খুলনায় গ্রেফতার হওয়া পাটকল শ্রমিক ও বাম জোটের ১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। সোমবার খানজাহান আলী থানায় এই মামলা করা হয়।
সোমবার দুপুরে খুলনা-যশোর মহাসড়কে ইস্টার্ন গেট এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি থেকে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদাসহ ওই ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুদরত-ই খুদাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস।
জানা যায়, বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালু ও পাটকলে আধুনিকায়নসহ ১৬ দফা দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমর্থনে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ সোমবার ওই স্থানে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়।
সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক কুদরত-ই খুদা বলেন, দাবি আদায়ে ইস্টার্ন মিল গেটে শান্তিপূর্ণ অবরোধ শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। তাদের ১৫ মিনিটের জন্য হলেও কর্মসূচি পালন করতে দিতে অনুরোধ করলেও তারা শোনেনি। বরং ওই স্থান থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে গেলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ইটপাটকলে নিক্ষেপ, পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
সিপিবি জেলা সদস্য মন্ডলির সদস্য সুতপা বেদজ্ঞ জানান, সিপিবি নেতা এস এ রশীদ, মিজানুর রহমান বাবু, বাসদ নেতা জনার্দন দত্ত নান্টু, শ্রমিক নেতা অলিয়ার রহমানসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। আদালতে তাদের জামিনের আবেদন জানানো হচ্ছে।
অপরদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালনের সময় যাত্রীবাহী পরিবহন ফেম নামক একটি চলন্ত বাসের বাম পাশের সামনের গ্লাস পাথর মেরে ভাঙচুর করা হয়। শ্রমিকরা বিভিন্ন দিক হতে খুলনা-যশোর মহাসড়কে চলমান যানবাহন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও রেল লাইনের পাথর মারতে থাকেন। তখন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জানমাল ও সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে পুলিশ সাত রাউন্ড টিয়ার শেল এবং দুই রাউন্ড শটগানের গুলি ছুঁড়ে, উত্তেজিত অবৈধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ