চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ‘নাগরিকের পৌরকর প্রদানের টাকায় এলাকায় উন্নয়ন কাজ করা হয়। নিয়মিত কর প্রদান না করলে নগরীর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন ও রাস্তাঘাটের মেরামত-উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। তাই নগরবাসীর প্রতি আহ্বান- উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে হালনাগাদ বকেয়া কর পরিশোধ করুন। ডিসেম্বর মাসব্যাপী সার চার্জ ছাড়া পৌরকর প্রদান ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা যাবে।’
মঙ্গলবার দুপুরে পতেঙ্গা নতুন ভূমি অফিসের সামনে এম এ আজিজ উদ্যানে রাজস্ব সার্কেল-৮ এর অধীনে স্পট হোল্ডিং টেক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন।
চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা সাহেদা ফাতেমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, কর কর্মকর্তা মোহাম্মদ সৈয়দ (লাইসেন্স), মো. নুরুল আলম (কর)। প্রথম দিন সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত স্পটে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নগদ পৌরকর আদায় ও ২২টি ট্রেড লইসেন্স ইস্যু করা হয়।
প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নগরবাসীর যে কোন প্রয়োজনে আমি তাদের কাছে যেতে রাজি। নগরবাসীকে আমার কাছে আসার প্রয়োজন নাই। এই ডিজিটাল যুগে মুঠোফোন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগরবাসী যেকোন প্রয়োজনে আমার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারেন। আমার মুঠোফোন সব সময় খোলা থাকে।’
তিনি বলেন, স্পট হোল্ডিং টেক্স প্রদান ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুর প্রধান কারণ হলো নগরবাসীর ভোগান্তি দূর করা। প্রশাসক কর প্রদান ও লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে নগরবাসী যাতে কোন ধরণের হয়রানির শিকার না হন সে ব্যাপার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার