জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনে প্রস্তুত চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এ নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আগামী শুক্রবার বিকালে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠে উদ্বোধন করা হবে কাউন্ট ডাউন ক্লক।
ইতোমধ্যে নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়, সার্কিট হাউজের সামনে, আদালত ভবন ও শাহ আমানত সেতু এলাকায় চারটি কাউন্ট ডাউন ক্লক স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া মশকমুক্ত গ্রিন ও ক্লিন সিটি বাস্তবায়ন ও বঙ্গবন্ধুময় অমর একুশে বইমেলার আয়োজন, নগরে স্থাপিত মুজিববর্ষের চারটি কাউন্ট ডাউন ক্লক উদ্বোধন ও সন্ধ্যায় জিমনেসিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া চসিকের ব্যবস্থাপনায় টাইগারপাস থেকে লালখান বাজার, কাজীর দেউড়ি, লাভ লেইন, স্টেডিয়াম এলাকা, মোহরা, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, সিটি গেইট এলাকায় মুজিববর্ষের প্রচারণামূলক ব্রান্ডিং প্রদর্শন করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে চসিকের টাইগারপাসের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চসিক ও প্রশাসনের সঙ্গে কাউন্ট ডাউন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ সব প্রস্তুতির কথা তুলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান, স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) দীপক চক্রবর্ত্তী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা।
উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজাদুর রহমান মল্লিক, চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিযার কবীর, সিডিএ সচিব তাহেরা ফেরদৌস বেগম, চসিক সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম ভূইয়া, পিডিবিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ডিজল কুমার মহাজন, গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে চসিক আইাটি অফিসার ইকবাল হাসান কাউন্ট ডাউন ক্লক স্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রজক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।
চসিকের প্রস্তুতির মধ্যে আছে, চট্টগ্রামের ৩০ হাজার মানুষ সরাসরি স্কিন থেকে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অবলোকন করার ব্যবস্থা, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, শত শিশুর কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৭ই মার্চের ভাষনের হলোগ্রাফিক উপস্থাপন, বাউল, লোকশিল্প, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সমন্বয়ে সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরা, স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা, সন্ধ্যায় ১০০টি ফানুস উড়ানো, ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যান হতে মুজিববর্ষের মূল অনুষ্ঠান সম্প্রচার, নগরজুড়ে র্যালি, এতিমদের উন্নত খাবার পরিবেশন, এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সংস্থা ভিত্তিক ফুটবল প্রতিযোগিতা, মুজিব বর্ষব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে অনুষ্ঠানের আয়োজন, প্রতিমাসে ৩-৪টি ওয়ার্ডে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন, প্রতিটি ওয়ার্ডে রক্তদান কর্মসূচি, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, সারসার্জ মুক্ত কর মেলার আয়োজন ও ছাদবাগান যুক্ত হোল্ডিং মালিকদের কর প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দেওয়া।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল