সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় সরকারি সাহায্য পেয়ে বিপদে পড়েছেন ভিক্ষুকরা। তাদের মধ্যে দুইজন হচ্ছেন দুখু মিয়া ও দুলাল মিয়া।
শারীরিক প্রতিবন্ধী দুখু মিয়া ও দুলাল মিয়ারা ফেঞ্চুগঞ্জ টোলপ্লাজার সামনে ভিক্ষা করে জীবন ধারণ করতেন। এতে কোনো রকম সংসার চলে যেত। প্রায় দুই বছর আগে সরকারের ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা ঘোষণার আওতায় চলে আসে ফেঞ্চুগঞ্জ।
তৎকালীন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুরে জান্নাত বিভিন্ন ভিক্ষুকদের তালিকা করে জীবন ধারনের জন্য, নৌকা, হাস, সেলাই মেশিন, মুদি দোকান ইত্যাদি দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে ভিক্ষুকদের সরিয়ে আনেন। এই কার্যক্রমে ২টি দোকানঘর পান দুখু মিয়া ও দুলাল মিয়া। কিন্তু এতে বিপদ আরও বাড়ে তাদের। দোকানঘর পেলেও কোনো পুঁজি পাননি তারা!
যে কারণে দীর্ঘদিন থেকে টং দোকানঘরগুলো পড়ে আছে ফেঞ্চুগঞ্জ সেতুর নিচে। রোদ বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে এগুলো।
ভিক্ষুক দুখু মিয়া বলেন, ‘আগে ভিক্ষা করে যা পাইতাম কোনো রকম চলে যেত। কিন্তু পুঁজি ছাড়া দোকানঘর দিয়ে আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন কেড়ে নেওয়া হয়েছে! আমাদের পুঁজি নাই, এখন ভিক্ষাও নাই! ঘরে ভাতও নাই!’
তিনি ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘শারীরিকভাবে সক্ষম হলে তো ভিক্ষা করতাম না। দোকানে পুঁজি খাটানোর টাকা থাকলেও ভিক্ষা করতাম না। পুঁজিবিহীন দোকানঘর দিয়ে আমাদের বিপদে ফেলা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জসিম উদ্দিন জানান, ওই সময় আমি ছিলাম না। উনাদের অফিসে পাঠিয়ে দিন আমি কোনো ভাবে উনাদের পুঁজির ব্যবস্থা করে দিব।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম