ওরা পাঁচ জন। সাথে থাকে সুন্দরী ললনা। ঘুরে বেড়ান নগর জুড়ে। টার্গেট করেন ধনীর দুলাল কিংবা বিত্তশালী কাউকে। পরে টার্গেটের সাথে চক্রের নারী সদস্য গড়ে তুলে প্রেমের সম্পর্ক। অতঃপর ‘রুম ডেটিং’য়ের নামে নিয়ে যাওয়া হয় নিজেদের আস্তানায়। পরে অশ্লীল ছবি তুলে আদায় করা হয় মোটা অংকের টাকা।
এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে নগরীতে ‘নারী ফাঁদ’ দিয়ে প্রতারণা করে আসছে চক্রটি। অবশেষে এ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে নগরীর পাঁচলাইশ, হালিশহর এবং বায়েজীদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দিদারুল ইসলাম ওরফে দিদার, ফাতেমা ইয়াছমিন নিশি, বিথিত মাহমুদ মোস্তাফা সিফা, আনোয়ার হোসেন আনু এবং রাকিব আল ইমরান।
সিএমপি’র কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, শুক্রবার ইমরান নামে এক ব্যবসায়ী থানায় এসে অভিযোগ করেন কয়েকদিন আগে পুলিশ পরিচয়ে তাকে কাজীর দেউরী এলাকা থেকে তুলে নেওয়া হয়। এরপর পাঁচলাইশ থানাধীন একটি বাসায় নিয়ে গিয়ে দুই নারীর সাথে তার আপত্তিকর ছবি তুলে ২ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরে সাড়ে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তিনি ছাড়া পান। অভিযোগের পর পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্ত করতে গিয়ে দুর্ধর্ষ এ প্রতারক চক্রের সন্ধান মিলে। পরে অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের এ কর্মর্তা আরো বলেন, ‘গত পাঁচ বছর ধরে তারা অভিন্ন কায়দায় প্রতারণা করে আসছে। দীর্ঘ এ সময়ে শতাধিক ব্যক্তি তাদের হাতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।’
পুলিশ জানায়, প্রতারক চক্রের সদস্যরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নগরীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়। পরে চক্রের নারী সদস্যরা ব্যবসায়ী ও বিত্তশালী লোকজনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে রুম ডেটিংয়ের নামে বাসা নিয়ে এসে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। পরে মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়। ভিকটিম সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সম্মানের কথা চিন্তা করে প্রতারক চক্রের চাহিদা পূরণ করে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন