সিইউজের চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সদস্য গোলাম সরওয়ারকে অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। অন্যথায় সারাদেশের সাংবাদিকদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সোমবার দুপুরে সিইউজে কার্যালয়ে সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সভায় নেতৃবৃন্দ এ হুঁশিয়ারি দেন। সভায় সাংবাদিক গোলাম সরওয়ারকে অপহরণের ঘটনায় একটি গণতদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সিইউজে। এছাড়া অপহরণের শিকার হয়ে নির্যাতিত সাংবাদিক সরওয়ারকে আইনী সহয়াতা দিতে তিন সদস্যের আইনজীবী প্যানেল গঠনের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দিবে সিইউজে। পাশাপাশি জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শিগগিরই সমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে নির্বাহী কমিটি।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটো, সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইফতেখার ফয়সাল, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের ইউনিট প্রধান স ম ইব্রাহিম, প্রতিনিধি ইউনিটের প্রধান সাইদুল ইসলাম, টিভি ইউনিটের প্রধান মাসুদুল হক, দৈনিক পূর্বকোণ ইউনিটের ডেপুটি চিফ নাজিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, কেবল সংবাদ প্রকাশের কারণেই যে গোলাম সরওয়ারকে অপহরণ করা হয়েছিল তা এরইমধ্যে সুস্পষ্ট। গোলাম সরওয়ারকে অপহরণের সঙ্গে জড়িতরা যত প্রভাবশালীই হয়ে থাকুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তা চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় সারাদেশের সাংবাদিকদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক অপহরণের ঘটনা স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ও গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। এর সঙ্গে জড়িতরা পার পেয়ে গেলে ভবিষ্যতে কেবল স্বাধীন সাংবাদিকতা ঝুঁকির মুখে পড়বে না, রাষ্ট্রের নাগরিকদেরও ভয়াবহ খেসারত দিতে হবে। তাই এ ঘটনায় জড়িতরা যত প্রভাবশালী হোক, যাদের দিয়েই এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক সকলকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে গোলাম সরওয়ারকে উদ্ধারের পর রবিবার রাতেই চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানান তার সহকর্মী জোবায়ের সিদ্দিকী।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন