মাদারীপুরের কালকিনিতে গাছের সাথে বেঁধে এক সাংবাদিককে নির্যাতনের পর এবার প্রেসক্লাব দখলের অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদের মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছিল কালকিনি প্রেসক্লাব। সকালে আয়োজকদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করা হয়। এসময় সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের পক্ষের লোকজন কালকিনি উপজেলা প্রেসক্লাব দখল করে তালা মেরে দেয়। তাদের বাধার মুখে কালকিনির সাংবাদিকরা পূর্ব ঘোষিত মানববন্ধন করতে পারেনি।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরে থেকে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ কালকিনির একাধিক প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধির পক্ষের লোকজন অস্ত্র-শস্ত্র ও লাঠি-সোটা নিয়ে প্রেসক্লাব দখল করে নেয়। এ সময় তারা পুরনো তালা ভেঙ্গে নতুন তালা লাগিয়েও দেয়। পরে প্রেসক্লাবের সামনে তথাকথিত কমিটির আয়োজনে একটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে নির্যাতনের শিকার কালকিনি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুৎসামূলক বক্তব্য রাখে তারা।
কালকিনি প্রেসক্লাবের সভাপতি এইচ এম মিলন জানান, ‘প্রেসক্লাবের সদস্য সংখ্যা ৫৩ জন। প্রতি বছর এর কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরের জুনের শেষের দিন নির্বাচন হওয়ার কথা। অথচ রাজনৈতিক প্রভাবে মাত্র দু’তিন জন ব্যক্তি গঠনতন্ত্র না মেনে নিজেদের সভাপতি ও সেক্রেটারি ঘোষণা দিয়ে সোমবার রাতে নির্যাতিত সাংবাদিকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’
কালকিনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান বলেন, চর দখলের মত প্রেসক্লাব দখল হয় আজ দেখলাম। যারা সাংবাদিককে গাছের সাথে বেধে নির্যাতন করেছিল তাদের রাজনৈতিক দলের দুই শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মঙ্গলবার সকালে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সরিয়ে দিয়ে প্রেসক্লাবের দখল নেয়।’
এব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে এটা অত্যান্ত দু:খজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল শুক্রবার পূর্ব এনায়েতনগরে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বাদল তালুকদারের লোকজন যায় যায় দিন পত্রিকার কালকিনি প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম গাছের সাথে বেধে নির্যাতন করে। এঘটনায় ৯ এপ্রিল রবিবার হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার