নোয়াখালীর হাতিয়ায় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশ্রাফ উদ্দিনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত ৩০ মার্চ আফাজিযা বাজারে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হওয়ার ১১ দিন পর রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আশ্রাফের মারা যাওয়ার খবরে হাতিয়ায় বিভিন্ন স্থানে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় আশ্রাফের হত্যা মামলার আসামিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। নিহত আশ্রাফ হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। তার বড় ভাই মহিউদ্দিন আহম্মেদ হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
জেলা পুুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সংঘাত সহিংসতা এড়াতে হাতিয়ার বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত একশ পুলিশ হাতিয়ায় পাঠানো হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে নিহত আশ্রাফের প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার হাতিয়ায় দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন