কর্ণফুলী নদীর কাপ্তাই এলাকায় বেড়াতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যাওয়া চট্টগ্রামের দুই শিক্ষার্থী প্রিয়ন্ত দাশ (১৫) ও শাওন দত্তের (১৬) খোঁজ ৩০ ঘণ্টায়ও মেলেনি।
গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে কাপ্তাইয়ের সীতাঘাট এলাকায় নিখোঁজ হলেও বুধবার রাতে এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত দুই শিক্ষার্থীর খোঁজ পায়নি ফায়ার সার্ভিস। দীর্ঘ সময় ধরে নিখোঁজ থাকা দুই শিক্ষার্থীর পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কাপ্তাইয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘মঙ্গলবার নিখোঁজের পর থেকে দুই শিক্ষার্থীর খোঁজে কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। সেদিন খোঁজ না মেলায় বুধবার সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত চলমান অভিযানে তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবারও যথারীতি অভিযান চলবে।’
এদিকে, দুই শিক্ষার্থীর নিখোঁজের খবরে দুই পরিবারে শোকের মাতম চলছে। তাদের বাবা-মাসহ স্বজনরা চরম উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন। দুই শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানান, গত মঙ্গলবার ৯ বন্ধু মিলে চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গুনিয়া চন্দ্রঘোনা মিশনঘাট এলাকায় যায়। সেখান থেকে একটি নৌকায় করে কাপ্তাই এলাকায় যায় তারা। সেখানে সীতাঘাট এলাকায় গিয়ে চার বন্ধু নদীতে গোসল করতে নামে। তাদের মধ্যে দুজন গোসল শেষে উপরে উঠে এলেও প্রিয়ন্ত ও শাওন নদীতে তলিয়ে যায়।
পারিবরিক সূত্র জানায়, প্রিয়ন্ত ও শাওন সম্পর্কে খালাত ভাই। এর মধ্যে শাওনের বাসা নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকায়। আর প্রিয়ন্তর বাসা আলকরণ এলাকায়। তারা দুজন পরিবারের সাথে থাকত। পার্শ্ববর্তী নূর আহমদ সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল দুজন। বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ায় তারা বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়েছিল।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান কামাল জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং বুধবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ