চলতি বছরের এস.এস.সি পরীক্ষায় কালকিনি উপজেলার মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে সাগরিকা। কিন্তু দারিদ্রতার যাতাকলে পিষ্ট হয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে তার পড়ালেখা। তাই মেধাবী ছাত্রী হয়েও অর্থাভাবে থেমে যাচ্ছে তার শিক্ষা কার্যক্রম।
স্কুলের শিক্ষক, গ্রামবাসী ও সাগরিকার পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শিকারমঙ্গল এলাকার মিরাকান্দি গ্রামের এই মেধাবী ছাত্রীর পিতা ওহাব মৃধা দীর্ঘদিন আগে মারা যায়। ৭ ভাই-বোনের এই পরিবারে শুধুমাত্র বসতভিটা ছাড়া কোন জমিজমা না থাকায় অনাহারে অর্ধাহারে চলে তাদের জীবন।
এত অভাব অনাটনের মধ্যেও সাগরিকা নিজের প্রচেষ্টায় পড়ালেখা চালিয়ে যায় এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করে। কিন্তু সামনের পড়ালেখা এখন তার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। কেননা তার পরিবারের পক্ষে সাগরিকার শিক্ষা গ্রহনের অর্থ যোগার করা অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে কান্নাজড়িত কন্ঠে সাগরিকা বলেনম ‘আমি শতকষ্ট শিকার করে পড়ালেখা চালিয়ে আসছিলাম। কিন্তু এখন একদিকে সংসারের এত অভাব আর অন্যদিকে পড়ার খরচ, এটা কিভাবে চলবে জানিনা। হয়তো টাকার অভাবে আমার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যেতে পাড়ে। আমার ইচ্ছা পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া, জানিনা এটা কি ভাবে সম্ভব হবে। তবে আল্লাহর উপর ভরসা রাখছি।’
বিডি প্রতিদিন/১৮ মে ২০১৬/ হিমেল-১৩