একটি খুনের ঘটনার পর বায়েজিদ এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে থাকা অবস্থায় সেই খুনের মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে গিয়েই শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। কয়েকদিন আগেই খুন হওয়া মোঃ রিপন হত্যা মামলার ৫ নাম্বার আসামি মোঃ এমদাদ (৩৭) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এমদাদ বায়েজিদের শেরশাহ কলোনীর ফরিদ আহমেদের ছেলে। উক্ত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এসএম মহিউদ্দিনের মধ্যে কোন্দল লেগেই আসছে। এই কোন্দলের জেরেই এ ঘটনা ঘটে। তাছাড়া খুন হওয়া রিপন কাউন্সিলর বাবু ও বন্দুকযুদ্ধে নিহত এমদাদ মহিউদ্দিনের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত বলে জানান স্থানীয়রা। তবে এমদাদ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই চাদাঁবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে আসছিল বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
শুক্রবার ভোরে বায়েজিদের মাঝিরঘোনা এলাকায় পুলিশের সাথে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারি কমিশনার পরিত্রাণ তালুকদার। তিনি বলেন, রিপন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি এমদাদ। সিসি ক্যামেরায় সংরক্ষিত দৃশ্যে ঘটনার সময় এমদাদকে মারামারিতে অংশ নিতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, এমদাদকে গ্রেফতারের পর মাঝেরঘোনা এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তার সহযোগিরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা করে। এসময় পুলিশ শর্টগানের কার্তুজ ফায়ার করে এবং তারই এক পযার্য়ে এমদাদের সহযোগীদের ছোড়া গুলিতে তার মৃত্যু হয়। সেখান থেকে একটি এলজি ও কার্তুজ এবং ছুরি-চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
দলীয়, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ মিনার মোড়ে পলিটেকনিক কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম মহিউদ্দিন ও স্থানীয় কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবুর অনুসারীদের দু'গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় ছুরিকাঘাতে স্থানীয় জালালাবাদ হকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রিপনের মৃত্যু হয়।
তাছাড়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিনের আশ্রয়ে থেকে এমদাদ ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, পোশাক কারখানা থেকে চাঁদাবাজি, নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় ভাসমান দোকান থেকে টাকা আদায়, শেরশাহ এলাকায় ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল। গত বছরের মাঝামাঝিতে বায়েজিদের বাংলাবাজার এলাকায় হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে এমদাদ ও তার অনুসারীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটও।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন