নওগাঁর সাপাহারে হোসনে আরা (২৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে উপজেলা সদরের তাজপুর পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে ওই গ্রহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো গৃহবধূ হোসনে আরা তার স্বামীকে একটি বেকারীর দোকানের রুটি বিস্কুট বিক্রির জন্য চার্জার ভ্যানযোগে রাস্তায় তুলে দিয়ে তার একমাত্র কন্যা সন্তান রাজিয়া খাতুন (৫) কে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রেখে বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর সে সকলের অজান্তে একা বাড়িতে শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস লাগায়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্কুল ছুটির পর তার মেয়ে রাজিয়া বাড়ি ফিরে দরজা বন্ধ দেখে মা মা করে চিৎকার করতে থাকে। শিশুর চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় গৃহবধূকে দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা থানায় সংবাদ দিলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় গৃহবধূ হোসনে আরার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন। দরজা ভাঙ্গার সময় স্থানীয় লোকজন খাটের উপর সাদা কাগজে গৃহবধূর হাতের লেখা একটি চিরকুট দেখতে পায়। তাতে তার স্বামীকে উদ্দেশ্য করে লেখা ছিল আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার স্বামী আমার কাছে একজন ফেরেস্তার মত। পারলে ওগো তুমি আমায় ক্ষমা করে দিও। আর আমার বাবা মাকে তুমি ঠিক আগের মত দেখবে তাহলেই আমি শান্তি পাব। আমার নয়ন মনিকে বুকে ধরে রেখ, শেষ চাওয়া ইতি তোমার স্ত্রী। এ বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে সাপাহার থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন