সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী হুমায়রা আক্তার মুন্নী হত্যাকাণ্ডের আলোচিত মামলার রায়ে অভিযুক্ত মো. এহিয়া সরদারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জের দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এই রায় দেন।
স্কুলছাত্রী হুমায়রা আক্তারকে ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসায় ঢুকে পড়ার টেবিলে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে বখাটে এহিয়া। হুমায়রা ওই বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হুমায়রা আক্তার দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের নদগীপুর গ্রামের ইতালি প্রবাসী হিফজুর রহমানের মেয়ে। মা রাহেলা বেগম দিরাই পৌর শহরের মাদানী মহল্লার একটি ভাড়া বাসায় মেয়ে হুমায়রা ও একমাত্র ছেলে মাহিদ আহমদকে বসবাস করতেন। মুন্নী দিরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করত বখাটে এহিয়া সরদার।
হুমায়রা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষুব্ধ এহিয়া ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্নীকে পড়ার টেবিলে বসে থাকা অবস্থায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে আহত করে করে পালিয়ে যায়। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় মুন্নীর।
ঘটনার দুইদিন পর ১৮ ডিসেম্বর হুমায়রার মা রাহেলা বেগম বাদী হয়ে এহিয়া সরদার ও তার বন্ধু মাদানী মহল্লা এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম চৌধুরীর ছেলে তানভীর আহমদ চৌধুরীকে আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই দিনই তানভীরকে গ্রেফতার করে।
তদন্ত শেষে পুলিশ গত বছরের ৭ জানুয়ারি আদালতে এহিয়া সরদারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। এই মামলায় বুধবার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় এহিয়া সরদার আদালতে উপস্থিত ছিল।
মামলবার বাদী ও মুন্নির মা জানান, তারা এই রায়ে সন্তোষ্ট। দ্রুত যাতে এই রায় কার্যকর কর হয় এই দাবি তিনি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা