চট্টগ্রামের এক হাজার ৩৭৪টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেবে সরকার। তবে প্রথম দফায় আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে দেওয়া হবে ২৩৮টি পরিবারকে। চট্টগ্রামের আট উপজেলায় যার জমি এবং ঘর নেই তাদের এসব ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাস জমির বন্দোবস্তসহ দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে এটি গৃহহীনদের জন্য সরকারের উপহার হিসাবে দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গুচ্ছগ্রাম (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে এক হাজার ৩৭৪টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে- চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ৬৫টি, পটিয়ার ৫০২টি, চন্দনাইশে ৫টি, সাতকানিয়ায় ১৩৪টি, লোহাগাড়ার ১৮টি, বাঁশখালীর ২৫টি এবং ফটিকছড়ির ৬০০টি। এর মধ্যে প্রথম দফায় আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ২৩৮টি পরিবারকে নতুন ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হবে। নতুন ঘর পাবে রাঙ্গুনিয়ার ১০টি পরিবার, পটিয়ার ৬০টি, চন্দনাইশে ৫টি, সাতকানিয়া ২৫টি, লোহাগাড়ায় ১৮টি, বাঁশখালী ২৫টি এবং ফটিকছড়িতে ৭০টি পরিবার। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস. এম জাকারিয়া বলেন, ‘চট্টগ্রামে গৃহহীন এক হাজার ৩৭৪টি গৃহহীন পরিবারকে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে সরকার ‘ক’ ক্যাটাগরিতে যারা ভূমি ও গৃহহীন তাদের এবং ‘খ’ ক্যাটাগরিতে যার ভূমি আছে কিন্তু গৃহ নেই, তাদের নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ক ক্যাটাগরির অন্তর্ভূক্ত ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। তালিকা থেকে প্রথম পর্যায়ে ২৩৮টি পরিবারকে জমি বন্দোবস্ত ও ঘর নির্মাণ করে দিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের পর্যায়ক্রমে জমি বন্দোবস্তসহ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।’
জানা যায়, এসব ঘর নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) অনুকূলে ৪০ কোটি ৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। ঘর নির্মাণ করা হবে ইটের দেওয়াল, কংক্রিটের মেঝে, টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি সেমিপাকা দু’টি শয়ন কক্ষ, একটি খোলা বারান্দা, একটি রান্না ঘর এবং একটি শৌচাগার।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার