নগরের বেশিরভাগ স্থানে ফুটওভার ব্রিজ নেই ও বিদ্যমান ফুটওভারব্রিজগুলোও নেই জায়গামতো। আবার ফুটওভার ব্রিজগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে নগরবাসীর মধ্যে। ফলে ব্যস্ত নগরীতে হাজারো গাড়ির ভিড়েই রাস্তা পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন নগরবাসী। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর সিটি কলেজ থেকে শুরু করে জিগাতলা, ধানমন্ডি ১৫, শঙ্কর ও মোহাম্মদপুর পর্যন্ত পুরো রাস্তাই ব্যস্ত। রাস্তার দুই পাশেই রয়েছে অনেক স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, শপিং মল ও ব্যবসায়িক ভবন। আছে নামিদামি রেস্তোরাঁ। তাই সারাদিনই রাস্তায় ভিড় জমে থাকে ব্যক্তিগত গাড়ির। এ ছাড়া বাস, ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশা, লেগুনা, রিকশাসহ মেইন রোডের ভিড় এড়াতে এ রাস্তাতেই এসে জমাট বাঁধে বহু গাড়ি। পর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার ভিড় যেন কাটতেই চায় না। পুরো সাতমসজিদ রোডের ধানমন্ডি ১৫ নম্বরে একটিমাত্র ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও সেটি ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া দুই পাশের ব্যবসায়িক ভবনের পার্ক করা গাড়িতে ব্রিজে ওঠার রাস্তা বন্ধ হয়ে থাকে। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আজনাফ রহমান জানান, এ রাস্তা দিয়ে আমাকে প্রতিদিনই চলাচল করতে হয়। অনিরাপদ বলে আম্মু প্রথম প্রথম আমাকে স্কুলে পৌঁছে দিতেন। কিন্তু আম্মু চাকরি করায় এখন আর প্রতিদিনই তার আসা সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই আমাকে একাই চলাচল করতে হয়। এ রাস্তায় কোনো ফুট ওভারব্রিজ নেই। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পেরোতে হয়। শুধু ধানমন্ডি নয়, একই অবস্থা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে। উত্তরা নিবাসী গৃহবধূ জাহরা আহসান অভিযোগ করেন, বর্তমানে হাউস বিল্ডিং এলাকায় ফুটওভারব্রিজ না থাকায় মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে। এয়ারপোর্ট এলাকায় একটি মাত্র ফুটওভারব্রিজ থাকায় সেখানে দীর্ঘ লাইন দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে। বাড্ডায় বসবাস করা শিক্ষার্থী জয়িতা ভাদুড়ী জানান, উত্তর বাড্ডা থেকে রামপুরা পর্যন্ত কোনো ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় সবাই তীব্র ঝুঁকিতে পড়েন। এ এলাকায় অনেক স্কুল কলেজ, অফিস থাকার পরও ফুটওভারব্রিজ নেই। অন্যদিকে, সম্প্রতি মিরপুর এক নম্বর ফুটওভারব্রিজে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছিলেন গৃহবধূ নাদিয়া বিথী। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সরকার আইন করল ফুটওভারব্রিজে ওঠার। কিন্তু সেখানে উঠেই ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র, মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেছি। একই অবস্থা মিরপুর-১০ এলাকার। মিরপুর সেনপাড়ার বাসিন্দা আদুরী খাতুন জানান, মিরপুর-১০ এর গোলচক্কর এলাকায় সন্ধ্যার পর ওঠা দায়। অধিকাংশ লাইট নষ্ট। ছিনতাইকারীরা ওতপেতে বসে থাকেন। বিশ্বরোড এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার জন্য মেয়েকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মামুনুর রশিদ এবং তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। ব্যস্ত সড়কে তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, আমার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যাব, সে তো অসুস্থ, আবার সঙ্গে মেয়ে, ওদের নিয়ে রাস্তা পারাপার একটু ঝুঁকিই হয়ে যায়। ফুটওভারব্রিজ দেখিয়ে তিনি বলেন, মানুষের চলাচল ও বাসস্টপেজসহ সব বিষয়ই এখানে। কিন্তু ব্রিজ প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। এখান থেকে ওই ব্রিজে পার হয়ে আবার বাসস্টপেজে যেতে এক কিলোমিটার হাঁটতে হবে। সেটা আমার পক্ষে সম্ভব হলেও আমার অসুস্থ স্ত্রী ও শিশু মেয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পার হওয়া ছাড়া আমার কাছে বিকল্প কোনো উপায় নেই।
শিরোনাম
- অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
- ফেনীতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের এক ঘণ্টা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
- কুয়েত চেম্বারে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের বিশেষ সভা
- শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
- দেশে অচলাবস্থার সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি তোলা হচ্ছে: দুদু
- জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
- সিদ্ধিরগঞ্জে অস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার
- ফেনীতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ
- বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির জন্য শাবিপ্রবির চার পদক্ষেপ
- যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল মিললো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ
- ঝিনাইদহে মাছ ধরা কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১২
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায় কমিশন
- শ্রীবরদীতে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ উদ্ধার
- দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
- ভাগ্নের বিরুদ্ধে মামাকে পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
- চাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের আবেদনে মনোনয়নের সময় একদিন বাড়াল কমিশন
- ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
- নতুন মামলায় আনিসুল-আমুসহ ৮ জন গ্রেফতার
- দিনাজপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের রেলপথ ও সড়ক অবরোধ
- বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিল গেটসের কেন অদম্য কৌতূহল