ছাত্রলীগের দুই কর্মীর মধ্যে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় দুই কর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের মিথুন পালিত ও ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আরিফুল ইসলাম। তারা উভয়ই সিএফসি পক্ষের কর্মী।
বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল স্টেশনে ঘটনার শুরু হয়। বিকেল থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দু'পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার ট্রেনে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জহির রায়হান অভি নামে ভিএক্স গ্রুপের এক কর্মীকে সিএফসি গ্রুপের নেতা মিথুন ও পিয়াস মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে মিথুনকে মারধর করে ভিএক্স গ্রুপের নেতাকর্মী। এরপর দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহআমানত হলের এবং ভিএক্স গ্রুপের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী ও শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেয়। দু'পক্ষের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দূর্জয় বলেন, আমাদের এক জুনিয়রকে মেরে তারা ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়। পরে বিষয়টি সমঝোতা করতে গেলে তারা আবারও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়৷ পরে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হল থেকে বের হতে চাইলে আমাদের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিয়ে তাদের হলে ঢুকিয়ে দেয়।
সিএফসি গ্রুপের নেতা চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন সুমন বলেন, তারা চাই ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে। আমরা তাদের বার বার মিংমাংসার কথা বললেও তারা আমাদের উপর চড়াও হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মুরশেদ রিপন বলেন, ছাত্রদের দু'পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে৷ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আকতারুজ্জামান বলেন, যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর