বৃষ্টির দেখা নেই। ক’দিন থেকে উত্তপ্ত আবহাওয়া। প্রশান্তির বায়ুও আজ গরম। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খররৌদ্রে পুড়ছে প্রকৃতি। তীব্র তাপদাহে ওষ্ঠাগত প্রাণ। এ অবস্থায় বিপর্যস্ত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার জন-জীবন। সেই সাথে বিদ্যুতের অসহনীয় লোড শেডিংয়ে অতিষ্ঠ মানুষ।
রবিবার তাপমাত্র বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমে হাঁসফাঁস করছেন সকলেই। বাড়ছে রোগ-বালাই। গরম থেকে শারীরিক প্রশান্তি ও তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের পানি, লেুবর শরবত, তালের শাস, তরমুজ, কোমল পানীয় গ্রহণ করতে দেখা গেছে অনেককেই।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ অবস্থা থাকতে পারে আরও ক’দিন। তবে বৃষ্টি-ঘূর্ণিঝড় হলে সাময়িক কিছুটা কমে আসবে তাপমাত্রা। বৃষ্টিতে বিরতি পড়লে উষ্ণতার পারদ বাড়তে পারে আবারও।
রবিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গরমও বাড়তে থাকে। মধ্য দুপুরে প্রচণ্ড তাপে উপজেলার রাস্তা-ঘাটে কমে আসে যান চলাচল। কমতে থাকে পথচারীদের সংখ্যাও। এসময় বাসিয়া ব্রিজ এলাকায় দেখা যায়, মানহীন শরবত বিক্রির হিড়িক। এ সবে তৃষ্ণা মেটান অনেকেই। পথ চলতে গিয়ে গাছের নিচে একটু জিরিয়ে নিতেও দেখা গেছে পথচারীদের। ইতিমধ্যে প্রচণ্ড গরমে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে পর্যাপ্ত পানি পান ও রসালো ফল-মূল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্ঠিবিদরা।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক দিলীপ বৈষ্ণ ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে জানান, আজ সিলেট বিভাগে তাপমাত্রা বেড়ে দাড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঘূর্ণিঝড়-বৃষ্টি না হওয়ার আগ পর্যন্ত তাপমাত্রা এভাবেই থাকতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই