সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রায় সাড়ে ৭শ’ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৭৪৩ কোটি ৫৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বাজেটে সমপরিমাণ আয় ও ব্যয় ধরা হয়েছে।
বাজেটে উল্লেখযোগ্য আয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, হোল্ডিং ট্যাক্স ৪৪ কোটি ২০ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের উপর কর ৮ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা, ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণের উপর কর ২ কোটি টাকা, ব্যবসার উপর কর ৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, বিজ্ঞাপনের উপর কর ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা, বাস টার্মিনাল ইজারা বাবদ ৮০ লক্ষ টাকা, সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি ও দোকান ভাড়া বাবদ ১ কোটি টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে আয় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা, পানির সংযোগ লাইনের চার্জ বাবদ ৪ কোটি টাকা, পানির লাইনের সংযোগ ও পুনঃসংযোগ ফি বাবদ ১ কোটি টাকা, নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন ও নবায়ন ফি বাবদ দেড় কোটি টাকা।
এছাড়া সরকারি উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দ বাবদ ১৫ কোটি টাকা, সরকারি বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প মঞ্জুরী খাতে ১০ কোটি টাকা, সরকারি অন্যান্য উন্নয়ন সহায়তা মঞ্জুরী বাবদ ২৫ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা, সিলেট মহানগরীর অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ১০৮ কোটি টাকা, ভারতীয় অনুদানের সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নত পরিবেশ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ৫ কোটি টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের জন্য আধুনিক যান যন্ত্রপাতি ক্রয় ৪৫ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা, জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পে ৮০ কোটি টাকা, নগর ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্পে ১০ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশনের ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ প্রকল্পে ২০ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমা জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশু পার্কে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ২ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর যানজট নিরসন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পে ৫ কোটি টাকা, বিভিন্ন ছড়া খনন ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ প্রকল্পে ১০ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশন এসপল্ট প্লান্ট স্থাপন ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে জমি অধিগ্রহণ/ক্রয় খাতে ৩০ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ফিলিং স্টেশন স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশনের প্লাস্টিক রিসাইক্লিন প্লান্ট স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, কুমারপাড়ায় সিটি কর্পোরেশনের নগর মাতৃসদন ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন খাতে ১০ কোটি টাকা, লালমাটিয়ায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড উন্নয়ন খাতে ৩০ কোটি টাকা, তোপখানা পানি শোধনাগার এর উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বোতলজাত করে বিক্রয় প্রকল্পের জন্য ৫ কোটি টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্যানেটারি ল্যান্ড ফিল্ড নির্মাণ প্রকল্পে ৩ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমায় এমজিএসপির সহায়তায় আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পে ৩ কোটি টাকা, নলকূপ স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, পানির লাইন স্থাপন খাতে ৩ কোটি টাকা, সুরমা নদীর তীর ঘেষে সার্কিট হাউসের সম্মুখ হতে হযরত গাজী বোরহান উদ্দিন সড়ক পর্যন্ত আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল এবং ওয়াকওয়েসহ রাস্তা নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পে ১৮ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের স্টাফ কোয়াটার নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পে ২ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীতে যানজট নিরসনে ৪টি পার্কিং ব্যবস্থা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি গরুর হাট নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি জবাইখানা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি খেলার মাঠ নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের স্থায়ী অফিস স্থাপন প্রকল্প ২ কোটি টাকা, এমজিএসপি প্রকল্প খাতে ৫ কোটি টাকা এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব প্রকল্প লালদিঘীতে মার্কেট নির্মাণ, ধোপাদিঘীতে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মার্কেট নির্মাণ ও সিটি কর্পোরেশনের আবাসিক প্রকল্প নির্মাণ প্রকল্প খাতসহ মোট ৯৭ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা