বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের বিশাল সামুদ্রিক অর্থনৈতিক এলাকায় মাছের শুষ্ঠু প্রজনন ও সৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে আগামীকাল শুক্রবার থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের জন্য বিশাল সামুদ্র এলাকায় সকল প্রকার মৎস্য সম্পদ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
মৎস্য অধিদপ্তর এবিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, আগামীকাল ২০ মে থেকে আগামী ৬৫ দিন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সামুদ্রিক বিশাল অর্থনৈতিক এলাকায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও সৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে চিংড়ি, লবস্টারসহ সকল প্রজাতির মাছ আহরণ সম্পূর্ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সকল প্রকার ফিশিং ট্রলারসহ অন্যান্য যান্ত্রিক নৌযান বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের উপকূলসহ গভীর সমুদ্রে যেতে পারবেনা। এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ ১৯৮৩ ও তদাধীনে প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নারাণি চন্দ্র মণ্ডল বলেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের ফলে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের বিশাল সামুদ্র এলাকায় রূপালী ইলিশের সাইজ বৃদ্ধিসহ বিশাল সামুদ্র এলাকায় সকল প্রকার মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকায় মাছের সুষ্ঠু প্রজননে কোন বাধার সৃষ্টি হবে না। এতে করে রুপালি ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন কয়েকগুন বেড়ে যাবে। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে অধিক পরিমাণ মাছ রফতানি করা সম্ভব হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ মে, ২০১৬/ আফরোজ