বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক সহকারী শিক্ষিকার শ্লীলতাহানীর অভিযোগের তদন্ত চলাকালে বহিরাগতরা লাঞ্চিত করেছে অভিযোগকারী শিক্ষিকাকে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ১১৪নং এসপি বারইখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় প্রধান শিক্ষক কর্তৃক সহকারী শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগের তদন্ত চলছিলো।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যার্থ হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মানুনুর রশিদ ও মো. মোস্তাকিম বিল্লাহ ওই সময় তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করে সহকারী শিক্ষিকাকে পালিয়ে আত্মরক্ষার পরামর্শ দেন।
ঘটনার শিকার সেই শিক্ষিকা বলেন, ‘তদন্ত চলাকালে ক্ষমতাসীন দলের সাবেক দুই ছাত্র নেতা প্রধান শিক্ষকের পক্ষ হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মোবাইল ফোন দিয়ে বেশ ছবি তুলে নেয় এবং তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকী দেয়। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের পরামর্শে আমার স্বামীকে খবর দিয়ে বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে আত্মরক্ষা করি’।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আনিসুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে তদন্ত স্থগিত করা হয়েছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, ঘটনার শিকার সেই শিক্ষিকা লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। খুব দ্রুতই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত রবিবার ১১৪নং এসপি বারইখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন তার সহকর্মী শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে টানা হেচড়া করে শ্লীলতা হানি ঘটায়। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের উদ্যোগে আজ ওই ঘটনার তদন্ত চলছিলো। স্পর্শকাতর এই ঘটনায় গত ৫ দিনেও কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বিষয়টি ক্রমশ জটিল হচ্ছে এবং নিরাপত্তহীনতায় পড়েছেন সেই শিক্ষিকা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন