দুই দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, লোভা ও সারী নদীতে বেড়েই চলছে পানি। ইতোমধ্যে কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি ও জৈন্তাপুরে সারি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদীর পানিও বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সিলেটে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।
পাউবো সিলেট অফিস সূত্রে জানা যায়, টানা বর্ষন ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, লোভ ও সারী নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সকাল ৯টায় সিলেটের কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি ছিল ১২.৮১ মিটার। অর্থাৎ সুরমা নদীর পানি কানাইঘাটে বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। বিকেল ৩টায় সুরমার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, সুরমা নদীর পানি সিলেটে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সকাল ৯টায় নদীর পানি ছিল ৯.৬৭ মিটার। বিকেল ৩টায় তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০.০৮ মিটারে। সিলেটে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ১১৬ মিলিমিটার। একইভাবে কুশিয়ারা নদীর পানি আমলসীদে বিদপসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার, শেওলায় ১.২০ মিটার ও শেরপুরে ৬২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও গতকাল সকাল থেকে সকল পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে লোভা নদীর পানি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বেড়েছে ৬১ সেন্টিমিটার। সারি নদীর পানি জৈন্তাপুরের সারিঘাটে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার সিলেটভিউকে জানান, অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও ভারতের পাহাড়ী এলাকা থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের সবকটি নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি ও জৈন্তাপুরে সারি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যে কোন সময় ওই দুই উপজেলাসহ জেলার আরও কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম