জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে আড়াই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ফলে ওই নারী কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছে। এখন অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই নারীকে স্ত্রী ও সন্তানের পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার মকবুল হোসেন (৩৩) নামে একজনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় আভিযোগ করেছেন নির্যাতিত নারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার নামাপাড়ার মকবুল হোসেন পাশের শেরপুর জেলার শ্রীবরদীর এক নারীকে মোবাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। একপর্যায়ে মকবুল ওই নারীকে ঢাকায় নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি বাসা ভাড়া নেয়। ভাড়া বাসায় কয়েক মাস তাকে ধর্ষণ করেন।
এবং কৌশলে ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ফেমবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আবরও ধর্ষণ করে। ঢাকায় দেড় বছর থাকার পর গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই নারী। তখন মকবুল হোসেনের নিজ বাড়ি নামাপাড়ায় নিয়ে আসেন তাকে। সেখানে কন্যাসন্তান জন্ম দেন। তিন মাস আগে মকবুল এই নারী ও তার কন্যাকে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের কাছে বিচার চাইলেও সমাধান পাননি। অবশেষে স্বামীর অধিকার ও সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয়ের দাবিতে মঙ্গলবার বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ওই নারী। বকশীগঞ্জ থানার ওসি জানান, ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।