চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাওনা বকেয়া দ্রুত আদায়ে সহযোগিতা চাইলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে। রবিবার সকালে চসিক কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত প্রশাসক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতির পর্যালোচনা সভায় তিনি এ সহায়তা চান।
প্রশাসক বলেন, ‘নগরীর অবকাঠামো ব্যবহারকারী সরকারি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে এক শতাংশ সার্ভিস চার্জ প্রাপ্তি নিশ্চিত ও চসিকের পাওনা ১২০০ কোটি টাকা দেনা পরিশোধ করলে উন্নয়ন ও সেবা কাজে গতি আসবে।’
এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহামদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, রাজস্ব কর্মকর্তা সাহেদা ফাতেমা চৌধুরী ও চসিক আঞ্চলিক অফিস-৬ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আকতার প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম প্রমুখ। সভায় কর্পোরেশনের প্রকৌশলীগণ চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে স্থানীয় সরকার সচিবকে অবহিত করেন।
চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘নগরবাসীর উন্নয়নে চসিক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা ও নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতে অর্থ জরুরি। তাই সরকারি সংস্থা সমুহের বকেয়া টাকাগুলো যদি পাওয়া যায়, তাহলে উন্নয়ন ও সেবা দুটিরই গতি আসবে।’
স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, চসিকের বর্তমান প্রশাসকের দায়িত্বকালীন সময়ে চট্টগ্রাম নগরীর সেবা কার্যক্রম বেড়েছে। বিশেষ করে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন, রাস্তা-ঘাটের মেরামত ও উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ মহলেও কর্পোরেশনকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার