কুমিল্লার সদর দক্ষিণ ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় পৃথক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী এলাকায় বাসের ধাক্কায় প্রাইভেটকারে থাকা তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার হাড়িসর্দার বাজারের দিঘিরপাড়ে। সেখানে লরি চাপায় লামিয়া আক্তার (৮) নামের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন। সুয়াগাজী এলাকায় নিহতরা হলেন- লক্ষীপুর সদরের হামন্দী এলাকা ফখরুল আলম দুলাল (৫২), ঢাকার খিলগাঁও তালতলা এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে মো. মিরাজ হোসেন (১৮) ও প্রাইভেটকার চালক শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার আবদুল মজিদের ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫)। এ ছাড়া এ ঘটনায় মাহবুব আলম (৫০) নামের একজন আহত হয়েছেন। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে সুয়াগাজী এলাকার হোটেল কাননের সামনে প্রাইভেটকারটি ইউটার্ন নেওয়ার সময় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারে থাকা দুজন এবং ঢাকায় নেওয়ার পথে চালকের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে চৌদ্দগ্রামে চিকিৎসা করানোর জন্য যাওয়ার পথে গতকাল সকালে লরি চাপায় লামিয়া আক্তার নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। সকাল ৬টায় উপজেলার হাড়িসর্দার বাজারের দিঘিরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লামিয়া আক্তার উপজেলার নাটাপাড়া এলাকার খলিলুর রহমানের মেয়ে।