কুসুম সিকদার পরিচালিত ও অভিনীত ‘শরতের জবা’ মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। ছবিটি সিনেপ্লেক্সসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে চলছে। কেমন চলছে ছবিটি? দর্শকের সাড়া কেমন? এ ছবি এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে আজ তাঁর বলা কথা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ
‘শরতের জবা’ সিনেমা মুক্তির ছয় দিন পেরিয়ে গেছে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
ছবিটি মুক্তির পর থেকে বিভিন্ন মাল্টিপ্লেক্সে গিয়েছি। এ কয়েক দিন সিনেমা হলে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে যে, সিনেমাটির গল্পে নতুন কিছু আছে। নতুন প্রজন্মের ছবি। শিল্পীদের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শকরা। অনেক দর্শক ‘শরতের জবা’ ছবির পার্ট-টু দেখতে চান বলে জানিয়েছেন। মনোযোগ দিয়ে দর্শক ছবিটি উপভোগ করেছেন। তাছাড়া এ ছবির ‘মায়া’ গানটি দর্শক অনেক পছন্দ করেছে। সিনেমা হলে আচ্ছন্ন হয়ে গানটি দেখেছে, শুনেছে। এছাড়া আইটেম গানটিও খুব উপভোগ করতে দেখেছি দর্শকদের।
এ সাফল্যে আপনার অনুভূতি কেমন?
অবশ্যই ভালো, ছবিটি নিয়ে দীর্ঘদিন আমার একটা যাত্রা ছিল। ক্যামেরার পেছনে, মনিটরে, সম্পাদনার টেবিলে একটু একটু করে হতে দেখেছি। অবশেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল। দর্শক আমাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করল। এটা আমার জন্য পরম প্রাপ্তি।
আপনি তো ভালো লিখেন, তা কখন লিখেন?
বেশিরভাগ লেখালেখি রাতে। হোক কবিতা বা গল্প। রাতের পরিবেশটাই লেখার জন্য আমাকে সহযোগিতা করে। একটু নিরিবিলি পরিবেশে লিখি।
কয়েক বছর আগে তো একটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছিল?
হ্যাঁ, নীল ক্যাফের কবি নামে একটি কবিতার বই প্রকাশ হয়েছে আমার। অন্বেষা প্রকাশন বইটি প্রকাশ করেছিল। পাঠক বেশ ভালোভাবেই নিয়েছিলেন বইটি। আসলে লেখালেখিটা অনেক টানে আমাকে।
আপনার অবসরের সঙ্গী কী?
অনেক কিছু। লেখালেখি কিন্তু অবসরের মধ্যেই করি। তবে সিনেমা দেখি খুব। দেশের সিনেমার বাইরে ইউরোপিয়ান সিনেমা আমাকে ভীষণ টানে। খুব দেখি।
আপনি তো গানও করেন?
গান আমি অনেক বছর ধরে করি। নেশা নামে একটি গান করেছিলাম। গানটি শ্রোতাদের মন কেড়েছিল।
আগে আপনার অভিনীত গহীনে শব্দ, লাল টিপ, শঙ্খচিল তিনটি ছবি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। এর মধ্যে আপনার ভালো লাগা ছবি কোনটি?
সত্যি কথা বলতে তিনটি ছবিই আমার প্রিয়। তিনটি তিনরকম ছবি। কোনোটির গল্পের সঙ্গে কোনোটির মিল নেই। দর্শকরা তিন ছবিতে আমাকে তিনভাবে দেখেছেন। আমিও কাজগুলো করে আনন্দ পেয়েছি।