টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১০ জনের সকল অস্থাবর মালামাল ক্রোক করেছে টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ।
শুক্রবার দুপুর ১টার সময় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির কলেজপাড়াস্থ বাসভবনে প্রথমে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এর পর মামলার সকল পলাতক আসামিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মালামাল ক্রোক করা হয়। তবে অভিযানে তেমন কোন উল্লেখ্যযোগ্য মালামাল পায়নি পুলিশ।
টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুইয়া জানান, মালামাল ক্রোকের বিষয়ে আদালতের আদেশের খবর পাওয়ার পরপরই আসামিরা তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র বাসা থেকে সরিয়ে ফেলেছে। এ সময় মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির বাসার ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে একটি ফ্রিজ, বেশ কিছু কাপড় ক্রোক করা হয়।
এর আগে সোমবার (১৬ মে) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া ফারুক হত্যা মামলার পলাতক ১০ আসামির মালামাল ক্রোকের নিদের্শন দেন।
অন্য আসামিরা হচ্ছেন- সাংসদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির হোসেন, দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙ্গা বাবু, যুবলীগের তৎকালীন নেতা আলমগীর হোসেন চাঁন, নাসির উদ্দিন নুর, ছানোয়ার হোসেন ও সাবেক কমিশনার মাসুদুর রহমান।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রানা ও তাঁর ছোট ভাই বাপ্পা তাঁদের কলেজপাড়া বাসভবনের কাছে গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারে আনিছুল ইসলামের (সাংসদের ঘনিষ্ঠ) মাধ্যমে ফারুক আহমদকে ডেকে আনান। সেখানে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন বাপ্পা। কিন্তু তিনি রাজি হননি। এক পর্যায়ে তিনি কক্ষ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যান। শৌচাগার থেকে ফেরার পথে কবির হোসেন (সাংসদের ঘনিষ্ঠ) পিস্তল দিয়ে ফারুক আহমদকে গুলি করেন। এরপর সাংসদ আমানুরের নির্দেশে আনিছুল, মোহাম্মদ আলী, আবদুল হক, সমীর ও কবীর মৃতদেহ তার বাসার সামনে ফেলে আসেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ
