অন্যের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে তাদের ব্যক্তিগত ছবি বিভিন্ন পর্ণ সাইটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
আজ শনিবার দুপুর দেড়টায় সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার মো. হামিদুল আলম। এর আগে শুক্রবার সকালে হবিগঞ্জ থেকে অভিযুক্ত দম্পতি আসাদুজ্জামান পলাশ (২১) ও তার স্ত্রী সাদিয়া সরকারকে (২১) গ্রেফতার করা হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার মো. হামিদুল আলম জানান, গত ২৬ নভেম্বর ভিকটিমের ছোট বোনের ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করলে একটি পেইজের সন্ধান পান। ওই ফেসবুক পেইজ ব্যবহারকারী নিজেকে তানজিলা আক্তার তুলি বলে পরিচয় দেন। তিনি ভিকটিমের ফেসবুক মেসেঞ্জারে ফোন করে ভিকটিমের বোনের হ্যাক হওয়া আইডি পুনরুদ্ধার করার জন্য টাকা দাবি করেন তানজিলা আক্তার তুলি। ভিকটিম একটি বিকাশ নাম্বারে দাবীকৃত টাকাও দেন।২৮ নভেম্বর রাত ৩টায় ওই মহিলা ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে ভিকটিমকে ফোন করে বলে ‘ফেসবুক ৫ মিনিট সময় দিয়েছে আইডি রিকভারি করতে। তবে এজন্য জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট লাগবে জানিয়ে একটি লিংক পাঠানো হয়। ওই লিংকে ভিকটিমের ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করার জন্য বলে তানজিলা।
এভাবে ভিকটিমের সঙ্গে হ্যাকাররা প্রতারণা শুরু করেন। এমনকি ভিকটিমের নামে পর্ণ ওয়েবসাইট খুলে তা ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। টাকা না পেয়ে হ্যাকার হ্যাক করা আইডি থেকে ভিকটিমের বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও অশ্লীলভাবে এডিট করে পাঠাতে থাকে।
এ ঘটনায় ভিকটিম ৩ ডিসেম্বর হালিশহর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলে সিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট হবিগঞ্জের মাহমুদাবাদ থেকে তাদের গ্রেফতার করে। সাইবার ক্রাইম টিমকে সহায়তা করে হবিগঞ্জ জেলার গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের কাছ থেকে দুইটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট, ৬টি ভুয়া রেজিস্টার্ড সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে তারা প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিতো। তাদের মোবাইলে অর্ধশত ফেসবুক আইডির লগইন এবং হ্যাকিং সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর
