ সবাই
হোগল-রহিমার অবাক প্রেমে মুগ্ধ সবাই
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
পোপের প্রভাব বিশ্বজুড়ে
পোপের প্রভাব বিশ্বজুড়ে
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
সর্বশেষ খবর
রোহিতের পর এবার টেস্ট থেকে অবসরের পথে কোহলি!
রোহিতের পর এবার টেস্ট থেকে অবসরের পথে কোহলি!

২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী আর নেই
বরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী আর নেই

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সংঘাত : ভারতীয় শেয়ারের দাম কমেছে ৮৩ বিলিয়ন ডলার
পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সংঘাত : ভারতীয় শেয়ারের দাম কমেছে ৮৩ বিলিয়ন ডলার

২১ মিনিট আগে | বাণিজ্য

পাখিবান্ধব নগর ও সমাজ গড়ার আহ্বান
পাখিবান্ধব নগর ও সমাজ গড়ার আহ্বান

২১ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রক কমিটির সভা ডেকেছেন শেহবাজ শরিফ
পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রক কমিটির সভা ডেকেছেন শেহবাজ শরিফ

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাবিপ্রবিতে বাংলাদেশ-চায়না টি সামিট ২০ মে
শাবিপ্রবিতে বাংলাদেশ-চায়না টি সামিট ২০ মে

২৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের পাঁচ বিমানঘাঁটিতে হামলার দাবি পাকিস্তানের
ভারতের পাঁচ বিমানঘাঁটিতে হামলার দাবি পাকিস্তানের

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৬ জনকে শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৬ জনকে শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ

৫১ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নির্বাচিত সরকার না এলে বিনিয়োগ আসবে না
নির্বাচিত সরকার না এলে বিনিয়োগ আসবে না

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ছাড়া আইনের শাসন থাকবে না: আইন উপদেষ্টা
সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ছাড়া আইনের শাসন থাকবে না: আইন উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধর্ম দিয়ে বিভাজন নয়, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: মির্জা ফখরুল
ধর্ম দিয়ে বিভাজন নয়, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাইবার হামলায় ভারতের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা অচল
সাইবার হামলায় ভারতের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা অচল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আর কত নির্যাতনের শিকার হবেন চিকিৎসকরা
আর কত নির্যাতনের শিকার হবেন চিকিৎসকরা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

পাকিস্তানের গোলায় ভারতীয় কর্মকর্তার মৃত্যু
পাকিস্তানের গোলায় ভারতীয় কর্মকর্তার মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের গণমাধ্যম কার্টুন নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে: আফ্রিদি
ভারতের গণমাধ্যম কার্টুন নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে: আফ্রিদি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উড়িয়ে দিল পাকিস্তান
ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উড়িয়ে দিল পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাল্টা হামলা: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের
পাল্টা হামলা: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি পৌঁছেছেন ৩৭১১৫ হজযাত্রী
সৌদি পৌঁছেছেন ৩৭১১৫ হজযাত্রী

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

চুয়াডাঙ্গায় বাইসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
চুয়াডাঙ্গায় বাইসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মৃত ব্যক্তিকে কাফন পরানোর নিয়ম
মৃত ব্যক্তিকে কাফন পরানোর নিয়ম

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কোরআনের তিন মৌলিক বিষয় ও তার গুরুত্ব
কোরআনের তিন মৌলিক বিষয় ও তার গুরুত্ব

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যেমন থাকবে আজ ঢাকার আবহাওয়া
যেমন থাকবে আজ ঢাকার আবহাওয়া

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় রুবেল হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২
আশুলিয়ায় রুবেল হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ২৭
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ২৭

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলের লিড নিয়েও জিততে পারলো না বাংলাদেশ
দুই গোলের লিড নিয়েও জিততে পারলো না বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে ২ বিভাগের রেল যোগাযোগ বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে ২ বিভাগের রেল যোগাযোগ বন্ধ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলারের বাড়তি ঋণ মঞ্জুর আইএমএফের
পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলারের বাড়তি ঋণ মঞ্জুর আইএমএফের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ছোড়া ৬ ব্যালিস্টিক মিসাইল নিজেদের রাজ্যেই পড়েছে : পাকিস্তান
ভারতের ছোড়া ৬ ব্যালিস্টিক মিসাইল নিজেদের রাজ্যেই পড়েছে : পাকিস্তান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাঙামাটি ও বান্দরবানের সংযোগ ফেরি বন্ধ থাকবে টানা ৫ দিন
রাঙামাটি ও বান্দরবানের সংযোগ ফেরি বন্ধ থাকবে টানা ৫ দিন

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেনীর স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে 'নাগরিক সংলাপ'
ফেনীর স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে 'নাগরিক সংলাপ'

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানাল সরকার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানাল সরকার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফ্লাইট সংক্রান্ত জরুরি ঘোষণা বাংলাদেশ বিমানের
ফ্লাইট সংক্রান্ত জরুরি ঘোষণা বাংলাদেশ বিমানের

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের ছোড়া ৬ ব্যালিস্টিক মিসাইল নিজেদের রাজ্যেই পড়েছে : পাকিস্তান
ভারতের ছোড়া ৬ ব্যালিস্টিক মিসাইল নিজেদের রাজ্যেই পড়েছে : পাকিস্তান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেওড়াপাড়ায় বাসা থেকে দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার
শেওড়াপাড়ায় বাসা থেকে দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উড়িয়ে দিল পাকিস্তান
ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উড়িয়ে দিল পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃষ্টির সম্ভাবনা কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
বৃষ্টির সম্ভাবনা কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাল্টা হামলা: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের
পাল্টা হামলা: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজ্যগুলোকে জরুরি অবস্থার পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ ভারতের
রাজ্যগুলোকে জরুরি অবস্থার পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ ভারতের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি,  উপদেষ্টা মাহফুজের ‘কয়েকটি কথা’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি, উপদেষ্টা মাহফুজের ‘কয়েকটি কথা’

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শেখ মুজিবের করা কালো আইনের ১৯ ধারায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে’
‘শেখ মুজিবের করা কালো আইনের ১৯ ধারায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে’

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রচার করছে'
'আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রচার করছে'

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার
গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি, বাড়তে পারে তীব্রতা
তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি, বাড়তে পারে তীব্রতা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: মঈন খান
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: মঈন খান

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাতক্ষীরার সীমান্তে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক, সতর্ক বিজিবি
সাতক্ষীরার সীমান্তে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক, সতর্ক বিজিবি

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলারের বাড়তি ঋণ মঞ্জুর আইএমএফের
পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলারের বাড়তি ঋণ মঞ্জুর আইএমএফের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় ৭২ নাগরিককে রাখা হয়েছে স্কুল ও বাড়িতে, দেওয়া হচ্ছে রান্না করা খাবার
ভারতীয় ৭২ নাগরিককে রাখা হয়েছে স্কুল ও বাড়িতে, দেওয়া হচ্ছে রান্না করা খাবার

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের গোলায় ভারতীয় কর্মকর্তার মৃত্যু
পাকিস্তানের গোলায় ভারতীয় কর্মকর্তার মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ
পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাইবার হামলায় ভারতের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা অচল
সাইবার হামলায় ভারতের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা অচল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের চারটি টিভির ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করল ভারত
বাংলাদেশের চারটি টিভির ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করল ভারত

৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস
আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের
বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
সবাইকে জানিয়েই দেশ ত্যাগ করেন হামিদ
সবাইকে জানিয়েই দেশ ত্যাগ করেন হামিদ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডনে নতুন সিগন্যাল পেলেন আরিফুল হক
লন্ডনে নতুন সিগন্যাল পেলেন আরিফুল হক

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক ঐক্যের খোঁজে বিএনপি
রাজনৈতিক ঐক্যের খোঁজে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আরও বড় হামলার পরিকল্পনা
আরও বড় হামলার পরিকল্পনা

প্রথম পৃষ্ঠা

মহিলা কারাগারে থাকবেন ভিআইপিরা
মহিলা কারাগারে থাকবেন ভিআইপিরা

পেছনের পৃষ্ঠা

শাহবাগ ব্লকেড ছাত্র-জনতার
শাহবাগ ব্লকেড ছাত্র-জনতার

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিমান সচিবের বাড়িতে দুই বোনের লাশ
বিমান সচিবের বাড়িতে দুই বোনের লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার
এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান
আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

১৯ ধারায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে
১৯ ধারায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

সোনারগাঁ থেকে প্রথম হাদিসের শিক্ষা প্রচারিত হয়
সোনারগাঁ থেকে প্রথম হাদিসের শিক্ষা প্রচারিত হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রেললাইনে মৃত্যুফাঁদ
রেললাইনে মৃত্যুফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

দোসরদের দেশ ত্যাগের সুযোগ দিচ্ছে সরকার
দোসরদের দেশ ত্যাগের সুযোগ দিচ্ছে সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঙালি নায়িকারা কেন বলিউডে
বাঙালি নায়িকারা কেন বলিউডে

শোবিজ

যুদ্ধ আমাদের দেখার বিষয় নয়
যুদ্ধ আমাদের দেখার বিষয় নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

নিত্যপণ্যে অস্বস্তি বাড়ছে
নিত্যপণ্যে অস্বস্তি বাড়ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে হেলে পড়া ভবন
নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে হেলে পড়া ভবন

নগর জীবন

তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ
তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

রাতভর অভিযানের পর আইভী গ্রেপ্তার
রাতভর অভিযানের পর আইভী গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

বাধা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের
বাধা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে আইসিসিবিতে ভিড়
ছুটির দিনে আইসিসিবিতে ভিড়

পেছনের পৃষ্ঠা

সিনেমাপাগল আফজাল হোসেন
সিনেমাপাগল আফজাল হোসেন

শোবিজ

হারিয়ে যাওয়া পাখি...
হারিয়ে যাওয়া পাখি...

পরিবেশ ও জীবন

নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জনগণের
নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জনগণের

প্রথম পৃষ্ঠা

সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা - আজিজুর রহমান
সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা - আজিজুর রহমান

শোবিজ

আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্টে মোগল পরিবেশে কাওয়ালির মুগ্ধতা
আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্টে মোগল পরিবেশে কাওয়ালির মুগ্ধতা

নগর জীবন

মালচিং পদ্ধতিতে নতুন জাতের তরমুজ চাষ
মালচিং পদ্ধতিতে নতুন জাতের তরমুজ চাষ

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষিদ্ধের দাবি বিবেচনা করা হচ্ছে গুরুত্বের সঙ্গে
নিষিদ্ধের দাবি বিবেচনা করা হচ্ছে গুরুত্বের সঙ্গে

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ফুলের বাগান
হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ফুলের বাগান

শনিবারের সকাল