সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ কাঙ্ক্ষিত লক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ যথা সময়ে শেষ হবে। এ পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৪২ শতাংশ।
তিনি বলেন, জুন মাসের মধ্যেই পদ্মা সেতুর পিলারের উপর স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হবে এবং এরপর খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একের পর এক ৪১টি নতুন স্প্যান বসতে থাকবে। তবে জুনে একযোগে ৭টি স্প্যান পদ্মাসেতু পিলারের উপর বসলেই দৃশ্যমান হবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু।
রবিবার দুপুরে মুন্সীঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা বহুমুখী সেতু কুমারভোগ পুর্নবাসন কেন্দ্রের স্কুল প্রাঙ্গনে একযোগে পুর্নবাসন সাইটসমূহের ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৫টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন পরবর্তী ভাষণে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো জানান, মূল সেতুর ৬২টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে জাজিরা প্রান্তে ৩৮টি, মাওয়া প্রান্তে ১৪টি এবং ট্রানজিশন পিলারে ১০টি। পদ্মাসেতুতে মোট ৪১টি স্প্যান বসবে। এরমধ্যে ৭টি স্প্যান ( সুপার স্ট্রাকচার) কাজ শেষ হয়েছে। ৭টি স্প্যান স্থাপনের জন্য মাওয়া প্রান্তে প্রস্তুত আছে। ১২টি স্প্যান তৈরির কাজ শেষ হয়েছে, যেগুলো শীঘ্রই চীন থেকে বাংলাদেশে এসে পৌছাবে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যগের কারণেই পদ্মা সেতু এখন বাস্তবে রূপ ধারন কারছে। এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক হুইপ অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মাওয়াস্থ ৯৯ কম্পোজড ব্রিগেডের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাকিল আহম্মেদ ও মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ ফজলে আজিম।
অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি বলেন, স্থানীয় জনসাধারণের জমি প্রদানসহ অনেক ত্যাগের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন বিশ্বের এক বিশেষ মডেল। এই কাজকে এগিয়ে নিতে যারা অবদান রাখছেন তারাও ইতিহাসের অংশ।