আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েও গতকাল মঙ্গোলিয়া সফরে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। গত বছর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এবারই প্রথম আইসিসির কোনো সদস্য দেশ সফরে গেলেন পুতিন। সেখানে তিনি সাদর অভ্যর্থনা পেয়েছেন। মঙ্গোলিয়ার নেতা রাজধানী উলানবাতরে পুতিনকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়েছেন। আইসিসির সদস্য হওয়ার পরও মঙ্গোলিয়া এ পরোয়ানা কার্যকর না করায় সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। আইন অনুযায়ী, আইসিসির সদস্য হিসেবে মঙ্গোলিয়ার উচিত ছিল পুতিনকে গ্রেপ্তার করা। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউক্রেনের আহ্বান সত্ত্বেও মঙ্গোলিয়া এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুতিনের এ সফর নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগ নেই। রাজধানীর চেঙ্গিস খান স্কয়ারে পুতিনকে স্বাগত জানাতে ঘোড়ার পিঠে চড়ে উপস্থিত ছিল সারি সারি সেনা। সেখানে দুই দেশের পতাকাও উত্তোলন করা হয় বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে। লাইভ ব্যান্ডে বাজানো হয় সামরিক স্তবসংগীত। ফুল দিয়ে পুতিনকে স্বাগত জানায় ছোট্ট এক বালিকা। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মঙ্গোলিয়ার নির্বাহী পরিচালক আলতানতুয়া বাটডর্জ বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিচারের পলাতক একজনকে আশ্রয় দেওয়া শুধু বিচার ব্যাহত করা নয়, এটি মঙ্গোলিয়াকে আন্তর্জাতিক আইনের সবচেয়ে গুরুতর অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে দোষী হিসেবে উপস্থাপন করবে। মঙ্গোলিয়া আকারে ইউরোপের প্রায় অর্ধেক হলেও জনসংখ্যা মাত্র ৩.৪ মিলিয়ন। দেশটির রাশিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। শুধু রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে দেশটির সীমান্ত রয়েছে।