সোমবার, ৯ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

টাকা ধার চাওয়ার একাল-সেকাল

টাকা ধার চাওয়ার একাল-সেকাল

বন্ধুদের টাকা ধার চাওয়ার সঙ্গে প্রেমের একটা সম্পর্ক রয়েছে। যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে। কিন্তু নিয়মটা একই রয়েছে। জানাচ্ছেন— সোহানুর রহমান অনন্ত

 

২০০০ সাল : দোস্ত এলাকায় একটা নতুন পাখি আইছে। এক্কেরে পরীর মতো। তোর লগে হেব্বি মানাইবো। তুই বললেই একটা লেটার ডেলিভারি দিয়ে দিতে পারি। ওর ফ্যামিলির সবাইরে রাজি করানোর দায়িত্ব আমার। তবে কথা হইল কয়েক দিন ধরে পকেটটা মরুভূমি হয়ে গেছে, কিছু টাকা ধার দিয়ে মহান ব্যক্তির কাজটা কর বন্ধু।

২০০৫ সাল : দোস্ত, এক সুন্দরীর ফোন নম্বর আছে। তার কণ্ঠ তো পুরাই কোকিল। কুহু কুহু। চিন্তা করে দেখলাম তোর কণ্ঠও তো হেব্বি। তাই এইটা তোর সঙ্গে ভালো মানায়। নম্বরটা তোরে দিয়ে খাটি বন্ধুর পরিচয় দিতে চাই বন্ধু। কিন্তু কথা হইল আমার কিছু টাকা ধার লাগবে। কয়েক দিন পরেই দিয়ে দিমু, আমি তোর বেস্ট ফ্রেন্ড, না করিস না।

২০১০ সাল : তোরে কেউ কিছু কইলে খালি বলবি, ধইনা ঝাড়া দিয়া দিমু। আমাগো এলাকার মেয়ে বিয়ের জন্য পছন্দ করেছিস, তোর তো এটা অধিকার, কোন হেল্প লাগবে বলবি। আমি তোর বন্ধু বুঝলি।

এই এলাকায় আমার ওপর কথা বলার কারও সাহস নাই। যাই হোক কিছু টাকা ধার দে, বহুত বেদনায় আছি টাকার অভাবে, সামনের মাসেই দিয়ে দিব।

২০১৫ সাল : তোরে ফেসবুক সেলিব্রেটি বানানোর দায়িত্ব আমার। ফেসবুকের সুন্দরী মেয়েরা তোর আইডির পেছনে লাইন ধরব। তুই কেবল চাইয়া চাইয়া দেখবি, লাইক ক্যামনে বৃষ্টির মতো পড়ে। ফলোয়ার ক্যামনে ঝড়ের গতিতে বেড়ে যায়। আমি থাকতে তোর কোনো ভরসা নাই। আসল কথা হইল বন্ধু, গালফ্রেন্ড নিয়া ঘুরতে যামু, তোর তো কিছু টাকা ধার দিতেই হবে।

সর্বশেষ খবর