ধর্ষণের পর শিশু মীম হত্যা মামলার রায়ে ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জামিউল হায়দার এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. বেলাল হোসেন ওরফে বিজয় (১৮), মো. রবিউল ইসলাম ওরফে রুবেল (১৬), মো. হাছিবুল ইসলাম ওরফে লিটন (২৬), মো. আকসান মিয়া প্রকাশ হাসান (১৮), মো. সুজন (২০), মো. মেহেরাজ প্রকাশ টুটুল (৩২), মনিরুল ইসলাম মনু (৪৯) ও শাহাদাত হোসেন সৈকত (১৯)। এদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন সৈকত পলাতক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি নগরের আকবরশাহ এলাকার আয়শা মমতাজ মহল নামের একটি ভবনে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় ৯ বছরের শিশু ফাতেমা আক্তার মীমকে। আলোচিত এ মামলায় প্রত্যক্ষদর্শীসহ ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মীম আকবরশাহ এলাকার ফাতেমাতুজ জোহরা হেফজুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসার ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি মামলার পাঁচ আসামি মো. বেলাল হোসেন ওরফে বিজয়, মো. রবিউল ইসলাম, মো. হাছিবুল ইসলাম, মো. আকসান মিয়া ও মো. সুজন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মায়ের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে শিশু ফাতেমা আক্তার মীমকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শিশুটির মায়ের সঙ্গে আসামি বেলাল হোসেন বিজয়ের মায়ের বিরোধ ছিল। তার জেরেই বিজয় অন্যান্য আসামিদের যোগসাজশে তাকে তুলে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে আকবরশাহ বিশ্ব ব্যাংক কলোনির ছয় তলার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির পাশ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম এ নাসের বলেন, মীম হত্যা মামলায় ৮ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় ৭ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন