কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর মরদেহ, কাপড় ও তার অন্তর্বাস থেকে নেয়া ডিএনএ আলামতে পাওয়া তিন ধর্ষকের বীর্য সম্বলিত রিপোর্ট সিআইডি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (কুমেক) ফরেনসিক বিভাগের নিকট হস্তান্তর করবে না বলে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি চিঠি দিয়ে কুমেকের ফরেনসিক বিভাগকে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত বোর্ডের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা সাংবাদিকদের জানান, ‘যেহেতু ডিএনএ রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে, তাই ডিএনএ রিপোর্ট সহায়ক হিসেবে নিয়ে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দিতে চেয়েছিলাম, সিআইডি আদালতের মাধ্যমে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ডিএনএ রিপোর্ট নিতে বলেছে।
তিনি আরো জানান, পরবর্তী কার্য দিবসে সভা করে আইনগতভাবে ডিএনএ প্রাপ্তি ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
উল্লেখ্য- গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার নিকট একটি জঙ্গলে পাওয়া যায় তনুর মরদেহ। পর দিন কুমেকের ফরেনসিক বিভাগের ডা. শারমীন সুলতানা তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত করেন। গত ৪ এপ্রিল ফরেনসিক বিভাগ থেকে দেয়া প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
৩০ মার্চ কবর থেকে তনুর মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ নমুনা ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করা হয়। কিন্তু গত ৫০ দিনেও দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা না হলেও গত সোমবার রাতে কুমিল্লা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান ডিএনএ রিপোর্টে তিন ধর্ষকের বীর্য পাওয়ার বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করায় এখন বেকায়দায় পড়েছে কুমেকের ফরেনসিক বিভাগ।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন