নাটোরের বড়াইগ্রামে খ্রীষ্টান ব্যবসায়ী সুনীল গোমেজ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে নব্য জেএমবি নেতা জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধি। রবিবার দুপুরে নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শামসুল আল আমিনের খাস কামরায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
বিচারকের কাছে দুই ঘন্টা ধরে দেওয়া জবানবন্দিতে রাজিব গান্ধি জানায়, সুনীল গোমেজ হত্যায় তারা মোট ছয়জন জড়িত ছিল। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীর পরামর্শে তারা এই হত্যাকান্ডের কয়েকদিন আগে নাটোরে এসে ওই এলাকায় কয়েকবার রেকি করে যান। সুনীল গোমেজকে হত্যা করে সহজেই পালিয়ে যাবার ব্যাপারটি নিশ্চিত হওয়ার পরেই তারা এই হত্যাকান্ড ঘটান। হত্যাকাণ্ড শেষ হওয়ার পরেই তারা তামিম চৌধুরীকে তা জানিয়ে নিজেরা গা ঢাকা দেন। এসময় তাদের কেউ কেউ নাটোরেই অবস্থান করেছে।
এদিকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগ হত্যাকান্ডের কিছুদিন পর রাজিবের নিজ বাড়ি গাইবান্ধা জেলা থেকে তাকে আটক করে নাটোরে প্রেরণ করে। পরে গত ৬ এপ্রিল তাকে চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এসময় রাজিব গান্ধি কিছু তথ্য দেওয়ায় হত্যাকান্ডে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে রবিবার ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে নাটোরের পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার তার অফিসে এক প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে অমুসলিম হত্যার নীল নক্সা অনুযায়ী একের পর এক যে হত্যাকাণ্ড চালানো হয় নাটোরের বড়াইগ্রামের সুনীল গোমেজ হত্যাও তারই একটি অংশ। গত বছরের ৫ জুন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার খ্রীষ্টান পল্লীতে সুনীল গোমেজকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ