পাওনা টাকা চাইতে গিয়েই খুন হয়েছিলেন ব্যবসায়ী বিজয় কুমার বিশ্বাস। নয় মাস আগে তার কাছ থেকে মুনাফার ভিত্তিতে দেড় লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন আবদুর রহমান। আবদুর রহমানের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য মরিয়া হন বিজয় কুমার বিশ্বাস। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয় কুমার বিশ্বাসকে গলায় ইন্টারনেটের তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন আবদুর রহমান।
পরে বিজয়ের মরদেহ গুম করে অপহরণের নাটক সাজান। শনিবার আবদুর রহমানকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ।
হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন পর বিকাশের এজেন্ট বিজয় কুমার বিশ্বাসকে খুনের সঙ্গে জড়িত রহমানকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে সিআইডি চট্টগ্রাম। গ্রেফতার আবদুর রহমান (৪০) গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গোলাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে।
নগরের ইপিজেড থানার নেভি ওয়েলফেয়ার মার্কেটের দোতলায় তার রাইড এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স হাওলাদার বিল্ডার্স নামে দুটি দোকান আছে। নিহত বিজয় কুমার বিশ্বাস কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার সন্তোষ কুমার দাশের ছেলে। নগরীর নেভী ওয়েলফেয়ার মার্কেটের নিচতলায় তার চাঁদনী এন্টারপ্রাইজ এন্ড গিফট শপ ও বিকাশ এজেন্টের প্রতিষ্ঠান ছিল বলে জানিয়েছে সিআইডি।
মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ জানান, ১৫ অক্টোবর সকালে পাহাড়তলী থানার সাগরিকায় আলিফ গলি থেকে বিজয় কুমার বিশ্বাসের (৩২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সিআইডি ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। ২০ অক্টোবর মামলাটির তদন্তভার পায় সিআইডি। এ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আবদুর রহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। পরে তাকে গ্রেফতারের পর এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়।
তিনি জানান, আবদুর রহমান ও বিজয় কুমার বিশ্বাসের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। পরিচয়ের সুবাদে ৯ মাস আগে বিজয়ের কাছ থেকে আবদুর রহমান মুনাফার ভিত্তিতে দেড় লাখ টাকা ঋণ নেন। মুনাফাসহ সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না আবদুর রহমান। এ টাকা না দিতেই আবদুর রহমান বিজয় কুমার বিশ্বাসকে গলায় ইন্টারনেটের তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল