রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

খুলনায় মেডিকেল বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় নকলের মহোৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার বেসরকারি আদ-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রফেসনাল (বৃত্তিমূলক) পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ঢালাওভাবে নকল করার অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের আগে থেকেই ‘এমসিকিউ’ প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়া হয়েছে ও লিখিত পরীক্ষায় বই দেখে বা বাইরে থেকে নকল এনে উত্তরপত্রে লেখা হয়েছে। এসবের প্রতিবাদ করায় হল পরিদর্শক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. পুরনজিৎ মহালদারকে অপদস্থ করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরকে অবহিত করেছেন। জানা যায়, গতকাল একসঙ্গে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের ১০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে ২০২১ সালের (নভেম্বর/২১) প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বৃত্তিমূলক এমবিবিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

 এর মধ্যে খুলনা আদ-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

হল পরিদর্শক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. পুরনজিৎ মহালদার জানান, পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রশ্নপত্রে ‘এমসিকিউ’র উত্তর চিহ্নিত অবস্থায় দেখা যায়। এদের কেউ মূল প্রশ্নপত্রে, কেউ বেঞ্চে বা পাশের দেয়ালে ওই উত্তর লিখে রেখেছেন। এরপর লিখিত পরীক্ষা শুরু হলে বা বাইরে থেকে নকল এনে উত্তরপত্রে লিখতে দেখা যায়। পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষকরাও এ সময় হলে শিক্ষার্থীদের উত্তর বলে দিতে সহায়তা করেন। এ ছাড়া কলেজের বাথরুমের মধ্যে বই হাতে একজনকে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। শিক্ষার্থী বাথরুমে গেলে তাকে উত্তর বলে দেওয়া বা নকল সরবরাহ করতে দেখা যায়। পরীক্ষার নির্ধারিত সময় পরও কয়েকজনকে উত্তরপত্রে লিখতে দেখা যায়। পরীক্ষা হলে এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তাকে কয়েক দফা অপদস্থ করা হয়। 

এদিকে পরীক্ষা হলে ‘এমসিকিউ’ প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়া ও শিক্ষার্থীদের নকল করার ছবি, ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। অনেকেই মন্তব্য করেন- এভাবে নকল করে পাস করা আগামী দিনের চিকিৎসকরা কীভাবে মানুষকে সঠিক চিকিৎসা দেবেন।

খুলনা আদ-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আশফাকুর রহমান বলেন, ‘প্রশ্নে কিছু প্রিন্টিং মিসটেক ছিল। শিক্ষার্থীদের জানালে তারা সেখানে গোল চিহ্ন দিয়ে রাখে। কিন্তু এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়া হয়নি। ঢালাও নকলের অভিযোগও সত্য নয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর