প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু। তবে পথে কয়েক জায়গায় গরু প্রতি চাঁদাবাজদের ১১’শ থেকে ২৫’শ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ গরু ব্যবসায়ীদের।
জানা গেছে, প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থকার পর গত এক সপ্তাহ ধরে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে সদর উপজেলার বাখের আলী, জহুরপুর ও বকচর এবং শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর ও মনোহরপুর বিটে ভারত থেকে গরু আসছে। প্রতিদিন বিটগুলোতে প্রায় ৫ হাজার গরু আসছে এবং বাংলাদেশে পাঠানোর অপেক্ষায় ভারতের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামে আরও প্রায় দেড়লাখ গরু রয়েছে বলে জানিয়েছেন গরু ব্যবসায়ীরা।
এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার ভারতীয় গরু আসা শুরু হওয়ায় চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গরু ব্যবসায়ী জানান, ভারত থেকে গরু আনতে বিএসএফকে প্রতিজোড়া গরুতে ২০ থেকে ২৫হাজার ভারতীয় রুপী এবং লাইনম্যানদের দিতে হচ্ছে প্রতিজোড়া গরুতে ৬ থেকে ৮হাজার রুপী। তারপর গরুগুলো বাংলাদেশে আনার সময় করিডোরের কাগজের জন্য ৫’শ টাকা ছাড়াও পথে পথে বিটমালিকের নিয়োজিত চাঁদাবাজরা গরু প্রতি ১১’শ থেকে আড়াই হাজার টাকা জোড়পূর্বক চাঁদা আদায় করছে। এর ফলে দেশে গরুর দাম বেশি নিতে হচ্ছে। আর ক্রেতারা বাধ্য হয়েই তা বেশি দামে কিনছে।
আজ রবিবার জেলার বিভিন্ন বিটে প্রায় ৩হাজার গরু এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল সোমবার ছাড়াও এখন প্রতিদিন ভারত থেকে গরু আসবে বলে গরু ব্যবসায়ীরা আশা করছেন। তবে চাঁদা আদায়ের ব্যাপারে মুখ খুলছেন না বিট মালিকরা।
বিডি প্রতিদিন/ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন