বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বিশ্বের কোন শহর কীভাবে কাজ করে

সাইফ ইমন

বিশ্বের কোন শহর কীভাবে কাজ করে

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরগুলো একেক বৈশিষ্ট্যম-িত। প্রশাসনিক ব্যবস্থায়ও রয়েছে ভিন্নতা। একেকটি শহর তৈরির ইতিহাসও আলাদা।  শহরবাসীরও রয়েছে নানা রকম ভিন্নতা। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ বাস করে শহরে। ১৯৫০ সালে এই হার ছিল মাত্র ৩০ শতাংশ। দিন দিন শহরমুখী মানুষের ঢল বাড়ছেই। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ এই সংখ্যার হার অন্তত ৬৬ শতাংশ হবে। প্রয়োজনের তাগিদেই বাড়ছে শহর। জীবনের নানাবিধ সুবিধা পেতে লাখ লাখ মানুষ শহরমুখী হচ্ছে...  

 

লন্ডন  (ইংল্যান্ড)

লন্ডনে প্রায় ৮৮ লাখ লোকের বাস। এটি ইংল্যান্ডের বৃহত্তম শহর। যুক্তরাজ্যের ১৩ শতাংশের বেশি লোক লন্ডনে বাস করে। এখানকার আইন খুবই কড়া। লন্ডনের বর্তমান মেয়র সাদিক আমান খান। ১৭০০ শতক থেকে আজ পর্যন্ত লন্ডন ইউরোপের বৃহত্তম শহর। লন্ডনে ১৯০০ শতকে আইরিশ, চীনা ও ইহুদি এবং বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ভারতীয় উপমহাদেশীয়, ক্যারিবীয় কৃষ্ণাঙ্গ ও পূর্ব আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ অভিবাসীদের আগমনের সুবাদে লন্ডন বর্তমানে একটি বহুজাতিক, বহুভাষিক ও বহু সাংস্কৃতিক বিশ্বনগরীতে পরিণত হয়েছে। এই শহরটি যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। লন্ডনের চাকরিজীবীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ প্রায় ৮৫% সেবা খাতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। শহরটির অর্থনীতির আয়তন প্রায় ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। লন্ডনের অর্থনীতি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম মহানগর অর্থনীতি। লন্ডন শহরের অর্থনীতি এতই বড় যে, এটি আরেকটি উন্নত দেশ সুইডেনের সমগ্র অর্থনীতির সমান। যুক্তরাজ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষের আর্থিক জীবন লন্ডনকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়।  বাণিজ্যিক কর্মকান্ডের কেন্দ্র হলো শহরের থ্রেডনিডল স্ট্রিট।

 

নিউইয়র্ক (আমেরিকা)

নিউইয়র্ক শহর যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ও বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মহানগরী। জাতিসংঘের সদর দফতর এখানে অবস্থিত। যার কারণে এটিকে আন্তর্জাতিক কূটনীতির তীর্থস্থান বলা যায়। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নামক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিল ডি ব্লাজিও নিউইয়র্ক শহরের বর্তমান নগরপিতা বা মেয়র। শহরটি ম্যানহাটন দ্বীপ, স্ট্যাটেন আইল্যান্ড, লং আইল্যান্ড দ্বীপটির পশ্চিম অংশ এবং ম্যানহাটনের উত্তরে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের মূল ভূখন্ডের এক চিলতে অংশের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত নাগরিক সুযোগ সুবিধা এখানে পাওয়া যায়। রয়েছে সবার জন্য ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থা। মৌলিক চাহিদাগুলো এখানে সবার জন্য সমানভাবে পূরণ করা হয়। এই শহরের বেশির ভাগ মানুষ গণপরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করে। এখানে নিউইয়র্ক সিটি সাবওয়ে নামে বিশ্বের বৃহত্তম দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থাটি রয়েছে। এই পাতাল রেল ব্যবস্থাটি ৪৭২টি স্টেশন নিয়ে গঠিত।  নিউইয়র্ক শহরটিতে বহুসংখ্যক আবাসিক ও অনাবাসিক এলাকা রয়েছে এবং এগুলোকে প্রশাসনিকভাবে পাঁচটি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। শহরের প্রায় ৩৬ শতাংশ অধিবাসীই আমেরিকায়  জন্মগ্রহণ করেনি।

 

মেক্সিকো সিটি  (মেক্সিকো)

বিশ্বের চতুর্থ জনবহুল শহর মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৪ সালে মেক্সিকোর জনসংখ্যা দুই কোটি আট লাখের মতো। শহরটির আয়তন এক হাজার ৪৮৫ বর্গকিলোমিটার। শহরের বসবাসরত নাগরিকের ৬৫ শতাংশ নেটিভ আমেরিকান, ৩১ শতাংশ ইউরোপিয়ান এবং তিন শতাংশ আফ্রিকান। মেক্সিকো সিটিটি অভিবাসন প্রার্থীদের প্রত্যাশা পূরণের সবচেয়ে বড় শহর হিসেবেও ধরা হয়। এই শহরের নগরপিতা একজন নারী। নাম ক্লাউডিয়া পার্দো। গণপ্রজাতন্ত্রী শাসনে পরিচালিত হয় সরকার ব্যবস্থা। ২০১১ সালে মেক্সিকো সিটির জিডিপিতে যোগ হয় ৪১১ বিলিয়ন ডলার। গোছালো শহর মেক্সিকো সিটি রচনা হয় নেটিভ আমেরিকানদের হাতে। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে শহরের সব প্রাইভেট হসপিটাল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। জাতীয়ভাবেও শহরের জনগণকে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।

ল্যাটিন আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এলাকা হিসেবে মেক্সিকো সিটি পরিচিত। শহরে যান চলাচলে রয়েছে উন্নত মেট্রো লাইন।  প্রতিদিন ৪.৪ মিলিয়ন লোক এই মেট্রো সিস্টেম ব্যবহার করে।

 

কলকাতা [ভারত]

২০০১ সালে কলকাতা শহরের ইংরেজি নাম ‘ক্যালকাটা’ বদলে ‘কলকাতা’ করা হলে পৌরসংস্থাও নাম পরিবর্তন করে ‘কলকাতা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন’ নামে পরিচিত হয়। এটি ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। কলকাতা পৌরসংস্থাকে কাজের সুবিধার জন্য মোট ১৫টি বরোতে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি বরোয় রয়েছে করপোরেশন নির্ধারিত সংখ্যক ওয়ার্ড। কলকাতায় মোট ১৪১টি ওয়ার্ড রয়েছে। এই ওয়ার্ডগুলো কাউন্সিলরদের নির্বাচনী ক্ষেত্ররূপে বিবেচিত হয়। ৭৪তম সংবিধান সংশোধনী আইন মোতাবেক পৌরসংস্থা ওয়ার্ড কমিটি গঠনেও সক্ষম।  কলকাতা শহরটি হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। সুতানুটি, ডিহি কলকাতা ও গোবিন্দপুর নামে তিনটি গ্রাম নিয়ে মূল কলকাতা শহরটি গড়ে ওঠে। ১৭০০ শতাব্দীর শেষ ভাগ পর্যন্ত এই গ্রামগুলোর শাসনকর্তা ছিলেন মুঘল সম্রাটের অধীনস্থ বাংলার নবাবরা। স্বাধীনতার পর কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে।  এখানে রয়েছে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা, বিজ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক চর্চার সব সুযোগ-সুবিধা।

 

কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া)

কুয়ালালামপুর মালয়েশিয়ার সাংস্কৃতিক, আর্থিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। এটি মালয়েশিয়ার সংসদ এবং রাজার সরকারি আবাসস্থল। এখানকার গণপরিবহন নেটওয়ার্কগুলোর বিস্তৃত পরিসর, যেমন ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি), লাইট মেট্রো (এলআরটি), বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), মনোরেল, যাত্রীবাহী রেল এবং একটি বিমানবন্দর রেল সংযোগ দ্বারা সমর্থিত একটি বিস্তৃত সড়ক ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে সরকার যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে। পর্যটন ও শপিংয়ের জন্য কুয়ালালামপুর বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শহর। পর্যটকদের জন্য রয়েছে এখানে চমৎকার ভ্রমণ ব্যবস্থা। নূর হাসিম আহমেদ এখানকার বর্তমান মেয়র। শহরটিতে প্রচুর বিদেশি নাগরিক কাজ করেন।

ফেডারেল সংবিধান অনুসারে মালয়েশিয়ার কর্তৃত্বের শ্রেণি বিন্যাস, নির্বাহী, বিচার বিভাগ এবং আইন শাখার সমন্বয়ে মালয়েশিয়া সরকারের তিনটি শাখাকে মঞ্জুরি দিয়েছে। এখানকার জীবন ব্যবস্থা অনেক উন্নত।  সব নাগরিক সুবিধা এখানে নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

প্যারিস (ফ্রান্স)

প্যারিসের মানুষকে সবচেয়ে আধুনিক ফ্যাশনের বলা হয়। প্রশাসনিক সীমানার ভিতরে প্যারিসের প্রাক্কলিত জনসংখ্যা ২২ লক্ষাধিক। প্রায় ৪০০ ধরনের বিভিন্ন খাবার ও পানীয় এখানে দেখা যায়। সিনেমা জগতের সবচেয়ে বড় উৎসব কান ফিল্ম ফেস্টিভাল ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা তথা ইউনেস্কোর সদর দফতর এই শহরে অবস্থিত। এই শহরের নগরপিতা একজন নারী। নাম অ্যানি হিডালগো। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্যটকের গন্তব্যস্থল এই শহর। তাই শহরটির প্রশাসনিক ব্যবস্থা অনেকটা গড়ে উঠেছে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে। এখানকার রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সব কিছুই অনেক পরিকল্পিত। প্রতি বছর এখানে প্রায় তিন কোটি বিদেশি পর্যটক বেড়াতে আসেন।

প্যারিসের লা দেফঁস ইউরোপের বৃহত্তম পরিকল্পিত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে সুপরিচিত। ফ্রান্সের সব প্রধান কোম্পানির প্রায় অর্ধেকের সদর দফতর এতে অবস্থিত।  শহরটি উত্তর ফ্রান্সে ইল-দ্য-ফ্রঁস অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র সিন নদীর তীরে অবস্থিত।

 

বার্লিন (জার্মানি)

জার্মানির রাজধানী এবং ইউরোপ মহাদেশের একটি ঐতিহাসিক শহর। এখানকার মেয়র হলেন বার্লিন মুলার। এই শহরে ৩৪ লাখেরও বেশি লোক বাস করে। শহরটি একাধারে জার্মানির একটি রাজ্য। মোট আয়তন ৩৪৩ বর্গমাইল। বার্লিনে রয়েছে উন্নত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। তবে নাগরিকদের নানা রকম কর দিতে হয়। যেমন- এখানকার মানুষদের কুকুর পোষা খুবই ব্যয়বহুল একটি কাজ। কারণ কুকুরের মালিককে প্রতি বছর দেড়শ ইউরো কর দিতে হয়। বার্লিনেই রয়েছে ইউরোপের বৃহত্তম ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। এর আটতলাবিশিষ্ট ভবনে প্রায় চার লাখ জিনিস বেচাকেনা হয়। বার্লিন একটি বহু সাংস্কৃতিক শহর। বিশ্বের ১৮৪টি দেশ থেকে আগত প্রায় চার লাখ ৩০ হাজার অভিবাসী বার্লিনে বাস করেন। এদের মধ্যে তুরস্ক থেকে আগত অভিবাসীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই শহরে এক লাখ ১৯ হাজার তুর্কি অভিবাসী বাস করে। তুরস্কের বাইরে বার্লিনেই ইউরোপীয় তুর্কিদের সবচেয়ে বড় সম্প্রদায়। জার্মানির সব রাজনৈতিক কর্মকা- এই শহরটিকে  ঘিরেই আবর্তিত হয়।

 

টোকিও (জাপান)

বর্তমানে পৃথিবীর সর্বোচ্চ জনবহুল শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। এই শহরের বর্তমান জনসংখ্যা তিন কোটি ৮০ লাখ। অবশ্য বর্তমানে শহরটির জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে। শহরটিকে বিশ্বের ব্যস্ততম শহরও বলা হয়। অত্যাধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির মিশেলে চলে এখানকার জীবন ব্যবস্থা। টোকিও শহরটি নিরাপত্তার দিক থেকেও বিশ্বে প্রথম স্থানের অধিকারী। পড়াশোনায় এ দেশের ছেলেমেয়েদের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। শহরটির নগরপিতা একজন নারী। তিনি ইউরেকো কইকে। তিনি এখন টোকিও মেট্রোপলিটন সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তিনি এর আগে ১৯৯৩-২০১৬ পর্যন্ত জাপান হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের সদস্য ছিলেন।

টোকিও এখন যেখানে অবস্থিত সেখানে প্রাচীন যুগ থেকেই জনবসতি ছিল। বহু শতাব্দী ধরেই এখানে মৎস্য শিকারিদের একটি ক্ষুদ্র গ্রাম বিদ্যমান ছিল, যার নাম ছিল এদো। জাপানের ইতিহাসের তোকুগাওয়া শোগুনাতের শাসনামলে (১৬০৩-১৮৬৭) এদো গ্রামটি শহরে পরিণত হয় এবং শেষ পর্যন্ত শোগুনদের  রাজধানী হয়ে যায়।

 

দুবাই  (আরব আমিরাত)

২০১৮ সালে পর্যটকদের কাছে বিশ্বের চতুর্থ জনপ্রিয় শহর ছিল এটি। ব্যাংকক, লন্ডন ও প্যারিসের পরেই যার অবস্থান। ১৫.৭৯ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটকের পা পড়েছিল এই শহরে। আমিরাতের রাজধানী হলো দুবাই। এ বছরের মধ্যে দুবাই হতে চলেছে বিশ্বের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ব্লকচেইন পরিচালিত শহর। ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশাসনের পক্ষে সহজ হবে নাগরিকদের গোপনীয় তথ্যাদি সুরক্ষিত রাখা এবং পরিচয়-প্রতারণাকে রুখে দেওয়া। এখানকার উন্নত জীবন ব্যবস্থার কারণে সারা বিশ্ব থেকেই লোকজন আসে এখানে। এদিকে দুবাই সরকারের ডিবিএস প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। যার ফলে প্রশাসনিক সব কার্যক্রম তো বটেই, সেই সঙ্গে ভিসা আবেদন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু কিংবা শিশুদের স্কুল-কলেজে ভর্তির মতো সব কাজেরই আগাগোড়া সবটা সম্পন্ন করা হবে ডিজিটালি। তাই এই শহরটিকে ডিজিটাল শহরও বলা যেতে পারে। এদিকে দুবাই শহরটির এত জনপ্রিয়তার বড় সোপান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে।

বর্তমানে দুবাইয়ের সরকার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘটছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রয়োগ। দুবাই প্রশাসন গাঁটছড়া বেঁধেছে আইবিএমসহ বিশ্বের আরও বেশ কিছু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে বিশেষায়িত কোম্পানির সঙ্গে। এদিকে ২০২১ সালে দুবাই সরকার চিরতরে বিদায় জানাতে চলেছে কাগজকে। এর মাধ্যমে তারা প্রতি বছর সরকারি কাজে ব্যবহৃত  হওয়া এক বিলিয়ন শিটেরও বেশি কাগজ বাঁচাতে সক্ষম হবে।

সর্বশেষ খবর