শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দুটি হত্যা মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় ২৪ বছর পর পৃথক দুটি হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুর ১২টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই যুগ আগে বগুড়ার শিবগঞ্জের বিলহামলা এলাকার একটি চাতালে ১৯৯৮ সালের ২৮ অক্টোবর নৈশপ্রহরী আবদুল জব্বারকে হত্যা করা হয়। স্থানীয় ওই চাতালে থাকা যন্ত্রপাতি লুটপাট করতে এ ঘটনা সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে পুলিশ ওই ঘটনায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করে মামলা ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ ঘটনায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আফজাল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সাইফুল আলম, গোলজার রহমান, আছমা বেগম ও আলম ফকির। এর মধ্যে আছমা বেগম ও আলম ফকির পলাতক আছেন। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য মামলায় কাহালুর লক্ষ্মীমগুপ গ্রামে ১৯৯৬ সালের ৮ আগস্ট স্থানীয় পুকুর নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মজিবর নামের এক কৃষককে মারধরের পর কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়। পুলিশ পরে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এর মধ্যে মামলা চলাকালীন দুজন মারা যান। ২৬ বছর পর এ মামলায় তসলিম উদ্দিনকে (৭০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তসলিম উদ্দিনকে। এ ছাড়াও মামলার অন্য ১৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। গতকাল দুপুর ১টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জল আদালত-২ এর বিচারক মুহাম্মাদ কামরুল হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত তসলিম উদ্দিন কাহালুর লক্ষ্মীমগুপের মৃত তোরাব আলীর ছেলে। বগুড়া আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বিনয় কুমার বিশু জানান, পৃথক দুই মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দীর্ঘ দুই যুগ পর হত্যাকাণ্ড দুটির বিচারকার্য সম্পূর্ণ হয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর